জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
চিৎ হয়ে; কাত হয়ে; হেলান দিয়ে কিংবা কোনো কিছুর সঙ্গে ঠেস দিয়ে ঘুমালে যা সরিয়ে ফেললে ঘুমন্ত ব্যক্তি পড়ে যাবে।
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَيْسَ عَلَى مَنْ نَامَ سَاجِدًا وُضُوءٌ، حَتَّى يَضْطَجِعَ، فَإِنَّهُ إِذَا اضْطَجَعَ، اسْتَرْخَتْ مَفَاصِلُهُ
সেজদা অবস্থায় ঘুমালে অযু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙ্গে যাবে, কেননা, চিৎ বা কাত হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়। [ফলে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে]। (মুসনাদে আহমাদ ২৩১৫ আবু দাউদ ২০২)
ফাকীহুন নাফস রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ. সে ভিত্তিটাই অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেন
انما القول بانتقاض الطهارة بالنوم مبني على كونه علة للاسترخاء الداعي للخروج (الكوكب الدري (1/50
অর্থাৎ ঘুমের কারণে ওযু ভঙ্গ হওয়ার কথাটির ভিত্তি হল, ঘুমের কারণে মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জোড়াগুলো ঢিলে হয়ে যায় ফলে পায়ুপথে বায়ু বের হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিতম্ব জমিনের উপর ভালোভাবে স্থির থাকলে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
আর যদি নিতম্ব জমিনের উপর ভালোভাবে স্থির না থাকে,তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
(০২)
এক্ষেত্রে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
ওয়াজিব নামাজের ন্যায় আদায় করা আবশ্যক নয়
বসেও আদায় করতে পারবে।
(০৩)
যে সময় নামাজের নিয়ত ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি আছে,সেসময় বৈঠক বা দাঁড়ানো অবস্থায় ডান দিকে সালামা ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করবে।
وفي المحيط يقطعها قائما بتسليمة واحدة وهو الأصح۔ (بنایہ شرح ہدایہ : ٢/٥٦٥)
সারমর্মঃ-
নামাজকে ভেঙ্গে ফেলবে দাড়িয়ে এক সালাম দিয়ে।
এটিই সহীহ মত।