وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ক,
1.
হারাম নিয়ে মজা করা জায়েজ নয়।
2.
এটা হালাল বিনোদন হবেনা।
3.
এগুলো যদি সে এমনিতেই ইয়ার্কি হিসেবে বলে থাকে,বাস্তুবে যদি সে এগুলোকে ঘৃণা করে,এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
সেক্ষেত্রে এটিকে হারাম কাজ নিয়ে মজা করা বলা যায়না।
4.
তার ঈমান আছে,তবে তার কবিরা গুনাহ হচ্ছে।
খ,
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।
1.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উত্তর দিতে হবে যে এগুলো সমাজের প্রথা,শরীয়তে এরকম কিছুর গ্রহনযোগ্যতা নেই।
এগুলো মেয়ের বাবার উপর এক প্রকার জুলুম,যাহা শরীয়তে জায়েজ নেই।
2.
উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস তিলাওয়াত করে বুঝাবেন যে, এগুলো সমাজের প্রথা,শরীয়তে এরকম কিছুর গ্রহনযোগ্যতা নেই।
মেয়ের বাবা সমাজের নিয়ম না মেনে এমনিতে নিজে সন্তুষ্টি চিত্তে পাঠালে এটি জায়েজ হবে,নতুবা জায়েজ হবেনা,সেক্ষেত্রে জুলুমের গুনাহ হবে।
3.
মেয়ের বাবার সমাজের চাপে বা ছেলের বাড়ির কাহারো চাপে পাঠালে এটি জুলুম হবে,সেক্ষেত্রে যারা চাপ প্রয়োগ করেছে,তাদের জুলুমের গুনাহ হবে।
আখেরাতে এর দরুন তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
4.
যে বেশি আমল করে,তার দ্বীনি আমল,নামাজ রোযা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নিজে আমল নিয়তে তার আমল জানা যাবে।
শিক্ষা নেয়ার নিমিত্তে জানা যাবে।
,
তবে কাহারো গুনাহ জানতে চাওয়া,পারিবারিক গোপনীয়তা সম্পর্কে জানতে যাওয়া যাবেনা।
গ,
1.
এক্ষেত্রে কেউ তাকে কিছু বললে জুলুম হবে।
ইঙ্গিতে বুঝালেও গুনাহ হবে।
2.
তারা তো ছোট বউয়ের উপর জুলুম করছেনা,তাই তাদের গুনাহ হবেনা।
তবে তারা যদি বিষয়টি নিয়ে কথা বলে,বা ছোট বউকে কষ্ট দেয়ার জন্য ছোট করার জন্যই এমন কতে থাকে,সেক্ষেত্রে তাদেরও কষ্ট দেয়ার গুনাহ হবে।
এটিও জুলুমের অন্তর্ভুক্ত হবে।
3.
সন্তুষ্টি চিত্তে দিলে হাদিয়ার ছওয়াব হবে।
সন্তুষ্টি চিত্তে না দিলে যাদের চাপে দিয়েছে,তাদের জুলুমের গুনাহ হবে
4.
এক্ষেত্রে কোনো পাপ বা গুনাহ হবেনা।