ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭)
(দারুল ইফতা বিন্নুরী, পাকিস্তান,ফাতাওয়া নং- 144106200277)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"গত একবছর আগে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী আমাকে বলে আমাকে ছেড়ে ফেল,এবং আমি বলি যাও চলে যাও,তোমাকে আমার দরকার নেই(মনে তালাকের নিয়ত ছিলনা,এবং এই কথা দ্বারা যে তালাক হবে সেটাও জানতাম না)কথাটি দ্বারা আমি তাকে তার বাড়িতে চলে যাবে সেটা বুঝিয়েছি ,সে বলে এভাবে বললে হবেনা আমাকে লিখীত দিতে হবে।তখন বাসায় আমরা দুইজন ছাড়া কেউ ছিলনা।"
এখানে এক তালাক বায়েন পতিত হয়ে যাবে। নতুন বিয়ের মাধ্যমে আপনারা আবার সংসার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে স্বামী দুই তালাকের মালিক হবে।