بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আহলে কুরআন নামের
আড়ালে এ গোষ্টিটি হাদীসকে অস্বিকার করে থাকে। এটি ভ্রান্ত ফিরক্বা। আহলে কুরআন নামধারীরা পরিস্কার কাফির। এতে কোন সন্দেহ নেই।
কারণ যে ব্যক্তি
রাসূল সাঃ এর হাদীসকে অস্বিকার করবে সে ব্যক্তি কিছুতেই মুসলিম নয়। এতে ইসলামী বিশেষজ্ঞদের
মাঝে কারো দ্বিমত নেই। এসব লোকদের গোমরাহী ধরার জন্য কয়েকটি উসূলী কথা বলে দিচ্ছি।
ইনশাআল্লাহ এটি ফলো করলে তাদের ভ্রান্তিতা সহজেই ধরতে পারবেন।
প্রথমে হাদীস কাকে
বলে তা জেনে নেই।
اقوال النبى
صلى الله عليه وسلم وأفعاله وأحواله (فتح الملهم-1/6
রাসূল সাঃ এর কথা,কর্ম এবং অবস্থাকে বলা হয় হাদীস। {ফাতহুল মুলহিম-১/৬}
রাসূল সাঃ এর অনুসরণের
নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কুরআনে একাধিক আয়াত এসেছে। যেমন-
وَمَا
آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا ۚ وَاتَّقُوا
اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥٩:٧
রসূল তোমাদেরকে
যা দেন,তা গ্রহণ কর এবং
যা নিষেধ করেন,তা
থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। {
সূরা হাশর-৭}
قُلْ إِن
كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ
لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٣:٣١
বলুন,যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস,তাহলে আমাকে অনুসরণ কর,যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের
পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। {সূরা আলে ইমরান-৩১}
لَقَدْ كَانَ
لَكُمْ فِيهِمْ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ
الْآخِرَ ۚ وَمَن يَتَوَلَّ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ [٦٠:٦
তোমরা যারা আল্লাহ
ও পরকাল প্রত্যাশা কর, তোমাদের
জন্য তাদের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। আর যে মুখ ফিরিয়ে নেয়,
তার জানা উচিত যে,আল্লাহ বেপরওয়া,প্রশংসার মালিক। {সূরা মুমতাহিনা-৬}
শুধু তাই নয়। রাসূল
সাঃ এর আমল কথাকে আল্লাহর কথা বলে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-
وَمَا
يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى (3) إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى (4
তিনি নিজের পক্ষ
থেকে কোন কথা বলেন না, বরং
তিনি তা’ই বলেন, যা
আল্লাহ তা’আলা অহী মারফত জানাতে বলেন। সুরা নজম-৩-৪}
উপরোক্ত আয়াতসমূহ
পরিস্কার ভাষায় প্রমাণ করছে। রাসূল সাঃ এর আদেশ নিষেধ,
আমল ইত্যাদি যা হাদীস সেটিকে অস্বিকার
করা মানে আল্লাহকে অস্বিকার করা। কুরআনকেই অস্বিকার করা। তাই রাসূল সাঃ এর হাদীস অস্বিকারকারী
কিছুতেই কুরআন মান্যকারী হতে পারে না। বরং সে একজন প্রকাশ্য কুরআন অস্বিকারকারী।