ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রশ্নঃ আমি একজন কৃষক, জমিনে কাজ করে খাই। একদিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রীকে বললাম, সকাল ১০ টায় জমিনে খানা পাঠিয়ে দিবে। কিন্তু আমার স্ত্রী যথাসময়ে খানা না পাঠালে আমি বড় আওয়াজে বললাম, অমুকের মেয়ে অমুক; তালাক! তালাক! তালাক! কিন্তু আমি আমার স্ত্রীর নাম ভুল বলেছি। তার নাম না বলে অন্য একটি নাম বলেছি। তবে তার পিতার নাম সঠিক বলেছিলাম । এখন আমার জানার বিষয় হল, উপর্যুক্ত ক্ষেত্রে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমি সংসার করতে পারব কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
মুফতি সাহেবের উত্তরঃ আপনি স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে পারবেন। আপনার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়নি। কেননা নাম উচ্চারণ করে তালাক দেয়ার সময় নামটাই মুখ্য হয়ে থাকে। নাম যদি ভুল হয়ে যায় তাহলে অন্যান্য নিসবাত সঠিক হলেও তালাক পতিত হবে না। উল্লিখিত সুরতে আপনি পিতার নাম সঠিক বললেও স্ত্রীর নাম ভুল বলেছেন। তাই আপনার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়নি। (আল-বাহরুর রায়েক- ৩/৪৪৩, আল-মুহিত- ৪/৪০২) ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখানে মুফতী সাহেব যে ফতোয়া দিয়েছেন, তা সঠিক।
(২) একজন যোগ্য মুফতি সাহেবের নিকট ফতোয়া নেয়ার পর সেখানে দ্বিমত করা ঠিক হবে না।
কয়েকজন মুফতি সাহেবের নিকট ফতোয়া নেয়ার পরো মনের ভিতর ওয়াসওয়াসা আসে..যদি উনি কোনো ভূল মাসালা দিয়ে থাকেন তখন!!আল্লাহ যদি আমাকে পাকড়াও করে...এমন মনোভাব তো আসবেই।সেজন্য আপনি একজন আলেমের কাছ থেকেই ফাতাওয়া নিবেন। একাধিক আলেমের কাছ থেকে ফাতাওয়া নেওয়া কখনো জায়েয হবে না।
(৩)একটা মাসালায় আলেমদের মতানৈক্য আছে।সেখানে আপনি ঐ আলেম সাহেবে ফাতাওয়াটা যাকে আপনার কাছে বিশ্বস্ত মনে হবে।
(৪)ছোট বাচ্চার বয়স ৪ মাস।দুধ খাওয়ার পর দুধ তুলে দেয় অনেক সময়।সেইটা না নাপাক।
(৫) ছেলেরা শশুরবাড়ি তে কছর করবে যদি সফরের দূরত্ব পরামাণ বা তার চেয়ে বেশি হবে।
(৬)কেউ তার স্ত্রীকে বলল,
"তুমি যদি তোমার বাবার বাসায় যাও তাহলে তালাক" এখন সে যদি বাসায় না যায় এবং তার বাবা যদি মেয়ের বাসায় আসে এবং ফোনে কথা বলে তাহলে তালাক হবে না।
(৭)
আপনি যে মাযহাবকে অনুসরণ করে ধাকেন, সেই মাযহাবের ফাতাওয়াই আপনি গ্রহণ করবেন। আপনি যদি হানাফি ফিকহকে গ্রহণ করে থাকেন,তাহলে অন্যত্র মাস'আলা জিজ্ঞাসার আপনার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।