আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
229 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,

আমি একজন মূর্খ লোক,কারণ তালাকের মাসআলা না জেনেই বিয়ে করেছি।

আমার ভুল জানা ছিল,আমি মনে করতাম মুখে নিয়ত করে তালাক বললে তখন তালাক হয়,

গত একবছর আগে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী আমাকে বলে আমাকে ছেড়ে ফেল,এবং আমি বলি যাও চলে যাও,তোমাকে আমার দরকার নেই(মনে তালাকের নিয়ত ছিলনা,এবং এই কথা দ্বারা যে তালাক হবে সেটাও জানতাম না)কথাটি দ্বারা আমি তাকে তার বাড়িতে চলে যাবে সেটা বুঝিয়েছি ,সে বলে এভাবে বললে হবেনা আমাকে লিখীত দিতে হবে।তখন বাসায় আমরা দুইজন ছাড়া কেউ ছিলনা।

সেই কথা সেই দিনই ভুলে যায় আবার সংসার চলে আগের মতো,আমরা একসাথেই থাকি,

গত কিছুদিন আগে আমি কেনায়া তালাক এর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারি,এবং তখন থেকে আমি খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।

(১)একবছর আগে বলা ঐ কথা তে আমার কোন তালাকের নিয়ত ছিলনা,এই কথা দ্বারা যে তালাক হবে তাও জানতাম না।তখন কী তালাক হয়েছে?হলে কী এক তালাকে বায়েন পতিত হবে?নাকি অন্য কোন কিছু?

(২) ঐ দিনের পর থেকে আমরা একসাথেই থেকেছি,এবং একই হালতে একই কথাটি আর ৪-৫ বার বলা হয়েছে।কোন বারই তালাকের নিয়ত ছিলনা।আমার জানামতে এক তালাকে বায়েন পতিত হলে বিবাহ ছাড়া আর কোন তালাক পতিত হয়না।তাহলে এখন আমাদের কী করা উচিত?

৩)তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমরা একসাথে থেকেছি কিন্তু আমাদের বিবাহ হয়নি,এখন তার সাথে আমার সম্পর্ক রাখার উপায় কী?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

(দারুল ইফতা বিন্নুরী, পাকিস্তান,ফাতাওয়া নং- 144106200277)


এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"গত একবছর আগে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী আমাকে বলে আমাকে ছেড়ে ফেল,এবং আমি বলি যাও চলে যাও,তোমাকে আমার দরকার নেই(মনে তালাকের নিয়ত ছিলনা,এবং এই কথা দ্বারা যে তালাক হবে সেটাও জানতাম না)কথাটি দ্বারা আমি তাকে তার বাড়িতে চলে যাবে সেটা বুঝিয়েছি ,সে বলে এভাবে বললে হবেনা আমাকে লিখীত দিতে হবে।তখন বাসায় আমরা দুইজন ছাড়া কেউ ছিলনা।"

এখানে এক তালাক বায়েন পতিত হয়ে যাবে। নতুন বিয়ের মাধ্যমে আপনারা আবার সংসার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে স্বামী দুই তালাকের মালিক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...