আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
edited by
১. আমরা পড়ানোর সময় অনেক সময় দেখি কোনো একটা শব্দের বা লাইনের অর্থ পুরোপুরি বুঝতেছি না। তখন আমরা যদি আমাদের যেটা সঠিক মনে হয়,  সেটা অনুযায়ী পড়িয়ে দেই তা কি জায়েজ হবে? তা না হলে আমাদের আমাদের বেতনের কোনো অংশ কি হারাম হয়ে যাবে? এক্ষেত্রে কি করবো?
২. আমি ব্রেলবী উৎদোশিত এলাকায় থাকি,  মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই তারা মিলদ-কিয়াম করে,  এক্ষেত্রে আমি না চাইতেও পরিস্থিতি বিবেচনায় মাঝে মধ্যে তাদের মিলাদে থাকতে হয়, তখন, তারা যখন বলে আসেন সবাই দাড়াইয়া সালাম জানাই এর আগেই আমি বাইরে / মজলিস ছেড়ে চলে যাই আবার দাড়ানোর পরে তাদের সাথে দাড়িয়ে থাকি কিছু বলি না, এমনিই বিভিন্ন বিষয় ভাবি। এক্ষেত্রে কি গুনাহ হবে?

৩. "ইসলামী আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ" এই বই এর নাম দেখে কেও যদি "ও" বাদ দিয়ে পড়ে এতে কি কুফর হবে? তার ইসলামী আকিদাকে ভ্রান্ত বলার ইচ্ছে নাই,শুধু নিজে নিজে এই নাম জপেছে "ও " ছাড়া।

৪. অমুসলিমদের কাছে দোয়া চাইলে কি কুফর হয়ে যায়? অনেক সময় ছাত্র জমায়েত বা শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে অনেকে বলে থাকেন, দোয়া করবেন সেখানে বিধর্মী ও থাকেন।

৫. আমরা কি ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের বই পড়ে সেখান থেকে মাসআলা জেনে আমল করতে পারি? উনিওতো হানাফি ছিলেন।

৬. সুরা ফাতিহা পাঠের সয়য় "আঈন" "ধোয়াদ" এই অক্ষর সঠিক ভাবে না উচ্চারণ করলে নামাজ হবে না?

৭. ইমাম সাহু সিজদার সালাম ফিরানোর সময়, কোনো মুক্তাদি যে ২/১ রাকাত পরে এসেছে, সে কি ইমামের সাথে সালাম ফিরাবে? না কি ফিরানে না, আর ফিরালে কি নামাজ ভঙ্গ হবে

৮. আদিম মানুষেরা গুহায় বাস করতো, চাকা ছিলো না, শিকার করে খেতো, ইত্যাদি যে থিওরী এগুলো পড়ালে কি যারা পড়ায় তাদের ইমানে সমস্যা হবে? এই গুলো কি সরাসরি কোরআন হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক?
৯. কোনো স্ত্রী যদি বলে,অমুক কাজ না হলে আমারে ছেড়ে দিয়ো, এতে স্বামী যদি আচ্ছা বলে দেয় তবে কি ওই কাজ না হলে তাদের বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হতে পারে?

১০. কেও যদি সমাজের অধিকাংশের অবস্থা বুঝাতে বলে, যে সমাজের মনুষের কাছে এখন এমন অবস্থা যে ধর্ম ততোটুকু মানি যতো টুকু আমার পক্ষে থাকে"  এভাবে বললে কি সেই কথকের ইমানি সমস্যা হবে?

১১. কেও যদি কাওকে দাড়ি রাখার ফলে বলে যেন, ""বুড়া লাগতোছে তরে/বুড়ার বুড়া/বুড়া কোনানের,""এতে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
যে শব্দ বুঝে আসতেছেন,সে শব্দ যে বিষয়টি এখানে বুঝাতে চাচ্ছে,সেটির সম্পূর্ণ বিপরীত কিছু বুঝানো হলে সেটি জায়েজ হবেনা

তবে উক্ত শব্দ যেটি বুঝাতে চাচ্ছে,তার কাছাকাছি কিছু বুঝানো হলে সেক্ষেত্রে এটি নাজায়েজ হবেনা।

