ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সালাম দেয়ার সময় বা সালামের জবাব দেয়ার সময় ডান হাত সামান্য উঁচু করে দ্বারা ইশারা করা বিদ'আত। হ্যা, কেউ এমন দূরে থাকলে, যেখানে আওয়াজ পৌছাবেনা, সেখানে সালাম বলার সময় হাত উত্তোলন করলে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
আবদুল্লাহ বিন জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: لَمَّا جَاءَ نَعْيُ جَعْفَرٍ -حِينَ قُتِلَ- قَالَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - «اصْنَعُوا لِآلِ جَعْفَرٍ طَعَامًا, فَقَدْ أَتَاهُمْ مَا يَشْغَلُهُمْ». أَخْرَجَهُ الْخَمْسَةُ, إِلَّا النَّسَائِيَّ
حسن. رواه أحمد (1/ 205)، وأبو داود (3132)، والترمذي (998)، وابن ماجه (1610)، وقال الترمذي: هذا حديث حسن صحيح
তিনি বলেন, যখন জাফরের নিহত (শহীদ) হবার সংবাদ (মদীনাহতে) পৌঁছল তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, জা’ফরের পরিবারবর্গের জন্য তোমরা খাবার তৈরি করা। কারণ তাদের নিকট এমন এক বিপদ এসেছে যা তাদেরকে শোকাভিভূত কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে ফেলেছে।(তিরমিযী ৯৯৮, আবূ দাউদ ২১৩২, ইবনু মাজাহ ১৬১০)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জা'ফর রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْهَلَ آلَ جَعْفَرٍ ثَلَاثًا أَنْ يَأْتِيَهُمْ، ثُمَّ أَتَاهُمْ، فَقَالَ: «لَا تَبْكُوا عَلَى أَخِي بَعْدَ الْيَوْمِ»، ثُمَّ قَالَ: «ادْعُوا لِي بَنِي أَخِي»، فَجِيءَ بِنَا كَأَنَّا أَفْرُخٌ، فَقَالَ: «ادْعُوا لِي الْحَلَّاقَ»، فَأَمَرَهُ فَحَلَقَ رُءُوسَنَا
মু'তার যুদ্ধ শেষে রাসূলুল্লাহ সাঃ হযরত জা'ফর ইবনে আবু-আবু তালিবের বাড়ীর আত্মীয় স্বজনকে তিন দিন পর্যন্ত শোক পালনের অবকাশ দিয়েছিলেন।এবং এই তিনদিন তিনি তাদের বাড়ীতে আসেননি।অতঃপর তিনি তাদের বাড়ীতে আসলেন।এবং বললেন,তোমরা এরপর থেকে আর কাদবে না।অতঃপর বললেন,আমার ভাতিজাদেরকে ডাকো।আব্দুল্লাহ ইবনে জা'ফর রাযি বলেন, পাখির ছানার মত আমাদেরকে আদর করে নিয়ে আসা হলো।তারপর রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,আমার কাছে নাপিতকে নিয়ে আসো।নাপিত আসলে তাকে আমাদের চুল মুন্ডানোর আদেশ দেন,অতঃপর নাপিত আমাদের চুলকে মুন্ডিয়ে দিলো।(সুনানে আবু-দাউদ-৪১৯২)
আল্লামা আইনি রাহ বলেন,
قال العيني : " يستفاد من الحديث استحباب صنعة الطعام لأهل الميت ، سواء كان الميت حاضرا ، أو جاء خبر موته ، وذلك لاشتغال أهله بخبره ، أو بحاله ، ولذلك علل عليه السلام بقوله: ( فإنه قد أتاهم أمرٌ يَشغَلُهم ) أي: فإن الشأن : قد أتاهم أمر، أي: شأن وحالة ، شَغلهم عن صنعة الطعام وغيره " انتهى من " شرح سنن أبي داود " (6/ 59) .
ইমাম সুয়ুতি রাহ বলেন,
قال السيوطي : " هَذَا الْأَمر كَانَ فِي الِابْتِدَاء على الطَّرِيقَة المسنونة ، ثمَّ صَار حَدثا فِي الْإِسْلَام ، حَيْثُ صَار مفاخرة ومباهاة ، كَمَا هُوَ الْمَعْهُود فِي زَمَاننَا ؛ لِأَن النَّاس يَجْتَمعُونَ عِنْد أهل الْمَيِّت ، فيبعث أقاربهم أطعمة لَا تَخْلُو عَن التَّكَلُّف ، فَيدْخل بِهَذَا السَّبَب الْبِدْعَة الشنيعة فيهم ". انتهى من " شرح سنن ابن ماجه " ( ص: 116)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য সহানুভূতি মূলক খাবার প্রেরণ করা, প্রতিবেশী ও অত্মীয় স্বজনের জন্য সুন্নত। কেননা তারা শোকের মধ্যে থাকার কারণে রান্নাবান্না করতে পারবে না।তিন দিন পর্যন্ত খাবার প্রেরণ করা সুন্নত।ইমাম শাফেয়ী রাহ বলেন, একদিন একরাত খাবার প্রেরণ করা সুন্নত। তবে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জনকে ইসলাম কখনো প্রশ্রয় দিবে না। নিজে যে খাবার ভক্ষণ করবেন, সেটাই তাদের জন্য প্রেরণ করবেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য সাথে সাথেই রান্নাবান্না করা জায়েয।
(৩)
জ্বী, ধৌত করতে হবে।