আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by
আমি আগে ধারনা রাখতাম যে আল্লাহ সত্ত্বাগত ভাবে আরশে আছেন,এবং জ্ঞানগত ভাবে সব জায়গায় বিরাজমান।  সত্ত্বাগত ভাবে কোনো স্থান আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করা ইসলামী আকিদার খেলাফ হয়।এই জ্ঞান আমার ছিলো না। তখন এতো গভীর ভাবনা ও ভাবি নি,বিভিন্ন ইউটিউবের বক্তব্য শুনে এমন আকিদা তৈরী হয়েছিলো। তখন ভাবতাম আল্লাহর হাত পা আছে তবে এগুলো দেহ এই ভাবনা তখন মাথায় এসেছিলো কি না বলতে পারছি না, আসলে ভালো করে মনে নেই। আসলে এই সব বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে ভাবনা হয় নি শুনে শুনেই মনে রেখে দিয়েছিলাম,তাই অনেক ভুল বুঝতে পারি নাই।

এখন এই ভাবেই আকিদা রাখি যে "আল্লাহর শান মানের সাথে যেভাবে যায় ওইভাবেই তিনি আরশে ইস্তাওয়া করেছেন এবং যেভাবে শান মানের সাথে যায় ওই ভাবেই আমাদের কাছেও আছেন। উনার থাকার পদ্ধতি আমরা জানি না, উনার মতো কিছুই নাই"

তখন আগের আকিদা যখন মনে ছিলো তখন নামাজে মনযোগ আনার জন্য ভাবতাম যে আমি আরশের কাছে নামাজ পরছি আর আল্লাহ পর্দার আড়ালে আছেন। (মেরাজের কনসেপ্ট থেকে এই আইডিয়া এসেছিলো) তখন এইটা ঠিক হচ্ছে না কি ভুল হচ্ছে এইটা ভাবি নাই।

১। আমার আগের যে আকিদা ছিলো বা যে কল্পনা করতাম নামাজে তার জন্য কি আমাকে কাফের বলা যায় ? ওই অবস্থায় আমার বিবাহ ও হয়েছিলো, কাফের থাকলে ওই টাকি দুহরাতে হবে?

২.এখনের আকিদা কি ঠিক আছে?

৩.দেহবাদী আকিদা যারা রাখেন, বা আল্লাহকে সত্ত্বাগত ভাবে একটা স্থানে(আরশে) থাকার আকিদা যারা রাখেন, তাদের কি কাফের বলা যায়? না কি শুধু আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদার বাইরের বলা যায়?

৪.আবু হানিফা (রঃ) না কি বলেছেন যে বলবে আল্লাহ আরশে না জমিনে আছেন জানি না সে কাফের,কারন এতে আল্লাহর জন্য স্থান নির্ধারন হয়। পর্যাপ্ত ইলমের অভাবে  কেও যদি এই বিশ্বাস মনে রাখে সে ও কাফের হবে? আমি কখনো এই রকম কথা বলছি বলে মনে হচ্ছে না, তবে মনে মনে হয়তো ছিলো যা বিষদ ভাবে বুঝতে পারতামনা..

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছেঃ

هُوَ الَّذِي أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ ۖ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللَّهُ ۗ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ [٣:٧]

তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট,সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে,তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর,তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। {সূরা আলে ইমরান-৭}

তাই আল্লাহর সত্ত্বার অবস্থান, আকার নিরাকার নিয়ে কথা বলা সম্পূর্ণই নিষিদ্ধ বিষয়। কারণ এসব মুতাশাবিহাত এর অন্তর্ভূক্ত। যার সঠিক অবস্থান আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।

আমরা আল্লাহর “হাত, পা, চেহারা” ইত্যাদি অর্থ প্রকাশক শব্দের উপর ঈমান আনি। কিন্তু এগুলোর অবস্থা কেমন? আকার আছে নাকি নেই? তিনি কোথায় আছে? ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করি না। মন্তব্য করি না।

আমরা কুরআনে বর্ণিত গভীর জ্ঞানীদের কাতারে শামিল হতে চাই। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

تفكَّروا في كلِّ شيءٍ , ولا تتفكَّروا في اللهِ                                                                                                     
তোমরা সব কিছু নিয়ে গবেষণা কর। কিন্তু আল্লাহর সত্ত্বা নিয়ে গবেষণা করো না।
ইমাম যুরকানী রহঃ বলেন, হাদীসটি হাসান লিগাইরিহী। [মুখতাসারুল মাকাসিদ, বর্ণনা নং-৩১৮]


★প্রশ্নে উল্লেখিত আকীদা বিশুদ্ধ। 
তাহা হলোঃ-
"আল্লাহর শান মানের সাথে যেভাবে যায় ওইভাবেই তিনি আরশে ইস্তাওয়া করেছেন এবং যেভাবে শান মানের সাথে যায় ওই ভাবেই আমাদের কাছেও আছেন। উনার থাকার পদ্ধতি আমরা জানি না, উনার মতো কিছুই নাই"


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এর কারনে আপনাকে কাফের বলা যায়না।
বিবাহ দোহরিয়ে নিতে হবেনা।

(০২)
হ্যাঁ ঠিক আছে।

(০৩)
তাদেরকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদার বাইরের বলা যায়।

(০৪)
এধরনের মতের উপর হানাফি মাযহাবের ফতোয়া নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...