بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/34062/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান
হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি
যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়,
তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ
হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।
তবে যদি গায়রে
কুফুতে বিবাহ করে, তথা
এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার
কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে।
যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে
পিতা এ অধিকারও পাবে না।
রাসুল সাঃ কুফু
মিলাইতে বলেছেনঃ
وَعَنْ
أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ
لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ
بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্
(রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত)
চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ,
অথবা বংশ-মর্যাদা,
অথবা রূপ-সৌন্দর্য,
অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে
সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে
প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)! (সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
কুফু সম্পর্কে
বিস্তারিত জানুনঃ https://www.ifatwa.info/4541/
★সুতরাং আপনারা উভয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় দুইজন প্রাপ্ত
বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন,
তাহলে আপনাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক
শুদ্ধ হয়ে যাবে। যদিও
আপনাদের পরিবার কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তারা অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ
اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ
أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.
হযরত আব্দুল্লাহ
বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন,
মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে
অধিক হকদার। {মুয়াত্তা
মালিক, হাদীস
নং-৮৮৮, সহীহ
মুসলিম, হাদীস
নং-১৪২১, মুসনাদে
আহমাদ, হাদীস
নং-১৮৮৮, সুনানে
আবু দাউদ, হাদীস
নং-২০৯৮, সুনানে
দারেমী, হাদীস
নং-২২৩৪, সুনানে
তিরমিজী, হাদীস
নং-১১০৮, সুনানে
নাসায়ী, হাদীস
নং-৩২৬০, সহীহ
ইবনে হিব্বান, হাদীস
নং-৪০৮৪, সুনানে
দারাকুতনী, হাদীস
নং-৩৫৭৬}
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/4801/
https://ifatwa.info/1525/
প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন/ভাই!
প্রশ্নে উল্লেখিত
ছুরতে আপনি যদি দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সাক্ষীর সামনে ইজাব (বিবাহের প্রস্তাব পেশ)
কবুল করে থাকেন, তাহলে
আপনার এই বিবাহ শুদ্ধ হবে। এই বিবাহের স্বামী স্ত্রী অধিকার আদায় পুরোপুরি ঠিক হবে।
কোনো সমস্যা নেই। এই ঘর সংসার বৈধ।
তবে আপনি চেষ্টা
করবেন হেকমতের সাথে ধীরে ধীরে বাবাকে বুঝানোর জন্য। নিজে না পারলে অন্য কারো মাধ্যমে
বুঝাবেন এবং আল্লাহ তায়ালার নিকট তার জন্য দোয়া করবেন। জেনে রাখা উচিত কোন প্রাপ্তবয়স্ক
পুরুষ বিবাহের ক্ষেত্রে বাবার অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করলেও বিয়ে হয়ে যাবে। তবে মাতাপিতা
সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়েই বিয়ে করা উচিত ।