উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে।
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা।
মানুষের জীবনে ভালো-মন্দ যা কিছু হয় তাতে রাশিফল, তারকা ও নক্ষত্রসমূহের প্রভাব আছে বলে বিশ্বাস করা,এটিও বৈধ নয়।
কেননা, গায়েবের ইলম আল্লাহর কাছেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “বল, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ আসমানসমূহে ও যমীনের গায়েব জানে না”। [সূরা আন-নামাল: ৬৫] এ ছাড়াও কারণ, আল্লাহ একাই কল্যাণ আনয়নকারী ও অকল্যাণ দূরকারী।
যে বিশ্বাস করল, অমুক রাশি অথবা অমুক অমুক তারকার মাধ্যমে গায়েব জানা যায় অথবা অমুক রাশি কিংবা অমুক অমুক তারকা উদয়ের সময় যে সন্তান জন্মলাভ করে, তার মঙ্গল বা অমঙ্গলের ক্ষেত্রে তারকা ও রাশিসমূহের প্রভাব রয়েছে এবং সন্তানকে ভাগ্যবান অথবা হতভাগা করার ক্ষেত্রে তারকার প্রভাব রয়েছে, সে আল্লাহর হক ও তাঁর রুবুবিয়্যার বৈশিষ্টগুলোতে তারকাকে শরীক করলো। যে এরূপ করল সে কুফরি করল।
,
★সুতরাং এটি কুফরী আকীদা এবং শিরকি আকীদা।
★প্রত্যেক শিরক কুফর,কিন্তু প্রত্যেক কুফর শিরক নয়।
সুতরাং যেটা শিরকি আকীদা,সেটাকে কুফরী আকীদাও বলা যাবে।