আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
297 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
edited by
ফতোয়া নং- 6485 এর শেষের দিকে বলা হয়েছে-

'রাশিতে বিশ্বাস করা একটি কুফরি আকিদা'

কিন্তু আমার জানা মতে, 'রাশিতে বিশ্বাস করার' দ্বারা আল্লাহর একটি গুনের সাথে শিরক করা হয় কারণ আল্লাহ ছাড়া আর কেউ তকদির(ভাগ্য) সম্পর্কে জানে না।
তাই,  'রাশিতে বিশ্বাস করা' তো শিরকি আকিদা হওয়ার কথা।

প্রশ্ন: তাহলে কেনো এটাকে শিরকি আকিদা না বলে কুফরি আকিদা বলা হলো?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 

যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা। 

মানুষের জীবনে ভালো-মন্দ যা কিছু হয় তাতে রাশিফল, তারকা ও নক্ষত্রসমূহের প্রভাব আছে বলে বিশ্বাস করা,এটিও বৈধ নয়।

কেননা, গায়েবের ইলম আল্লাহর কাছেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “বল, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ আসমানসমূহে ও যমীনের গায়েব জানে না”। [সূরা আন-নামাল: ৬৫] এ ছাড়াও কারণ, আল্লাহ একাই কল্যাণ আনয়নকারী ও অকল্যাণ দূরকারী। 

যে বিশ্বাস করল, অমুক রাশি অথবা অমুক অমুক তারকার মাধ্যমে গায়েব জানা যায় অথবা অমুক রাশি কিংবা অমুক অমুক তারকা উদয়ের সময় যে সন্তান জন্মলাভ করে, তার মঙ্গল বা অমঙ্গলের ক্ষেত্রে তারকা ও রাশিসমূহের প্রভাব রয়েছে এবং সন্তানকে ভাগ্যবান অথবা হতভাগা করার ক্ষেত্রে তারকার প্রভাব রয়েছে, সে আল্লাহর হক ও তাঁর রুবুবিয়্যার বৈশিষ্টগুলোতে তারকাকে শরীক করলো। যে এরূপ করল সে কুফরি করল।
,
★সুতরাং এটি কুফরী আকীদা এবং শিরকি আকীদা। 
★প্রত্যেক শিরক কুফর,কিন্তু প্রত্যেক কুফর শিরক নয়।
সুতরাং যেটা শিরকি আকীদা,সেটাকে কুফরী আকীদাও বলা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...