আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (33 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ।
ক)সর্বনিম্ন ঈমান অন্তরে ঘৃণা করা।যার অন্তরে ঘৃণারও উদ্রেগ হবেনা সে মুমিন নয়। তাহলে
1-হারাম নিয়ে মজা করা জায়েজ?
2-এটা হালাল বিনোদন হবে?
3-নিজে হারাম কাজ করছেনা তবে সাচ্ছন্দে মজা করছে।তার হুকুম কি?যেমন:কিরে ফুল কই আজকে না ভালোবাসা দিবস,প্রেমিকার কাছে যা,বিয়ে বাড়িতে নাচগান কই?শালীরা হাত ধোয়াবে না?

4-নিজে করছেনা তবে অন্যের হারাম কাজ ঘৃণা না করে উপভোগ করছে।ঐ মুহুর্তে তার ঈমান আছে?যেমন:নাচ/দাবা খেলা/কনসার্ট/অশ্লীলতা দেখছে,গান/প্রেমের গল্প শুনছে।

খ)মানুষ বলে বাপের বাড়ি থেকে কি এনেছো?কি দিয়েছে?সাজন(শীতের পিঠা,গ্রীষ্মের ফল)দেয়না?
1-তখনই কি উত্তর দেওয়া উচিত?
2-তালিমে কি বলে বোঝানো যায় কুরআন হাদিস থেকে রেফারেন্সসহ জানাবেন?
3-এসব বললে জুলুম হবে কিনা?হলে তার পরিণতি কি?
4-অন্যের বিষয়ে বেশি কৌতুহল রাখা সম্পর্কে কুরআন হাদিস থেকে জানাবেন।

গ)বড় বউএর বাবার বাড়ি থেকে সাজন পাঠাইছে।ছোট বউএর বাবা পাঠাইনি।এজন্য সে হীনমন্যতায় ভুগছে।
1-ছোটর ওপর জুলুম হচ্ছে কিনা?2-বড়বউ/তার বাবার এখানে গুনাহ হবে কিনা?
3-এসব পাঠানো ইসলামে কি?এটা নেকী/পাপের কাজ?
4-এসব পাঠানোর কাজে অংশ না নিলে কি পাপ/নেকি হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ক,
1.
হারাম নিয়ে মজা করা জায়েজ নয়।

2.
এটা হালাল বিনোদন হবেনা।

3.
এগুলো যদি সে এমনিতেই ইয়ার্কি হিসেবে বলে থাকে,বাস্তুবে যদি সে এগুলোকে ঘৃণা করে,এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
সেক্ষেত্রে এটিকে হারাম কাজ নিয়ে মজা করা বলা যায়না।

4.
তার ঈমান আছে,তবে তার কবিরা গুনাহ হচ্ছে।

খ,
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।


1.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উত্তর দিতে হবে যে এগুলো সমাজের প্রথা,শরীয়তে এরকম কিছুর গ্রহনযোগ্যতা নেই।
এগুলো মেয়ের বাবার উপর এক প্রকার জুলুম,যাহা শরীয়তে জায়েজ নেই।

2.
উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস তিলাওয়াত করে বুঝাবেন যে, এগুলো সমাজের প্রথা,শরীয়তে এরকম কিছুর গ্রহনযোগ্যতা নেই।

মেয়ের বাবা সমাজের নিয়ম না মেনে এমনিতে নিজে সন্তুষ্টি চিত্তে  পাঠালে এটি জায়েজ হবে,নতুবা জায়েজ হবেনা,সেক্ষেত্রে জুলুমের গুনাহ হবে।

3.
মেয়ের বাবার সমাজের চাপে বা ছেলের বাড়ির কাহারো চাপে পাঠালে এটি জুলুম হবে,সেক্ষেত্রে যারা চাপ প্রয়োগ করেছে,তাদের জুলুমের গুনাহ হবে।

আখেরাতে এর দরুন তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। 

4.
যে বেশি আমল করে,তার দ্বীনি আমল,নামাজ রোযা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নিজে আমল নিয়তে তার আমল জানা যাবে।
শিক্ষা নেয়ার নিমিত্তে জানা যাবে।
,
তবে কাহারো গুনাহ জানতে চাওয়া,পারিবারিক গোপনীয়তা সম্পর্কে জানতে যাওয়া যাবেনা।

গ,
1.
এক্ষেত্রে কেউ তাকে কিছু বললে জুলুম হবে।
ইঙ্গিতে বুঝালেও গুনাহ হবে।

2.
তারা তো ছোট বউয়ের উপর জুলুম করছেনা,তাই তাদের গুনাহ হবেনা।
তবে তারা যদি বিষয়টি নিয়ে কথা বলে,বা ছোট বউকে কষ্ট দেয়ার জন্য ছোট করার জন্যই এমন কতে থাকে,সেক্ষেত্রে তাদেরও কষ্ট দেয়ার গুনাহ হবে।
এটিও জুলুমের অন্তর্ভুক্ত হবে।

3.
সন্তুষ্টি চিত্তে দিলে হাদিয়ার ছওয়াব হবে।
সন্তুষ্টি চিত্তে না দিলে যাদের চাপে দিয়েছে,তাদের জুলুমের গুনাহ হবে 

4.
এক্ষেত্রে কোনো পাপ বা গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...