আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
229 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
edited by
.................

-------___________________

......................-----____________________

--------------------________________--------------

-------------________________________-----------------..........................

.....................

.................
by (10 points)
edited by
উল্লেখ্য যে,  আমার মামা মোহরানা নিয়ে কোনো কথা বলেননি। শুধু  ছেলে  বাবামাকে গোপন করে কেন বিয়ে করবে এটা নিয়ে কথাকাটাকাাটি করে তখনই উঠে চলে যান।  আমার পরিবারও বিয়ের রাতে মোহরানা সংক্রান্ত কোনো কথা তোলেননি। 


কাজীসহ উপস্থিত সকলে জানে ছেলে স্বেচ্ছায়  ৫লাখ লিখতে বলেছে। কিন্তু মামার ভয়ে  ৫লাখ করেছেন সেটা তিনি বিয়ের বছরখানেক পরে আমাকে জানান। 

এমনিতেই বাবা-মা ছাড়া বিয়ে করতে আসছে তারউপর দেনমোহর কম দিলে  সবাই তাকে চিটিংবাজ ভাববে এমনভাবনা থেকে হয়তো  দেনমোহর বাড়িয়ে দেন। আল্লাহু আলাম। 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1382

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটি মহর নির্ধারণ হওয়ার পর মহরকে বাড়ানো বা কমানো যায়। প্রথমে আপনাকে মহরে ফাতেমি দিবেন বলে আপনার স্বামী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এবং আপনিও তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কোনো এক কারণে আপনার স্বামী মহরকে বাড়িয়ে দিতে সম্মত হন, যেহেতু তিনি সম্মত হয়েছিলেন, তাই শরীয়তের পক্ষ্য থেকে পরবর্তীতে নির্ধারিত মহরই ধর্তব্য হবে। সুতরাং এখন স্বামীকে ৫ লাখ টাকাই পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু যদি স্বামী দু'জন সাক্ষী রেখে আপনার সাথে আলোচনা সাপেক্ষ্যে পরিশোধ না করার শর্তে অতিরিক্ত সাড়ে তিন লাখ মহর লিখাতেন, তাহলে দিয়ানাতান আপনি মহরের ফাতেমির অতিরিক্ত মহর পেতেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (10 points)
জাযাকাল্লাহু খয়রন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...