আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমাদের মালিকানাধীন কিছু জমি আছে যেগুলো মুলত খাস, মানে দালিলিকভাবে আমাদের অধীনে নেই। এগুলো নদীর গতিপথ চেঞ্জ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী আমাদের জমি বরাবর পেয়েছি। সম্প্রতি এই অংশ থেকে সরকার এক মুক্তিযোদ্ধাকে কিছু অংশ জমি দিবে বলে সীমানা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু আমরা সেটা দিতে রাজি হইনি। তাই সীমানা নির্ধারিত খুটি, ওনি ওই জমিতে কলাগাছ লাগিয়েছিলেন সবকিছুই উপড়িয়ে ফেলি। আমার আব্বা-ভাই মামলা করেছেন জমিটার জন্য। আর অন্যান্য সব খাস জমি আমাদের অধীনে আনার জন্য চেষ্টা করছেন। এই সম্পূর্ণ খাস জমিটুকু আমাদের অধীনে আনাটা ইসলামের দৃষ্টিতে উচিৎ হবে? আমি আমার ফ্যামিলির ছোট সদস্য। আমাকে কেউ গুরুত্ব দেবে না কখনোই এসব বিষয়ে। আমার কথা কেউ শুনবে না। আমি এখন কি করতে পারি যদি জমিটুকু আমাদের জন্য হালাল না হয়? এই জমিটুকু যদি আমাদের অধীনে আসে তাহলে আমিও সেটার উত্তরাধিকারী হবো কিন্তু যদি হালাল না হয় তবে ধ্বংস এখন আমি কি করতে পারি???

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1382


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
খাস জমির মালিক সরকার বা রাষ্ট্র।  সুতরাং সরকার যদি মুক্তিযোদ্ধা কাউকে ঐ জমির মালিকানা দিয়ে থাকে, তাহলে তার রূপনকৃত কলাগাছ উপড়িয়ে ফেলে সেই জায়গাকে দখল করা আপনাদের জন্য জায়েয হয়নি। হ্যা, যদি আপনার পরিবার ডিসির কাছ থেকে সেই খাস জমির বৈধ মালিকানা নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে আপনাদের জন্য খাস জমি দখল বা ভোগ করা তখন জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
আমি তো বাধ্য। তাই মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া জমিতে রোপণ করা কলাগাছ তুলতে হলো। এজন্য আমার কোনো গোনাহ হবে??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 107 views
...