بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/6683 নং ফাতওয়ায় বর্ণিত রয়েছে ,
শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,
তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ
করতে পারবে।
আল্লাহ তায়ালা
বলেন,
فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع
তোমরা বিবাহ করবে
নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই,
তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার
করতে পারবে না, তাহলে
একজনকে (বিয়ে করো)।(সুরা : নিসা, আয়াত-৩)
দ্বিতীয় বিয়ে করার
ইসলামী শর্ত বেশ কঠিন অনেক কড়া। আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও
সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে
করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة
(سورہ نسا، آیت:۳)
আল্লাহতায়ালা বলেন,
একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে,
তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে
ভীত হও, তাহলে
এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক।
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ
قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ
بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ
وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্
(রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের
দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে,
তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন)
অবস্থায় উঠবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6683
একাধিক স্ত্রীর
মাঝে দুই বিষয়ে সমতা রক্ষা করা অতীব প্রয়োজন। স্ত্রীদের সঙ্গে রাতযাপন ও ভরণ-পোষণ।
এ দুই অধিকার সব স্ত্রীর ক্ষেত্রে সমানভাবে স্বামীকে পালন
করে যেতে হবে। কোন স্ত্রী সুন্দর বা অসুন্দর, আর কোনটি কুমারী বা বিধবা তা পার্থক্য করা যাবে না।
কিন্তু কোনো স্ত্রীর
প্রতি মনের ভালোবাসা বেশি হওয়া, আবার অন্য স্ত্রীর প্রতি কম হওয়া তা সমতার অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা,
এটি মনের বিষয়,
আর মনের ওপর কারও কোনো অধিকার নেই। একাধিক
স্ত্রীর ক্ষেত্রে শুধু রাতযাপন ও খরচাপাতি এ দুই বিষয়ে সমতা ধর্তব্য। এটাই হলো একাধিক
স্ত্রীর মধ্যে সমতা রক্ষার ইসলামি শরিয়তের বিধান।
হাদিসে আছে,
হযরত আয়েশা (রা.) বলেন,
নবী করিম (সা.) স্ত্রীদের মধ্যে পালাবণ্টন
করতেন এবং ন্যায়বিচার করতেন। আর বলতেন, হে আল্লাহ! আমি আমার শক্তি-সামর্থ্যানুযায়ী পালাবণ্টন
করলাম। সুতরাং যাতে শুধু তোমার ক্ষমতা রয়েছে, তাতে আমার শক্তি নেই। কাজেই তাতে তুমি আমাকে ভর্ৎসনা করো
না। (তিরমিজি : ১১৭০, আবু
দাউদ : ২১৩৬)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. সমতা বিধানে
সক্ষমতা থাকলে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেয় ইসলাম। যদি কেউ সমতা রক্ষা করতে না
পারে তবে একটি বিয়েই যথেষ্ট। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি কুরআনিক বিধানকে
অস্বীকার না করেন বরং ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে উক্ত কথাগুলি বলেন তাহলে আপনার ইমান ভঙ্গ
হবে না। তবে একজন মসলমান হিসেবে এমন কথা
বলা মোটেও উচিত নয়। পরবর্তীতে এমন কথা বলা থেকে দূরে থাকতে হবে ও অতীতের
কথাগুলি থেকে ইস্তেগফার করতে হবে।
২. যেহেতু আপনি
কুরআনের আইনকে অবমাননার উদ্দেশ্য উক্ত কথা বলেননি বিধায় আপন কাফের হবেন না। আপনার উচিত
স্বামীর হকসমূহ সঠিক ভাবে আদায় করা, খেদমত করা ও তাকে
বেশী বেশী ভালোবাসা যেন সে আপনার উপস্থিতিতে অন্য কাউকে বিয়ে করার প্রয়োজন বোধ
না করে।
৩. জ্বী না আপনার
ইমান চলে যায়নি। তবে পরবর্তীতে এজাতীয় কথা বলা বা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন ও অতীত
কর্মের উপরে ইস্তেগফার করবেন।