ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরিফে এসেছে,
عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .
حكم : صحيح
নাসর ইবনুল মুহাজির ..... হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান হালকাভাবে ধৌত করার পর উযূ করেন)।
(আবু দাউদ ১৬৮)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মেয়েরা পেশাবের পর লজ্জাস্থান ভালোভাবে ধুয়ে নিবে।
তাহলেই পাক হয়ে যাবে।
এরপর আর কোনো সন্দেহ করবেনা।
এক্ষেত্রে সামান্য পানিই যথেষ্ট, যতটুকু দ্বারা স্বাভাবিক ধোয়া হয়ে যায়,ততটুকুই যথেষ্ট।
★এক বদনার ৫ ভাগের এক ভাগ পানি খরচ করলেও হবে।
বরং অনেকাংশে এটিকেও অনেকে বেশি খরচ বলে।
★বাথরুমের প্যান থেকে ছিঁটে আসা পানির ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো পেশাব করার পর যদি পেশাব দূর করনের জন্য পানি ঢেলে দেয়া হয়,সেক্ষেত্রে প্রথমবার ঢেলে দেয়ার সময়েই প্যান থেকে ছিঁটা আসলে সেটি নাপাক।
এক্ষেত্রে কাপড়ে যেহেতু এক দিরহামের কম লেগেছে,তাই এই অবস্থায় নামাজ পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে।
আর যদি প্রথমবার পানি ঢেলে দিয়ে পেশাব দূর হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তীতে আবারো পানি ঢেলে দিলে, তাহা হতে ছিঁটা আসলে, সেটি নাপাক নয়।
★শরীরে তরল নাপাকি লাগলে শুধু পানি ঢালাই যথেষ্ট। তবে সামান্য হলেও ঘষে ধোয়া উত্তম।