আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (68 points)
retagged by
........................................./////////////////////////////////////////FfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsd///////////

1 Answer

0 votes
by (686,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, 

وَ اِذۡ یَرۡفَعُ اِبۡرٰہٖمُ الۡقَوَاعِدَ مِنَ الۡبَیۡتِ وَ اِسۡمٰعِیۡلُ ؕ رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۱۲۷﴾

'স্মরণ করো, যখন ইব্রাহিম ও ইসমাইল কাবাগৃহের ভিত্তি স্থাপন করছিল। তারা দোয়া করেছিল : হে আমাদের রব! (এ কাজ) আপনি আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন।' 
নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সুরা বাকারা, ১২৭) 

اِنَّ اَوَّلَ بَیۡتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِیۡ بِبَکَّۃَ مُبٰرَکًا وَّ ہُدًی لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۚ۹۶﴾ 
'নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা বাক্কায় অবস্থিত।' যাহা বরকতময় ও সৃষ্টিজগতের দিশারী।(
(সুরা আলে ইমরান, ৯৬) 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, “ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ইসমাঈলকে বললেন, হে ইসমাঈল। আল্লাহ আমাকে একটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। ইসমাঈল বললেন, আপনার রব আপনাকে যা নির্দেশ করেছেন তা বাস্তবায়িত করুন। ইবরাহীম বললেন, তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে? ইসমাঈল বললেন, আমি আপনাকে সাহায্য করব। ইবরাহীম পাশের একটি উঁচু জায়গা দেখিয়ে বললেন, আল্লাহ আমাকে এখানে একটি ঘর বানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইবনে আব্বাস বলেন, তারপর তারা দু’জনে ঘরের ভিত্তি স্থাপন করে তা উঁচু করছিলেন। ইসমাঈল পাথর নিয়ে আসতেন আর ইবরাহীম ঘর বানাতেন। তারপর যখন ঘর উঁচু হয়ে গেল তখন ইসমাঈল এ পাথরটি এনে ইবরাহীমের পায়ের নীচে রাখলেন। তখন ইবরাহীম তাতে দাঁড়িয়ে ঘর বানাতে থাকলেন। এমতাবস্থায় তাদের মুখ থেকে এ দোআ বের হচ্ছিল।” [বুখারী ৩৬৬৪]

কাবা শরিফ নির্মাণ ও সংস্কারের ইতিহাস।
ফেরেশতাদের নির্মাণ : কাবা শরিফের ঠিক ওপরে ঊর্ধ্ব আকাশে 'বায়তুল মামুরে' ফেরেশতারা অনেক আগে থেকে তওয়াফ করে আসছিলেন। আল্লাহ তায়ালা জমিনের ফেরেশতাদের বললেন, 'তোমরা বাইতুল মামুরের আদলে একটি ঘর নির্মাণ করো।' তখন তাঁরা কাবা শরিফ নির্মাণ করেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা তাঁদের কাবাগৃহ তওয়াফ করার নির্দেশ দিলেন।

আদম (আ.)-এর নির্মাণ : হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত আদম ও হাওয়াকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে বলেন, 'আমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করো।' অতঃপর হজরত আদম (আ.) জিব্রাইল (আ.)-এর অঙ্কিত স্থানে খননকাজ শুরু করে দেন। আর হজরত হাওয়া (আ.) সেই মাটি বহন করে নিয়ে যেতেন। একপর্যায়ে সেখানে পানির দেখা মিলল। হঠাৎ কে যেন ডাক দিয়ে বলল, 'হে আদম! যথেষ্ট হয়েছে।' যখন তাঁরা এ ঘর নির্মাণ করেন তখন আল্লাহ তায়ালা তাঁদের এ ঘর তওয়াফ করার নির্দেশ দিলেন। (দালায়েলুন্নবুয়্যাহ ও বেদায়া নেহায়া, দুর্বল সূত্র মতে)

বর্ণিত আছে, হজরত আদম (আ.) পাঁচটি পাহাড়ের পাথর দিয়ে কাবাগৃহ নির্মাণ করেছেন। জাবালে হেরা, জুদি, লুবনান, সিনাই ও জাইতুন। আরো বর্ণিত আছে, ফেরেশতারা এ পাথরগুলো সঞ্চয় করে দিতেন।

ইব্রাহিম ও ইসমাইল (আ.)-এর নির্মাণ : হজরত নূহ (আ.)-এর যুগে মহাপ্লাবনে কাবাগৃহ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর আল্লাহর আদেশে (সুরা বাকারা, ১২৭) 

