আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
257 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আ'লাইকুম
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রথমে ছোট খাটো একটা ঝগড়া হয় এরপরে স্বামী স্ত্রীকে কোন এক কাজ করতে বলে এবং স্ত্রী সেটি করতে যায় কিন্তু স্বামী এরপরে একটা জিদ দেখায় যায় যার কারণে স্ত্রীরও মাথা গরম হয়ে যায় তখন স্ত্রী রুমে চলে আসলে স্বামী সেখান থেকে স্ত্রীকে টানে ওই কাজে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু স্ত্রী যাবেই না খুব টানাটানি এবং ধাক্কাধাক্কি করছিল
অনেক সময় ধরে হাত টানাটানি করার পরে স্ত্রী বলে ছাড়ো(হাত ছাড়ার কথা বলেছিল) সেই সময় স্ত্রীর ওই(কোন কথা হুজুর বুঝে নিবেন) কথাটা মনে পড়ে... স্বামী সম্ভবত হাত ছাড়ে নাই এবং কিছু বলেও নাই মনে হয় মানে যেটা বললে সমস্যা হতে পারে।বলেছিল মনে হয় তোমার করতেই হবে।  যেহেতু তার উদ্দেশ্য ছিল স্ত্রীকে দিয়ে কাজটা করানো তাই স্ত্রীর ছাড়ো কথার প্রতিউত্তরে কিছু না বলার সম্ভবনা বেশি।কিন্তু স্ত্রী ওয়াসওয়াসা রোগী তাই স্বামীকে কথাটা বলার পরেই মনে খুতখুত করছে
উপরোক্ত ঘটনা আরো বড় সংক্ষেপে বলা হয়েছে

এতে কি কোন অসুবিধা হবে?

২।স্ত্রী যেহেতু ওয়াসওয়াসা রোগী * ব্যপারে তখন স্বামীকে হারানোর ভয়ে স্ত্রী বিভিন্ন কথা বলে স্বামীকে যেমন তোমার উপর বিশ্বাস আছে তোমার আশেপাশের মানুষের তো বিশ্বাস নেই।তোমারও মন বদলাতে পারে। স্ত্রী বলে সে সংংসার যেকোনো উপায়ে বাঁচাবে। কথার পিঠে কথা হয়েছিল কিন্তু যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করে স্ত্রী কথা বলেছিল(বাকিটা আল্লাহ ভালো জানেন)

এতে কি অসুবিধা হবে?

৩। স্বামী বলে তোমাকে বিয়ে করে ভেবেছিলাম মানসিক শান্তি পাবো কিন্তু সেটা পাচ্ছিনা আমাকে বিয়ে করাই আমার বাপ মা ভুল করছে মনে হয় যে ওদের কষ্ট পেতে হচ্ছে( স্ত্রী বলেছিল সংসার বাঁচাবে দরকার হলে ওর বাবা মাকেও বলবে সমস্যার কথা তখন কারণ অন্যের জন্য নিজেদের মধ্যে সমস্যা হোক সেটা স্ত্রী চায়না) বন্ধনীর কথাটা ২নং ঘটনার আগে বলেছিল কিনা পরে বলেছিল মনে
৪। ট্যাপের পানির নিচে কাপড় ধুলে নিংড়ানোর তো প্রয়োজন নেই এটা কি ঠিক?

 আর স্বামী ভাবতেছে স্ত্রীর এইসব সবই পাগলামি

1 Answer

0 votes
by (564,690 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এতে কোন অসুবিধা হবেনা।

(০২)
এতে কোন অসুবিধা হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।  (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )

কাপড়ে অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭) 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118

وغير المرئية بغسلهاثلاثا والعصر كل مرة
অদৃশ্যমান নাপাক বস্তু তিন বার ধৌত করতে হবে।এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
(নুরুল ইযাহ ৫৬)

উল্লেখ্য, তিনবারের কথা বলা হয়, যাতে সন্দেহ না থাকে। অন্যথায় যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৩ আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৭ শরহুল মুনইয়া ১৮৩) 
,
আরো জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

উপরে উল্লেখ রয়েছে, যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়। 

★সুতরাং ট্যাপের পানির নিচে কাপড় ধুলে নিংড়ানোর প্রয়োজন এটা ঠিক। তবে এতো ভালো করে কচলিয়ে ধোয়া লাগবে,যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (72 points)
হুজুর আরেকটি প্রশ্ন 
স্বামী যখন স্ত্রীকে বলে স্বামীকে বিয়ে করায় তার বাপ মা কষ্ট পাচ্ছে, মানসিক শান্তি পাচ্ছে না তখন স্ত্রী বলে তাহলে শান্তি পাও এইরকম কাউকে আনো 
এটা কি * এর আবেদন হবে?
স্বামী যদিও এর প্রতিউত্তরে কিছু বলে নাই সম্ভবত(আল্লাহ ভালো জানেন)

by (564,690 points)
এটা তালাকের আবেদন হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...