আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
873 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
closed by

আস সালামু আলাইকুম, ভোলার ঘটনা এবং এর আগে এক হিন্দু মহিলার ঘটনার পর একটা জিনিস সামনে আসে যে , হাটহাজারি এবং অন্য কিছু মাদরাসার ছাত্ররা তাদের আশে পাশের মন্দিরকে হামলা থেকে বাচাতে মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে মন্দির পাহারা দিচ্ছে! এই বিষয়টি ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন তা জানতে চাচ্ছি। এসবের কি শারয়ী বিধানা আছে?

closed

1 Answer

+2 votes
by (589,680 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

বাংলাদেশ দারুল ইসলাম না দারুল হরব সেটা এখনকার সময়ে নির্ধারণ করা বেশ মুশকিল।

যাইহোক আমাদের প্রাণের মাতৃভূমি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এবং সরকার প্রধান মুসলমান।

একটি ইসলামি হুকুমতে অথবা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাস্ট্রের মুসলমান সরকার প্রধান দেশে একজন মুসলিম ও একজন অমুসলিমের নাগরিক অধিকার সমান।যেভাবে একজন মুসলমানের জান মালের নিরাপত্তা মুসলিম সরকার প্রধানের দায়িত্ব, ঠিকতেমনি একজন অমুসলিম নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তাও সরকারের দায়িত্ব।

ইতিহাস সাক্ষী হযরত উমর রাযি এর খেলাফত কালে একজন মুসলমান কর্তৃক একটি মুর্তির নাক ভাঙ্গার পর উনার নিকট অভিযোগ আসলে তিনি তার ক্ষতিপূরণ আদায় পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার করেছিলেন।এটা প্রসিদ্ধ একটি ঘটনা যা বিভিন্ন ইতিহাসের কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

অমুসলিম সংখ্যালঘুদেরকে নিশ্চিন্তে তাদের ধর্মকর্ম পালন করার সুযোগ দেয়া শরীয়তের বিধান।তাদের উপর জোরজবরদস্তি করা যাবে না।ইসলাম পালনে বাধ্য করা যাবে না।তারা জিযিয়া/ট্যাক্স আদায় করবে,বিনিময়ে সরকার তাদেরকে নিরাপত্তা দিবে।

বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের সন্ত্রাসী বানানোর নোংরা হোলিখেলা চলছে,যা আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি।তালেবানকে সন্ত্রাসী বাননোর জন্য টুইন টাওয়ার ধংস করা হয়েছে।ইসলামকে কলুষিত করার জন্য আই এস আই নামক সংগঠনকে তৈরী করা হয়েছে।মোটকথা বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা, সি,আই,মোসাদ ইত্যাদির  সিংহভাগ কাজই হচ্ছে মুসলমানদের বিশ্বে সন্ত্রাসী বানানো এবং কলুষিত করা কেন্দ্রিক।

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাগব বোয়াল দেশ কর্তৃক বেষ্টিত আমাররা।যারা সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব নিয়ে সামনে আগাচ্ছে।এরা সব সময় বিভিন্ন অজুহাতে আমাদেরকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে চায়।অথবা গিলে ফেলতে চায়।আমাদের দেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর তাদের লোক দ্বারা হামলা করিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে তারা ভবিষ্যৎ প্লানিং শুরু করতে চায়।তাদের এমন মনোভাব বুঝতে পেরে আমাদের যে সমস্ত ভাই মন্দির-গির্জা কে পাহারা দিয়েছেন।তারা প্রশংসা মূলক কাজই করেছেন।

এবার মূল প্রশ্নে আসা যাক,

মন্দির-গির্জা কে মুসলমান কর্তৃক পাহারা দেয়া কি জায়েয?

উত্তরে বলা যায় যে, প্রয়োজনে গির্জা- মন্দির-কে মুসলমানরা পাহারা দিতে পারবে।

বর্তমান সময়ে প্রয়োজন আছে কি না?

আশা রাখি সেটা আমরা ভূমিকা থেকে বুঝে নিতে সক্ষম হবো।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...