আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
86 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,
অতীতে আমরা খুবই বিশৃঙ্খল জীবনযাপন করতাম।দ্বীনের পথে চলার পর আমার সন্দেহ হয় যে আমাদের মাঝে কোন তালাক হয়ে গেল কিনা।
কয়েকজন মুফতি সাহেবের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওনারা বলেন বিয়েতে কোন সমস্যা হয়নি।তবুও আমি তাকে আবার ও বিবাহ করতে চাই।কারন অনেক কিছু ভুলেও গেছি।আমি ৩ মাস এর জন্য একটা কাজে  যাব, সেখান থেকে এসে তাকে পুনরায় বিবাহ করতে চাই।প্লিজ এই বিষয়ে আমাকে সাহায্য করবেন।

(১) তার কি ইদ্দত পালন করতে হবে?

২) ইদ্দত পালনের সময় কী তার সাথে কথা বলতে পারবো?

(৩)আমি নিয়ত করবো যে " হে  আল্লাহ আমি সন্দেহ থেকে বাচার জন্য তাকে ইদ্দত পালন করতে বলেছি,এবং পুনরায় বিবাহ করতেছি,এটি কোন তালাকের জন্য নয়"।এতে কী কোন সমস্যা হবে?

(৪)যেহেতু আমি নিশ্চিত নয় যে পূর্বে আমাদের মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে কিনা, আবার হয়নি কিনা এই বিষয়ে ও শতভাগ নিশ্চিত নয়।আমি বিবাহের পর কত তালাকের মালিক থাকবো।

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ [٢:٢٣٠]

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। [সূরা বাকারা-২৩০]

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

আরো বিস্তরিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/14316/

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 42)

" والاحتياط أن يجدد الجاهل إيمانه كل يوم ويجدد نكاح امرأته عند شاهدين في كل شهر مرةً أو مرتين؛ إذ الخطأ وإن لم يصدر من الرجل فهو من النساء كثير".

সারমর্ম: সতর্কতার বিষয় হলো জাহেল ব্যক্তি প্রতিদিন নিজের ইমান নবায়ন করবে এবং প্রতি মাসে একবার বা দুইবার স্বীয় স্ত্রীর সাথে বিবাব বন্ধনকে নবায়ন করবে। কারণ, যদিও পুরুষের থেকে প্রকাশিত ভুলের সংখ্যা কম কিন্তু নারীদের থেকে তা ব্যাপক ভাবে প্রকাশ পায়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

নিজের স্ত্রীর সাথে বিয়ে নবায়ন করার ক্ষেত্রে ইদ্দত পালন করার প্রয়োজন নেই। সুতরাং ইদ্দত পালন করা বা উক্ত সময়ে কথা বলা না বলার কোন প্রশ্নই উঠে না। আপনি তিন তালাকের অধিকারী থাকবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...