আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
১-কেও ইশার অজু দিয়ে রাতে ঘুমাতে গেলে সে কি রাতে অজু করে ঘুমানোর সাওয়াব পাবে শাইখ?
২-অনেকেই কোন নতুন বাড়িতে ঢুকার আগে ঘর বাড়ি বন্ধ করে জিনভুত এই জাতীয় জিনিস থেকে বাচার জন্য।হুজুর দিয়ে এইসব করে,কেও তাবিজও দেয় দেয়ালে।আসলে ইসলামে এমন কোন কিছু কি আছে তাদের ক্ষতি থেকে বাচার জন্য?
আমি প্রায়সময় রাতে ঘুমানোর আগে সুরা বাকারা প্লে করে দিয়ে ঘুমাই,দু আড়াই বছর যাবত ভয় পায়,আম্মুকে নিয়ে ঘুমাই,কিছুদিন থেকে লাইট অন করে ঘুমাই।আম্মুও এই দু আড়াই বছর পর্যন্ত অসুস্থ।আম্মু নিজেও ভয় পায়।এক রাতে আমি একা ঘুমিয়ে ছিলাম সুরা বাকারা প্লে করে,হঠাৎ ১২টা/১টার দিকে ঘুম ভেঙে যায় আর আমার মুখে কোন সাউন্ড আসছিল না কিন্তু আমি সুরা শুনছিলাম।এই পর্যন্ত তিনবার ভয় পাই।আম্মু অজু করে ঘুমাই,দোয়া দরুদ পড়ে ঘুমাই তাও।মাসনুন আমল গুলো করি মাঝে মধ্যে মিস যায় তাও ভয় লাগে।
তাই বোন আমাকে ঘর বন্ধের কথা বললো,আর আমি জানিনা ইসলামে এমন কিছু আছে কিনা,একটু বলেন শাইখ।
৩-গুছিয়ে বলতে পারছিনা হাদিস টা,এমন ছিল যে,কেও মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষন না যা নিজের জন্য অপছন্দ করে তা সে অন্য ভাইয়ের জন্য পছন্দ করে।এখন অনেক খাবার যা খাইনা,মানে সন্দেহজনক খাবার,বরযাত্রির খাবার,কোন ওরসের খাবার,মেজবানের খাবার যা না যাইলেও মানুষ পাঠিয়ে দেয়,এই খাবার গুলো যদি কোন গরিবকে দিয়ে দিই,সেই যদি কিয়ামতের দিন ধরে কেন তাকে হারাম খাওয়ালাম।
বা কোন ড্রেস আমার মনে হয় কোন কিছুর ছবি লাগছে তাই পড়িনা,বাট কাউকে দিতেও ভয় লাগে,এমন আরো কিছু,মানে এইসব আমি নিজের জন্য অপছন্দ করি তাহলে অন্যকে কিভাবে এইসব দিই?আবার এইসব কি করবো বুঝিনা।