আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ।
১. উস্তায  আমার আগের প্রশ্নোত্তরে ৬ ভরী স্বর্ণ আর সাড়ে তিন ভরী রূপা থাকলে যাকাত দিতে হবে বলেছেন। তবে একবছর হবার ২৫ দিন এর মতো বাকি। আমি এক বছর হবার আগেই যদি রূপা বিক্রি বা সদাকা করে ফেলি তাহলেও কি যাকাত দিতে হবে?
২. আমার স্বর্ণ নিজের কাছে রেখে,আমার স্বামীর কাছে কি আমি উল্লেখিত রূপা বিক্রি করতে পারবো?  সে তার মা/বোন / ভবিষ্যত সন্তানের জন্য যদি নিয়ে নিজের কাছে রাখতে চায় ?
আর স্বামীর সম্পদ বা মাল সামানা যেহেতু স্ত্রী ব্যবহার করতে পারে সেহেতু শখ বশত স্বামীর কাছে বিক্রিত রূপা কি আমি মাঝে মাঝে ব্যবহার করতে পারবো??  সেটায় মালিকানা স্বামীর তাতে আমার কোনো মালিকানা নেই এ শর্তে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে যাকাত ফরজ হওয়ার পর যাকাত প্রদান না করলে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده أن امرأة أتت رسول الله صلى الله عليه و سلم ومعها ابنة لها وفي يد ابنتها مسكتان غليظتان من ذهب فقال لها ” أتعطين زكاة هذا ؟ ” قالت لا قال ” أيسرك أن يسورك الله بهما يوم القيامة سوارين من نار ؟ ” قال فخلعتهما فألقتهما إلى النبي صلى الله عليه و سلم وقالت هما لله عزوجل ولرسوله

অনুবাদ- আমর বিন শুয়াইব থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিন [দাদা] বলেনঃ এক মহিলা তার কন্যাসহ রাসূল সাঃ এর খিদমতে উপস্থিত হন। তার কন্যার হাতে মোটা দুই গাছি স্বর্ণের চুড়ি [কাঁকন] ছিল। তিনি [রাসূল সাঃ] তাকে বললেনঃ তোমরা কি এটার যাকাত আদায় কর? মহিলা বলেনঃ না। রাসূল সাঃ বলেনঃ তুমি পছন্দ কর যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা এর পরিবর্তে তোমাকে এক জোড়া আগুনের কাঁকন পরিধান করান? রাবী বলেনঃ একথা শুনে মেয়েটি তার হাত থেকে তা খুলে নবী করীম সাঃ এর সামনে রেখে দিয়ে বললঃ এ দু’টি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৬৩, সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৭৭৯৯, সুনানুল কুবরা লিননাসায়ী, হাদীস নং-২২৫৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২০০৫}

عن عبد الله بن شداد بن الهاد أنه قال دخلنا على عائشة زوج النبي صلى الله عليه و سلم فقالت ” دخل علي رسول الله صلى الله عليه و سلم فرأى في يدي فتخات ( خواتيم كبار ) من ورق فقال ” ما هذا يا عائشة ” ؟ فقلت صنعتهن أتزين لك يارسول الله قال ” أتؤدين زكاتهن ؟ ” قلت لا أو ماشاء الله قال ” هو حسبك من النار “

হযরত আব্দুল্লাহ বিন শাদ্দাদ ইবনুল হাদ থেকে বর্ণিত। তিন বলেন, আমরা রাসূল সাঃ এর স্ত্রী হযরত আয়শা রাঃ এর খেদমতে উপস্থিত হই। তখন তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ আমার নিকট উপস্থিত হয়ে আমার তাতে রূপার বড় বড় আংটি দেখতে পান। তিনি বলেন, হে আয়শা! এটা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উদ্দেশ্যে রূপচর্চা করার জন্য তা বানিয়েছি। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি এর যাকাত পরিশোধ করে থাক? আমি বললাম, না অথবা আল্লাহ পাকে যা ইচ্ছে ছিল। রাসূল সাঃ বললেনঃ তোমাকে দোযখে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৬৫, সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১২৩৩, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৭৩৩৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৯৭৪, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১৪৩৭}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি এক বছর হওয়ার আগেই রূপা বিক্রয় করে ফেলেন,সেক্ষেত্রে তার টাকা তো আপনার কাছে আসবে।
সেক্ষেত্রে ঐ টাকা (বিক্রয়ের টাকা) আর স্বর্ণ মিলে সমষ্টির উপর যাকাত ফরজ হবে।

আর যদি রুপা সদাকা করে ফেলেন, সেক্ষেত্রে আপনার কাছে দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত কোনো নগদ অর্থ জমা থাকলে যাকাত দিতে হবে।
নতুবা যাকাত দিতে হবেনা।

(০২)
আপনার স্বর্ণ নিজের কাছে রেখে,আপনার স্বামীর কাছে আপনি উল্লেখিত রূপা বিক্রি করতে পারবেন।
আপনার স্বামী যদি তার মা/বোন / ভবিষ্যত সন্তানের জন্য যদি ক্রয় করে নিয়ে নিজের কাছে রাখতে চায়,সেটি পারবেন। সমস্যা নেই।
স্বামীর মালিকানাতে থাকার শর্তে স্বামীর সেই গহনা তার অনুমতিক্রমে আপনি মাঝে মাঝে ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে সর্বছুরতে আপনি তো স্বামীর কাছে গহনা বিক্রয় করছেন, সেক্ষেত্রেও বিক্রয়ের টাকা আর আর স্বর্ণ মিলে সমষ্টির উপর যাকাত ফরজ হবে।

আর যদি স্বামীকে আপনি সেটি গিফট করে দেন সেক্ষেত্রে যাকাত থেকে বাঁচার জন্য এহেন হিলা হারাম হবে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...