আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
(১) আসসালামু আলাইকুম শায়েখ https://ifatwa.info/64932/ এই লিংকে ২ নং প্রশ্নে আমি একটা বিষয় বলতে ভুলে গেছি যা ওয়াসওয়াসা আসতিসে। তা হলো আমার অন্য ছেলের সাথে বিয়ের পর ইজাব কবুলের মাসআলা পড়ে ওয়াসওয়াসা আসতো তাই ঐ ছেলে কে প্রশ্ন করছিলাম কিন্তু ঐ ছেলে কে প্রশ্ন করার আগেই আমি শিওর হই যে এটা ওয়াসওয়াসা। ঐ ছেলে ও বলছে এমন কিছু হয় নাই। কিন্তু আমার মা যখন বলছে কি একটা কথা বলতে গেছিল ঐ ছেলে কিন্তু ফোন কেটে গেছে তখন আমার ওয়াসওয়াসা আসে যে ওই ছেলেটা কি বিয়ে বিষয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি মূলক কোন কথা বলতে গেছিল কি না। আম্মুকে শুধু জিজ্ঞেস করছি আমার ব্যাপারে উল্টাপাল্টা কিছু বলে নাই তো। আম্মু বলছে না ও আমার বাবার কথা বলতে গেছিল কি একটা তখন ফোন কেটে গেছে।  ঐ ছেলে কে তো  এখন ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই যে কি কথা বলতে গেছিলা তাই তো শায়েখ?
(২) ছেলেটা শুধু মিথ্যা বলছে আমি নাকি তিনদিন আগে ওর সাথে ফোনে কথা বলছি যা মিথ্যা। এটাতে ও তো কোন সম্যসা হবে না সংসারে তাই তো শায়েখ?
৩. শায়েখ আমার ওয়াসওয়াসা আসে হচ্ছে একবার ঐ ছেলের দুজন ছেলে আত্বীয়র সাথে দেখা করছিলাম তাদের সামনে ইজাব কবুল হইছিল কি না এমন ওয়াসওয়াসা আসে পুরোটাই ভুল। আমি ঐ ছেলের সাথে পালিয়ে বিয়ে করতে চাইছিলাম তাই জামা কাপড় বাসা থেকে নিয়ে যেতে চাইছিলাম কিন্তু ঐ ছেলে জানতো না। ওই ছেলেকে বলছিলাম চলো/ চলেন পালায় যাই। ঐ ছেলে বলছিল না পালিয়ে যাবো না। আমার পক্ষে পালানো সম্ভব না। আমার পক্ষে এভাবে বিয়ে করা সম্ভব না।  এটা মুল ঘটনা। ওয়াসওয়াসা আমার এমন আসে যে যেহেতু আমি একটা ওয়াসওয়াসায় পরে/পড়ে ঐ ছেলেকে ফোন দিয়েছিলাম কিন্তু তার সাথে কথা বলার আগেই শিওর হই যে এটা ওয়াসওয়াসা। কিন্তু ঐ ছেলে যদি মিথ্যা বলে যে ঐ দুজন লোকের সামনে ইজাব কবুল হইছিল কিন্তু তা মিথ্যা আমি জানি আল্লাহ কসম কোন ইজাব কবুল হয় নাই। তাহলে কি আমার বর্তমান সংসারে কোন সম্যসা হতো? ছেলেটা কোন মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয় নাই।
(৪) ৩নং প্রশ্নে এভাবে আল্লাহর  কসম দিলে কি লিআন হবে?

(৫)আমার স্বামী কে কি অামার অতীতের ব্যাপারে জানাতে হবে? আমি আমার বিয়ের এক বছর আগে থেকে ঐ ছেলের সাথে আস্তে আস্তে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। প্রেম করা হারাম জানার পর থেকে তওবাও করছি।
সব শেষে আমার সংসারে তো কোন সম্যসা নাই তাই তো শায়েখ।  আসলে আল্লাহর রহমতে আমি খুব ভাল আছি। আল্লাহ আপনাকে অনেক ভাল রাখুক শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
 ঐ ছেলে কে এখন ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই।

(০২)
এটাতে ও কোন সংসারে সমস্যা হবে না। 

(০৩)
বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এটির দরুন আপনার বর্তমান সংসারে কোন সমস্যা হবেনা।
কোনো ইজাব কবুল হয়নি।

(০৪)
৩নং প্রশ্নে এভাবে আল্লাহর  কসম দিলে লিআন হবেনা।

(০৫)
এটি জানানো আবশ্যক নয়।
আপনার স্বামী জানতে চাইলে, এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
বেশি জোড় করলে এক্ষেত্রে আপনি বলবেন।

এক্ষেত্রে আপনি চাইলে তাওরিয়া করতে পারেন।
বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...