বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
যে শব্দ বুঝে আসতেছেন,সে শব্দ যে বিষয়টি এখানে বুঝাতে চাচ্ছে,সেটির সম্পূর্ণ বিপরীত কিছু বুঝানো হলে সেটি জায়েজ হবেনা
তবে উক্ত শব্দ যেটি বুঝাতে চাচ্ছে,তার কাছাকাছি কিছু বুঝানো হলে সেক্ষেত্রে এটি নাজায়েজ হবেনা।
★সর্বপরি বেতনের কোনো অংশ হারাম হয়ে যাবেনা।
★এক্ষেত্রে ঐ সাবজেক্ট যে ভালো বুঝে তার সহায়তা নেয়া উচিত।
(০২)
আপনি মজলিস ছেড়ে চলে যাবেন।
তাদের সাথে কোনোক্রমেই দাড়াবেননা।
(০৩)
প্রশ্নের বিবেচনায় মতে এক্ষেত্রে কুফর হবেনা।
(০৪)
অমুসলিম কাহারো কাছে দোয়া চাওয়া জায়েজ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ لَا یَسۡتَجِیۡبُوۡنَ لَہُمۡ بِشَیۡءٍ اِلَّا کَبَاسِطِ کَفَّیۡہِ اِلَی الۡمَآءِ لِیَبۡلُغَ فَاہُ وَ مَا ہُوَ بِبَالِغِہٖ ؕ وَ مَا دُعَآءُ الۡکٰفِرِیۡنَ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ ﴿۱۴﴾
যারা তাঁকে ছাড়া অন্যকে আহবান করে (ডাকে), তাদেরকে কোন কিছুতেই তারা সাড়া দেয় না? তাদের দৃষ্টান্ত সে ব্যক্তির মত, যে তার মুখে পানি পৌছবে এ আশায় তার দুহাত মেলে ধরে পানির দিকে, অথচ তা তার মুখে পৌছার নয়, আর কাফিরদের আহ্বান (দোয়া) তো কেবল ভ্ৰষ্টতায় নিপতিত।
(সুরা রা'দ ১৪)
ইসলামী স্কলারগন বলেছেন,
لا يجوز طلب الدعاء من الكافر، لأنه ليس أهلا للإجابة، ولأنه مبغوض من الله، فكيف يتوسل إلى الله تعالى بدعاء من يبغضه!
সারমর্মঃ-
কাফেরের থেকে দোয়া চাওয়া জায়েজ নেই,কেননা তার দোয়া কবুল হওয়ার উপযুক্তই নয়। কেননা সে আল্লাহর গোস্বায় রয়েছে,সুতরাং তার দোয়া কিভাবে আল্লাহর নিকট পৌছবে? যেক্ষেত্রে তিনি তার উপর রেগে আছেন?
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অমুসলিমদের কাছে দোয়া চাইলে কুফর হয়ে যায়না।
তবে এটি নাজায়েজ।
(০৫)
হানাফি মাযহাবের বিপরীত অনেক তার ফতোয়া আছে।
সে মাসয়ালা গুলি মানা যাবেনা।
তাই সাধারণ ব্যাক্তিদের তার বই পড়ে আমল না করার পরামর্শ উলামায়ে কেরামগন দিয়ে থাকেন।
(০৬)
আপনি যদি সঠিক উচ্চারণ করতে সক্ষম না হোন,সেক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে।
(০৭)
ইমাম সাহু সিজদার সালাম ফিরানোর সময়, কোনো মুক্তাদি যে ২/১ রাকাত পরে এসেছে,অর্থাৎ মাসবুক, সে ইমামের সাথে সালাম ফিরাবেনা।
শুধু ইমামের সাথে সেজদায় শরীক হবে।
যদি ইমামের সাথে সালাম ফিরায়,তবুও নামাজ হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৮)
এগুলো পড়ালে,যারা পড়ায় তাদের ঈমানে সমস্যা হবেনা। এই গুলোর মধ্যে যেহেতু হারাম খাবার খাওয়ার কথাও থাকে,তাই এগুলো অনেকটা কোরআন হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক।
(০৯)
এক্ষেত্রে ওই কাজ না হলে তাদের বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হতে পারেনা।
(১০)
না,এক্ষেত্রে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(১১)
দাড়িকে নিয়ে তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্যে এগুলো বললে তার ঈমান চলে যাবে।
তাকে নতুন করে ঈমান আনতে হবে।
দাড়িকে নিয়ে তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্য না হলে তার ঈমাম চলে যাবেনা।
তবুও তাকে তওবা করতে হবে।