আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

১-কেও ইশার অজু দিয়ে রাতে ঘুমাতে গেলে সে কি রাতে অজু করে ঘুমানোর সাওয়াব পাবে শাইখ?

২-অনেকেই কোন নতুন বাড়িতে ঢুকার আগে ঘর বাড়ি বন্ধ করে জিনভুত এই জাতীয় জিনিস থেকে বাচার জন্য।হুজুর দিয়ে এইসব করে,কেও তাবিজও দেয় দেয়ালে।আসলে ইসলামে এমন কোন কিছু কি আছে তাদের ক্ষতি থেকে বাচার জন্য?

আমি প্রায়সময় রাতে ঘুমানোর আগে সুরা বাকারা প্লে করে দিয়ে ঘুমাই,দু আড়াই বছর যাবত ভয় পায়,আম্মুকে নিয়ে ঘুমাই,কিছুদিন থেকে লাইট অন করে ঘুমাই।আম্মুও এই দু আড়াই বছর পর্যন্ত অসুস্থ।আম্মু নিজেও ভয় পায়।এক রাতে আমি একা ঘুমিয়ে ছিলাম সুরা বাকারা প্লে করে,হঠাৎ ১২টা/১টার দিকে ঘুম ভেঙে যায় আর আমার মুখে কোন সাউন্ড আসছিল না কিন্তু আমি সুরা শুনছিলাম।এই পর্যন্ত তিনবার ভয় পাই।আম্মু অজু করে ঘুমাই,দোয়া দরুদ পড়ে ঘুমাই তাও।মাসনুন আমল গুলো করি মাঝে মধ্যে মিস যায় তাও ভয় লাগে।

তাই বোন আমাকে ঘর বন্ধের কথা বললো,আর আমি জানিনা ইসলামে এমন কিছু আছে কিনা,একটু বলেন শাইখ।

৩-গুছিয়ে বলতে পারছিনা হাদিস টা,এমন ছিল যে,কেও মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষন না যা নিজের জন্য অপছন্দ করে তা সে অন্য ভাইয়ের জন্য পছন্দ করে।এখন অনেক খাবার যা খাইনা,মানে সন্দেহজনক খাবার,বরযাত্রির খাবার,কোন ওরসের খাবার,মেজবানের খাবার যা না যাইলেও মানুষ পাঠিয়ে দেয়,এই খাবার গুলো যদি কোন গরিবকে দিয়ে দিই,সেই যদি কিয়ামতের দিন ধরে কেন তাকে হারাম খাওয়ালাম।

বা কোন ড্রেস আমার মনে হয় কোন কিছুর ছবি লাগছে তাই পড়িনা,বাট কাউকে দিতেও ভয় লাগে,এমন আরো কিছু,মানে এইসব আমি নিজের জন্য অপছন্দ করি তাহলে অন্যকে কিভাবে এইসব দিই?আবার এইসব কি করবো বুঝিনা।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ، ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ، ثُمَّ قُلِ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ، اللَّهُمَّ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ. فَإِنْ مُتَّ مِنْ لَيْلَتِكَ فَأَنْتَ عَلَى الْفِطْرَةِ، وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَتَكَلَّمُ بِهِ "

মুহাম্মদ ইবনু মুকতিল (রহঃ)... বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন সালাত এর অযুর মতো অযু করে নেবে। তারপর ডান পার্শ্বে শুয়ে বলবেঃ “হে আল্লাহ্! আমার জীবন আপনার কাছে সমর্পণ করলাম। আমার সকল কাজ আপনার কাছে সোপর্দ করলাম এবং আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করলাম, আপনার প্রতি আগ্রহ ও ভয় নিয়ে। আপনি ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল ও নাজাতের স্থান নেই। হে আল্লাহ্! আমি ঈমান আনলাম আপনার নাযিলকৃত কিতাবের উপর এবং আপনার প্রেরিত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম র উপর। ” তারপর যদি সে রাতেই তোমার মৃত্যু হয় তবে ফিতরাতে ইসলামের উপর তোমার মৃত্যু হবে। এ কথাগুলি তোমার শেষ কথা বনিয়ে নাও। 
(বুখারী ২৪৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
কেহ ইশার অজু দিয়ে রাতে ঘুমাতে গেলে সে রাতে অজু করে ঘুমানোর ছওয়াব পাবে।

(০২)
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে বৈধ পদ্ধতিতে ঘর বন্ধ করলে সেটিকে উলামায়ে কেরামগন জায়েজ বলেছেন।

আরো জানুনঃ- 

কোন কোন তাবিজ বৈধ,আর কোন কোন তাবিজ অবৈধ,সে সংক্রান্ত জানুনঃ-

(০৩)
এখানে আপনি যেসব উল্লেখ করেছেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই।
হারাম খাবার বা সন্দেহ জনক খাবার তো শরীয়তই গরিব মিসকিনদেরকে দিতে বলেছে,সুতরাং এতে সমস্যা নেই।

পরবর্তী ক্ষেত্রে যেটি উল্লেখ করেছেন,এটিও অন্য কাউকে দিতে সমস্যা নেই।
কাউকে না দিলে এটি তো অব্যবহৃত হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। বা পড়ে থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...