★সর্বপরি বেতনের কোনো অংশ হারাম হয়ে যাবেনা।

★এক্ষেত্রে ঐ সাবজেক্ট যে ভালো বুঝে তার সহায়তা নেয়া উচিত।

(০২)
আপনি মজলিস ছেড়ে চলে যাবেন।
তাদের সাথে কোনোক্রমেই দাড়াবেননা।


(০৩)
প্রশ্নের বিবেচনায় মতে এক্ষেত্রে কুফর হবেনা।

(০৪)
অমুসলিম কাহারো কাছে দোয়া চাওয়া জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

 وَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ لَا یَسۡتَجِیۡبُوۡنَ لَہُمۡ بِشَیۡءٍ اِلَّا کَبَاسِطِ کَفَّیۡہِ اِلَی الۡمَآءِ لِیَبۡلُغَ فَاہُ وَ مَا ہُوَ بِبَالِغِہٖ ؕ وَ مَا دُعَآءُ الۡکٰفِرِیۡنَ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ ﴿۱۴﴾ 

যারা তাঁকে ছাড়া অন্যকে আহবান করে (ডাকে), তাদেরকে কোন কিছুতেই তারা সাড়া দেয় না? তাদের দৃষ্টান্ত সে ব্যক্তির মত, যে তার মুখে পানি পৌছবে এ আশায় তার দুহাত মেলে ধরে পানির দিকে, অথচ তা তার মুখে পৌছার নয়, আর কাফিরদের আহ্বান (দোয়া) তো কেবল ভ্ৰষ্টতায় নিপতিত।
(সুরা রা'দ ১৪)

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন,
لا يجوز طلب الدعاء من الكافر، لأنه ليس أهلا للإجابة، ولأنه مبغوض من الله، فكيف يتوسل إلى الله تعالى بدعاء من يبغضه!
সারমর্মঃ-
কাফেরের থেকে দোয়া চাওয়া জায়েজ নেই,কেননা তার দোয়া কবুল হওয়ার উপযুক্তই নয়। কেননা সে আল্লাহর গোস্বায় রয়েছে,সুতরাং তার দোয়া কিভাবে আল্লাহর নিকট পৌছবে? যেক্ষেত্রে তিনি তার উপর রেগে আছেন?

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অমুসলিমদের কাছে দোয়া চাইলে কুফর হয়ে যায়না।
তবে এটি নাজায়েজ।

(০৫)
হানাফি মাযহাবের বিপরীত অনেক তার ফতোয়া আছে।
সে মাসয়ালা গুলি মানা যাবেনা।
তাই সাধারণ ব্যাক্তিদের তার বই পড়ে আমল না করার পরামর্শ উলামায়ে কেরামগন দিয়ে থাকেন।

(০৬)
আপনি যদি সঠিক উচ্চারণ করতে সক্ষম না হোন,সেক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে।

(০৭)
ইমাম সাহু সিজদার সালাম ফিরানোর সময়, কোনো মুক্তাদি যে ২/১ রাকাত পরে এসেছে,অর্থাৎ মাসবুক, সে ইমামের সাথে সালাম ফিরাবেনা।
শুধু ইমামের সাথে সেজদায় শরীক হবে।

যদি ইমামের সাথে সালাম ফিরায়,তবুও নামাজ হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ- 


(০৮)
এগুলো পড়ালে,যারা পড়ায় তাদের ঈমানে সমস্যা হবেনা। এই গুলোর মধ্যে যেহেতু হারাম খাবার খাওয়ার কথাও থাকে,তাই এগুলো অনেকটা কোরআন হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক।

(০৯)
এক্ষেত্রে ওই কাজ না হলে তাদের বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হতে পারেনা।

(১০)
না,এক্ষেত্রে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

(১১)
দাড়িকে নিয়ে তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্যে এগুলো বললে তার ঈমান চলে যাবে।
তাকে নতুন করে ঈমান আনতে হবে।

দাড়িকে নিয়ে তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্য না হলে তার ঈমাম চলে যাবেনা।
তবুও তাকে তওবা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
১১. আমার বউ আমাকে প্রায় ই মজা করে বুড়া বলে, বলে আগের থেকে বুড়া হয়ে গেছি? আমার কেনে জানি মনে হয় দাড়ির জন্য বলে?তাকে কি এই বিষয়ে জিজ্ঞেসা করা দরকার? 
by (565,890 points)
না,তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার দরকার নেই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...