জবাবঃ-
কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহী গ্রন্থ আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহতুল কোয়েতিয়্যাহ নামক কিতাবে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।নিম্নে আলোচনার সেই চুম্বকাংশকে তুলে ধরছি-
কিরাতুল কুরআন অর্থ-
الْقِرَاءَةُ فِي اللُّغَةِ: التِّلاَوَةُ
কিরাতুন শব্দের অর্থ হল,তিলাওয়াত।
وَالْقِرَاءَةُ اصْطِلاَحًا: هِيَ تَصْحِيحُ الْحُرُوفِ بِلِسَانِهِ بِحَيْثُ يُسْمِعُ نَفْسَهُ، وَفِي قَوْلٍ وَإِنْ لَمْ يُسْمِعْ نَفْسَهُ
পারিভাষিক কিরাত বলা হয়,যবান থেকে হরফ সমূহ উচ্ছারিত হওয়া,এমনভাবে যে,তা নিজে শ্রবণ করা যায়,এক বর্ণনামতে শ্রবণ করা না গেলেও তা কিরাত হিসেবে বিবেচ্য হবে।(৩৩/৪৬)
الْفَرْقُ بَيْنَ الْقِرَاءَةِ وَالتِّلاَوَةِ: أَنَّ التِّلاَوَةَ لاَ تَكُونُ إِلاَّ لِكَلِمَتَيْنِ فَصَاعِدًا، وَالْقِرَاءَةُ تَكُونُ لِلْكَلِمَةِ الْوَاحِدَةِ
কিরাত এবং তিলাওয়াতের পার্থক্য হল,সর্বনিম্ন একটি কালিমাকে উচ্ছারণ করে নিলে সেটা কিরাত হিসেবে বিবেচ্য হবে।তবে তিলাওয়াত হতে হলে সর্নিম্ন দু'টি বা তার চেয়ে চেশী আয়াত হতে হবে।(৩৩/৪৭)
কোন কোন জায়গায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে?
يُسْتَحَبُّ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي مَكَانٍ نَظِيفٍ مُخْتَارٍ، وَلِهَذَا اسْتَحَبَّ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي الْمَسْجِدِ لِكَوْنِهِ جَامِعًا لِلنَّظَافَةِ وَشَرَفِ الْبُقْعَةِ، قَالَهُ النَّوَوِيُّ.
وَصَرَّحَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ بِكَرَاهَةِ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الْمَوَاضِعِ الْقَذِرَةِ، وَاسْتَثْنَى الْمَالِكِيَّةُ الآْيَاتِ الْيَسِيرَةَ لِلتَّعَوُّذِ وَنَحْوِهِ.
পবিত্রতম পছন্দনীয় স্থানেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।এজন্য উলামাদের বড় একটি জামাত পছন্দ করেন যে,মসজিদেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।কেননা মসজিদ পরিচ্ছন্ন থাকে এবং মসজিদই হল,সর্বোত্তম স্থান।এটা ইমাম নববী রাহ এর মন্তব্য। হানাফি, শা'ফেয়ী, মালিকী,এবং হাম্বলী মাযহাবের সমস্ত ফুকাহায়ে কিরামের সিদ্ধান্ত হল,ময়লাযুক্ত স্থানে কুরআন তিলাওয়াত মাকরুহ।তবে মালিকী মাযহাবের ফুকাহাগণ দু'আর ছোট্ট আয়াতকে ময়লাযুক্ত স্থানে পড়ারও অনুমোদন দিয়ে থাকেন।(৩৩/৬২)বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/171