হযরত ইব্রাহিম ও ইসমাইল (আ.) কাবাগৃহ পুনর্নির্মাণ করেন। ইসমাইল (আ.) পাথর নিয়ে আসতেন এবং ইব্রাহিম (আ.) নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতেন। একপর্যায়ে কাবার দেয়াল যখন উঁচু হয়ে গেল তখন আল্লাহর কুদরতি 'লিফট' পাথর- 'মাকামে ইব্রাহিমে'র মাধ্যমে তিনি নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন। তখন কাবার কোনো ছাদ নির্মাণ করা হয়নি। তখন কাবার উচ্চতা ৯ হাত, দৈর্ঘ্য ৩০ হাত ও প্রস্থ ২২ হাত ছিল। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সে নির্মাণের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় চার হাজার বছর।

কুরাইশদের কাবাগৃহ নির্মাণ : খোজায়া গোত্রের পতনের পর মক্কার শাসনভার গ্রহণ করেন কুরাইশ বংশের প্রতিষ্ঠাতা কুসাই বিন কিলাব। কুরাইশরা ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৩১ খ্রিস্টাব্দে মক্কা বিজয় পর্যন্ত মক্কার শাসন ও কাবার রক্ষণাবেক্ষণ করে। তিনি তওয়াফের জন্য কাবার আঙিনা চিত্রিত করেন, যা আজও বিদ্যমান। তিনিই কাবার ছায়ায় 'দারুন নদওয়া' বা পরামর্শ সভা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে কাবায় চূড়ান্তরূপে মূর্তি পূজা শুরু হয়।

৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার শাসক হলেন আবদুল মুত্তালিব। তিনিই প্রথম কাবায় স্বর্ণখচিত লৌহদরজা নির্মাণ করেন। তাঁর শাসনামলে ইয়েমেনের বাদশাহ আবরাহা 'সানা'য় প্রতিষ্ঠিত 'কুলাইস গির্জা'কে শ্রেষ্ঠ প্রমাণের জন্য কাবা থেকে হজ স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে কাবা ধ্বংস করার পরিকল্পনা করে বিরাট হস্তীবাহিনী পাঠায়। আল্লাহ তায়ালা তার সমুচিত জবাব দিয়ে দেন। যা পবিত্র কোরআনে সুরা ফিলে বিবৃত হয়েছে। রাসুল (সা.)-এর বয়স যখন ৩৫ বছর, তখন এক মহিলা কাবাগৃহে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর বন্যার কারণে কাবার গিলাফ ও দেয়াল ধ্বংস হয়ে যায়। তখন সবার সম্মতিক্রমে কাবাগৃহ পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এ নির্মাণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, কুরাইশরা কাবার উচ্চতা আরো ৯ হাত বৃদ্ধি করে মোট ১৮ হাত (৪৩২ সে.) নির্মাণ করেন এবং তাঁরাই প্রথম কাবার পূর্ণ ছাদ নির্মাণ করেন। আর কাবার পশ্চিম দরজা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পূর্ব দিকের দরজাটি একটু উঁচু করে দেওয়া হয়, যাতে অন্য কেউ প্রবেশ করতে না পারে। পুরো নির্মাণকাজ বৈধ অর্থে পরিচালিত হলেও অর্থকষ্টে তাঁরা উত্তর দিকে চিহ্ন রেখে ৭ হাত (৩ মিটার) বাদ দিয়ে দেন। এ ছাড়া তারা পানি নির্গমনের জন্য 'মিজাব' বা নালা তৈরি করেন।

আবদুল্লাহ বিন জুবাইর (রা.)-এর নির্মাণ : ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়া (রা.)-এর শাসনামলে হুসাইন নামক এক ব্যক্তির মিনজানিক ব্যবহারের দরুন মতান্তরে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের মিনজানিক হামলার কারণে কাবা শরিফ পুড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ফলে তা পুনর্নির্মাণের তীব্র প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কুরাইশদের বাদ দেওয়া 'হাতিম'কে তিনি কাবার সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন। কাবাকে তিনি পুরো ইব্রাহিমি কাঠামোতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। গমন-বহির্গমনের সুবিধার্থে তিনি 'মাতাফে'র সঙ্গে মিশিয়ে দুটি দরজা নির্মাণ করে সর্বসাধারণের জন্য অবমুক্ত করে দেন। ছাদের ভারসাম্য রক্ষার্থে তিনি কাবার অভ্যন্তরে তিনটি কাঠের স্তম্ভ স্থাপন করেন এবং কাবার উচ্চতা আরো ১০ হাত বৃদ্ধি করে দেন। ইবনে আসিরের বর্ণনা মতে, এ ঘটনা ছিল ৬৫ হিজরিতে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নির্মাণ : ৭৪ হিজরিতে আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের শাসনামলে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আবদুল্লাহ বিন জুবাইর (রা.)-কে শহীদ করেন। ইবনে জুবাইরের কাবা নির্মাণকে হাজ্জাজ আত্মচিন্তাপ্রসূত জ্ঞান করে কাবাকে কুরাইশি কাঠামোতে ফিরিয়ে নিতে উৎসাহী হন। ইবনে মারওয়ানের সম্মতিক্রমে তিনি ইবনে জুবাইরের স্মৃতিচিহ্নকে ধুলায় ধূসরিত করে দেন। তিনি ইব্রাহিমি কাঠামো পরিবর্তন করে কাবাকে কুরাইশি ফ্রেমে বন্দি করেন। পরবর্তী সময়ে হজরত আয়েশা (রা.)-এর হাদিস শুনে ইবনে মারওয়ান খুবই অনুতপ্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। এরপর বাদশাহ হারুনুর রশিদ কাবাকে ইবনে জুবাইরের আদলে নির্মাণ করতে চাইলে ফেতনার আশঙ্কায় তৎকালীন আলেম সমাজ বিশেষত ইমাম মালেক (রহ.) তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
এর পর থেকে নির্র্মাণের পরিবর্তে কাবা শরিফের সংস্কারকাজ অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে। ৯১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক কাবাগৃহে ব্যাপক সংস্কার করেন।

