আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
586 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
১। পায়ে অল্প একটু কেটে গিয়েছে। সাধারন অবস্থায় রক্ত বের হয় না। কিন্তু ওজু করার সময় তরল কিছু জিনিস বের হয়ে আসে। এর পরিমান নির্দিষ্ট বোঝা যায় না। এর কারনে কি ওজু নষ্ট হয়ে যাবে?
২। যদি এই তরলের সাথে পানি লেগে তা আমার কাপড়ে লাগে ( এক দিরহাম পরিমানের বেশি )  কাপড় কি নাপাক হয়ে যাবে? ( পুজ জাতীয় এই তরলের পরিমান এক দিরহামের কম ছিল, কিন্তু পানির সাথে মিশে টোটালে ১ দিরহামের বেশি হয়ে যায় )

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي الرَّجُلَ إِذَا رَعَفَ فِي الصَّلَاةِ، أَوْ ذَرَعَهُ قَيْءٌ، أَوْ وَجَدَ مَذِيًّا أَنْ يَنْصَرِفَ فَيَتَوَضَّأُ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি যদি কারো নামাযরত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, বা বমি হতো, বা মজি বের হতো তাহলে তাকে ফিরে গিয়ে অযু করার ফাতওয়া প্রদান করতেন। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৩৬১০)

★অযুরত অবস্থায় অযু ভঙ্গের কারণ ঘটলে প্রথম থেকে আবার অযু করতে হবে। (ফাতাওয়া মাহমুদিয়া ৫/৪০ ডাবেল)
سُئلت عمن أحدث أثناء وضوئہ ہل یکفیہ إتمامہ لذٰلک الوضوء أو یلزمہ الاستیناف؟ فالجواب أنہ یلزمہ الاستیناف کما أفتی شیخ الإسلام علی الاٰفندي (فتاویٰ الکاملیۃ ۱۰، بحوالہ حاشیۃ: فتاویٰ محمودیہ ۵؍۶۰ ڈابھیل)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু ভেঙ্গে যাবে,পুনরায় নতুন করে অযু করতে হবে।     

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে কাপড়ের যেই জায়গায় নাপাকি লেগেছে, সেই  নাপাকির  পরিমান যদি এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়ে  নামায পড়া জায়েজ নয়। 

কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।
এক্ষেত্রে পানির সাথে মিশানোর পরেও নাপাকির পরিমানই ধর্তব্য হবে,যদিও পানির সাথে মিশে যাওয়ার পর সেটার পরিমান বেশি মনে হোক,তবে সত্যিকারভাবে নাপাকির পরিমান আসলে কতটুকু ছিলো,সেটাই ধর্তব্য হবে।

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

আরো জানুনঃ
,
★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত কাপড়ে নামাজ হবে,কিন্তু ভিন্ন কাপড়েই নামাজ পড়া উত্তম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,398 views
...