বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
বাংলাদেশ দারুল ইসলাম না দারুল হরব সেটা এখনকার সময়ে নির্ধারণ করা বেশ মুশকিল।
যাইহোক আমাদের প্রাণের মাতৃভূমি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এবং সরকার প্রধান মুসলমান।
একটি ইসলামি হুকুমতে অথবা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাস্ট্রের মুসলমান সরকার প্রধান দেশে একজন মুসলিম ও একজন অমুসলিমের নাগরিক অধিকার সমান।যেভাবে একজন মুসলমানের জান মালের নিরাপত্তা মুসলিম সরকার প্রধানের দায়িত্ব, ঠিকতেমনি একজন অমুসলিম নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তাও সরকারের দায়িত্ব।
ইতিহাস সাক্ষী হযরত উমর রাযি এর খেলাফত কালে একজন মুসলমান কর্তৃক একটি মুর্তির নাক ভাঙ্গার পর উনার নিকট অভিযোগ আসলে তিনি তার ক্ষতিপূরণ আদায় পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার করেছিলেন।এটা প্রসিদ্ধ একটি ঘটনা যা বিভিন্ন ইতিহাসের কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
অমুসলিম সংখ্যালঘুদেরকে নিশ্চিন্তে তাদের ধর্মকর্ম পালন করার সুযোগ দেয়া শরীয়তের বিধান।তাদের উপর জোরজবরদস্তি করা যাবে না।ইসলাম পালনে বাধ্য করা যাবে না।তারা জিযিয়া/ট্যাক্স আদায় করবে,বিনিময়ে সরকার তাদেরকে নিরাপত্তা দিবে।
বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের সন্ত্রাসী বানানোর নোংরা হোলিখেলা চলছে,যা আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি।তালেবানকে সন্ত্রাসী বাননোর জন্য টুইন টাওয়ার ধংস করা হয়েছে।ইসলামকে কলুষিত করার জন্য আই এস আই নামক সংগঠনকে তৈরী করা হয়েছে।মোটকথা বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা, সি,আই,মোসাদ ইত্যাদির সিংহভাগ কাজই হচ্ছে মুসলমানদের বিশ্বে সন্ত্রাসী বানানো এবং কলুষিত করা কেন্দ্রিক।
হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাগব বোয়াল দেশ কর্তৃক বেষ্টিত আমাররা।যারা সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব নিয়ে সামনে আগাচ্ছে।এরা সব সময় বিভিন্ন অজুহাতে আমাদেরকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে চায়।অথবা গিলে ফেলতে চায়।আমাদের দেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর তাদের লোক দ্বারা হামলা করিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে তারা ভবিষ্যৎ প্লানিং শুরু করতে চায়।তাদের এমন মনোভাব বুঝতে পেরে আমাদের যে সমস্ত ভাই মন্দির-গির্জা কে পাহারা দিয়েছেন।তারা প্রশংসা মূলক কাজই করেছেন।
এবার মূল প্রশ্নে আসা যাক,
মন্দির-গির্জা কে মুসলমান কর্তৃক পাহারা দেয়া কি জায়েয?
উত্তরে বলা যায় যে, প্রয়োজনে গির্জা- মন্দির-কে মুসলমানরা পাহারা দিতে পারবে।
বর্তমান সময়ে প্রয়োজন আছে কি না?
আশা রাখি সেটা আমরা ভূমিকা থেকে বুঝে নিতে সক্ষম হবো।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.