আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in পবিত্রতা (Purity) by (20 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
আমি পাচওয়াক্ত নামাজ পড়ি। কিন্তু খুব বদ একটা অভ্যাস আছে আমার। আমি ব্লু-ফিল্মে খুব করে আসক্ত। সেজন্য আমি পুরোপুরি ইসলামে মন থেকে আসতে পারছি না। কিন্তু আমি চাই পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করতে। আমি যেভাবেই এবাদত করি সেটা মন থেকে আসে না। নফল সিয়াম পালন করতে চাই কিন্তু ফ্যামিলি সেটা বুঝে না। বিরক্তিবোধ করে। মনটা খুব শক্ত হয়ে গেছে আল্লাহর পথ থেকে। আমি চাই এই আসক্ত থেকে মুক্ত হতে।  আমি কিভাবে সেটা থেকে মুক্তি পাবো এবং দ্বীনকে সত্যিকারভাবে রিয়েলাইজ করবো? এক্ষেত্রে আমি চাচ্ছি স্মার্টফোন ইউজ করা ছেড়ে দেবো। সেটা কি আমার জন্য ভালো হবে? স্মার্টফোন ছেড়ে দেওয়া পরবর্তী সময় আমি চাই স্মার্টফোনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করি, সেটা কি করে করতে পারি??

1 Answer

0 votes
by (63,440 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

গোনাহ করা ও পর্ণ এবং অশ্লীল ভিডিও দেখার ফলে আখেরাতে তো তার জন্য কঠিন ও মারাত্মক শাস্তি রয়েছেই, সাথে সাথে এতে তার আমলনামা কলুষিত হয়, দীন ও চরিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অন্তর শয়তানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। পর্ণ ও অশ্লীলতায় ডুবে থাকা ব্যক্তির অন্তর রোগাক্রান্ত হয়। সে অন্তরে ভয়-ভীতি, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা ও নি:সঙ্গতা অনুভব করে। অন্তর থেকে লজ্জা শরম বিদায় নেয়, ঈমানের স্বাদ উঠে যায় এবং আল্লাহ ভীতি লোপ পায়।

আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)

https://ifatwa.info/50877/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে, তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ অনুভব করতে হবে।

আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)

একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ -কে বলল, অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল, হ্যাঁ, পড়ে। রাসূলুল্লাহ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)

বেশি বেশি যিকির করতে হবে।

মাঝে মাঝেই দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে সময় লাগাতে পারেন।

বেশির ভাগ সময় মসজিদে কাটানোর চেষ্টা করুন।

নিজের ভিতর থেকে হতাশা সম্পূর্ন ভাবে দূর করে দিন। আলোর পথে আসুন।

নিজ মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেব,মুয়াজ্জিন সাহেব থেকে সাজেশন নেওয়ার চেষ্টা করুন।

তাদের সাথে ফ্রি হয়ে কিভাবে আমলের পথে চলা যায়,সেটা জানুন।

তাদেত সাথেই বেশিরভাগ সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।  

অসৎ সাথীদের সাথে ঘুরাফেরা বন্ধ করুন।

যেই জায়গা,যেই কাজ করলেই ঐ বিষয় গুলো মাথায় আসে,সেই জায়গায় যাওয়া সেই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।

হক্কানী শায়েখদের কাছে যান,তাদের দেওয়া সবক আদায় করতে পারেন।

কোনোভাবেই একাকী থাকা যাবেনা।

কিভাবে কাহারো সাথে থাকা যায়,সেই ব্যবস্থা করুন।

বিশেষ করে একাকী রাত কোনোভাবেই কাটানো যাবেনা।

আপনার রুমে অন্য কাহারো থাকা নিশ্চিত করুন।

প্রয়োজন মেসে থাকতে পারেন। 

হাদিসে এসেছে নবী কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ ২/৯১)

ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন ঘুমানোর দোয়াগুলো পড়া, ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো; যেহেতু এ সম্পর্কে নবী -এর নিষেধ আছে।

কাছে মোবাইল বা কম্পিউটার  রাখা যাবেনা,সেটি অন্য ঘরে রেখে আসতে হবে। যথাসম্ভব মাগরিবের পর থেকেই মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে।

রাতে খাবার খাওয়ার কমপক্ষে  এক দেড় ঘন্টা পর বিছানায় যাবেন।

অনৈসলামিক কোনোকিছুই মোবাইল,কম্পিউটারে রাখা যাবেনা।

নেটে এজাতীয় সাইটে কোনোভাবেই যাওয়া যাবেনা।  

পাশাপাশি নবী নবী -এর নির্দেশিত প্রতিকার পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। সেটা হচ্ছে রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন চাহিদাকে পরিশীলিত করে।

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!

আপনি যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত বিয়ে করার ফিকির করুন। স্থানীয় কোন আলেমের সোহবতে থাকুন ও উল্লেখিত কাজগুলো করতে থাকুন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে গুনাহ থেকে দূরে রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (20 points)
জাযাকাল্লাহু খইর,

জীবনটা অতিষ্ট হয়ে গেছে এই বদঅভ্যাসের জন্য। বেশি হলে একমাস থাকতে পারি এসব না করি বাট দীর্ঘস্থায়ী হয় না। অনুগ্রহ করে আমরা যারা এসবে আসক্ত আছি, আমাদের সকলের জন্য দোয়া করুন।

এসবের জন্য কি আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না?? আমাকে শাস্তি পেতেই হবে? কি আমল করলে এটার শাস্তি থেকে রক্ষা পাবো??
দয়া করে জানান হুজুর।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...