উসমানি খেলাফতকালে সংস্কার : ১০১৯ হিজরিতে কাবার দেয়াল বিদীর্ণ হয়ে গেলে বাদশাহ আহমদ খান তা সংস্কার করেন।

১০৩৯/১০৪০ হিজরি ও ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক এক ভয়াবহ বন্যায় কাবার পশ্চিম দিকের দরজাটি ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া কাবার দেয়ালে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বাদশাহ মুরাদ খান পাশার অর্থায়নে কাবাগৃহে ব্যাপক সংস্কার আনা হয়।
১২৭৬ হিজরিতে বাদশাহ আবদুল মজিদ একটি 'মিজাব' (নালা) হাদিয়া দেন, যাতে ২৩ কেজি (প্রায়) স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছিল।

সৌদি রাজবংশের সংস্কারকাজ : ১৩৬৩ হিজরিতে বাদশাহ আবদুল আজিজ কাবার দরজা পরিবর্তন করেন। ১৩৭৭ হিজরিতে বাদশাহ সৌদ কাবার ওপরের ছাদ ভেঙে পুনর্নির্মাণ ও নিচের ছাদ নবায়ন করেন। এমনকি দেয়ালগুলো নতুন করে মেরামত করেন। ১৩৯১ হিজরিতে বাদশাহ ফয়সাল কাবার দরজায় সংস্কার আনেন। ১৩৯৯ হিজরিতে বাদশাহ খালেদ প্রায় ২৮০ কিলোগ্রাম স্বর্ণ ব্যবহার করে নতুন দরজা প্রতিস্থাপন করেন।

১৪১৬ হিজরিতে বাদশাহ ফাহদ কাবার বাইরের দেয়াল সংস্কার করেন। ১৪১৭ হিজরিতে তিনি কাবাগৃহের ছাদ, খুঁটি, দেয়ালসহ সব কিছু সংস্কার করে নতুন ধাঁচে ঢেলে সাজান। ১১-০১-১৪১৭ থেকে শুরু হয়ে ০২-০৭-১৪১৭ হিজরি মঙ্গলবার এ পবিত্র কাজের সমাপ্তি ঘটে। তাঁর এ নির্মাণকাজকে কাবার সর্বশেষ নির্মাণ বা সর্বশেষ সংস্কার হিসেবে অভিহিত করা হয়।
(সংগৃহীত।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হযরত ইব্রাহিম আঃ ও ইসমাইল আঃ কাবাগৃহের ভিত্তি স্থাপন করছেন।
এর পরবর্তীতে যারা যারা কাজ করেছেন,তাহা সংস্কার মাত্র।
এটিকে নির্মান বলা হবেনা।

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সময় মক্কার কুরায়েশদের টাকা ও শ্রমে কাবা শরীফ যে সংস্কার হয়েছিলো,এতে যদিও মুশরিকদের যে সামান্য টাকা আছে বলা হবে,তবে এটি তো সংস্কার মাত্র।
এটিকে নির্মান বলা হবেনা।
,
আর এর পরবর্তীতে আরো অনেক বাদশাহের আমলে সেই কাবা গৃহের কত পরিবর্তন হয়েছে,তাহা উপরে উল্লেখ রয়েছে।

সুতরাং সেই সময়ে সংস্কার কাজে মুশরিকদের যে সামান্য টাকা ছিলো,সেটি তো নেই। আর তেমন বেশি দিন ছিলোওনা।

★যাই হোক "কাবা ঘর হিন্দুদের টাকায় তৈরি" এটি বলা কোনোভাবেই সহীহ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...