বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এক্ষেত্রে যেগুলো জানা বাধ্যতামূলক সেগুলোই জানলাম, বাকি আর আগালাম না..এটাই সাধারণ মানুষের জন্য উপযোগী।
(০২)
হ্যাঁ, তখন সে চাইলে এটা ভাবতে পারে, যে এটা জানা তো আমার জন্য দরকার না, এসব না ভাবি।
(০৩)
হাদিসে কুদসি বলা হয়ঃ
যে হাদীসের মূল কথা সরাসরি আল্লাহ তাআ’লার পক্ষ থেকে এসেছে, সেই হাদীসকেই‘হাদীসে ক্বুদসী’ বলা হয়।
আল্লাহ তাআ’লার যেই কথাগুলো কুরানুল কারীমের ‘আয়াত’ হিসেবে নাযিল করা হয়নি বরং, আল্লাহ তাআ’লা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নের মাধ্যমে অথবা তাঁর অন্তরে ‘ইলহাম’ করে পাঠিয়েছেন, আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সেই কথাগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে নিজ ভাষায় তাঁর উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন, সেইগুলোকে হাদীসে ক্বুদসী বলা হয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
হাদীসে ক্বুদসীর কথাগুলো আল্লাহর, কিন্তু তার ভাষা বা বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে। অপরদিকে, ক্বুরানুল কারীমের আয়াতগুলোর কথা এবং ভাষা – সমস্তটাই স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লার।
হাদীসে কুদসীর শব্দগুলি মাখলুক।
(০৪)
শুধু এতটুকু দোয়া করার দরুন বা মনে মনে ভাবার দরুন সে নাস্তিক হয়ে যাবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জন্য করনীয় হলো এহেন মারাত্মক ক্ষতিকর মূলক বাক্য নিয়ে কোনোদিন না ভাবা,কোনো কিছু না বলা।
(০৫)
বিয়ের ক্ষেত্রে নারী নিজেই পুরুষকে প্রস্তাব দিতে পারে,এটি জায়েজ।
এর স্বপক্ষে হাদীস রয়েছে।
সাবিত আল বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত।
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ ابْنَةٌ لَه“ قَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَا سَوْأَتَاهْ وَا سَوْأَتَاهْ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا.
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ)-এর কন্যা বললেন, সেই মহিলা কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ লজ্জার কথা। আনাস (রাঃ) বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে। ( সহীহ বুখারী-৫১২০)
★তবে এটিই সুন্নাত,এমন দাবী করা সহীহ নয়।
অনলাইনে যেটা শেয়ার হচ্ছে,
কেউ যদি এটা দেখে তা বিশ্বাস করে, তবে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।
এক্ষেত্রে তার জন্য করনীয় হলো বিশ্বাস না করা,আর এগুলো শেয়ার না করা।
(০৬)
সুরার নামের সাথে এভাবে অন্য নাম যোগে বলায় কুফর হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে এরকম কোনো কিছু যোগ না করার প্রাক্টিস করার পরামর্শ রইলো।