আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
edited by
................

-------___________________

......................-----____________________

--------------------________________--------------

-------------________________________-----------------..........................

.....................

.................

1 Answer

0 votes
by (682,160 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
,
সুতরাং তালাকের পর স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করলে, আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
তালাকের ফায়সালা দেয়া হবেনা।
,
তবে স্ত্রী যদি স্বামীর তালাক প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত হয়,তাহলে তার জন্য করণীয় হল, স্বামীর কাছ থেকে খোলা তালাক নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। যদি এতেও স্বামী রাজি না হয় এবং বাধ্য হয়ে স্ত্রী তার সাথে থাকতে হয়, তাহলে স্ত্রী গুনাহগার না হলেও স্বামী যিনার গুনাহে গুনাহগার হবে।
(রদ্দুল মুহতার ৪/৪৬৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি দলিল সাক্ষী পেশ করবেন যে আপনার স্বামী "আমার পরিবার বা আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তালাক পতিত হবে "
এ কথা বলেননি।

আপনি যদি দলিল,সাক্ষী পেশ করতে না পারেন,সেক্ষেত্রে আপনার স্বামী কসম করে বলবে যে আমি উপরোক্ত কথা বলেছিলাম।
তিনি যদি কসম করে এটি আপনাকে বলেন যে সত্যিই তিনি এ কথা বলেছিলেন, সেক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হবে। 
সেক্ষেত্রে আপনার ইদ্দতকালও অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে।

★আর যদি সে কসম না করে,তাহলে সে মিথ্যা বলেছে বলে প্রমাণিত হবে। 
তালাক পতিত হবেনা। 

★রাষ্ট্রীয় বিচ্ছেদ না হলে কাজি অফিসে গিয়ে তারা যেভাবে বিচ্ছেদ করতে বলে সেভাবে করবেন।
আর আবারো সংসার করতে চাইলে বিবাহ পড়িয়ে নিবেন।

★আপনি পূর্ণ মোহরানা পাবেন।

★স্বামী যদি কসম করে, তাহলে আপনি এখন যেকোনো মুহূর্তে অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারেন।
আর যদি স্বামী কসম না করে,তাহলে তাকে বলে আপনি তালাক নিয়ে নিবেন।
আর তালাক গ্রহনের অধিকার পেয়ে থাকলে নিজের উপর তালাক প্রদান করবেন অথবা খোলা তালাকের ব্যবস্থা করবেন।
এর পর ইদ্দত অতিবাহিত হয়ে গেলে অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْبَيِّنَةُ عَلَى الْمُدَّعِي وَالْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ» 

‘আমর ইবনু শু‘আয়ব তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাক্ষ্য-প্রমাণ বাদীকেই পেশ করতে হবে। আর বিবাদীর ওপর বর্তাবে কসম।
(সহীহ : তিরমিযী ১৩৪১, ইরওয়া ২৬৬১, সহীহ আল জামি‘ ২৮৯৭।)

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
edited by
জাযাকাল্লাহু খয়রন মুহতারাম।

তাঁকে বলা হয়েছে কসম কেটে বলতে।  তিনি বললেন তার মনে আছে তিনি দ্বিতীয়বার এরকম শর্ত দিছিলেন কিন্তু তার কাছে ফোনরেকর্ড/ডকুমেন্ট না থাকার কারণে তিনি কনফিউজড।  তাই তিনি কসম করতে পারবেন না। 

এখন কিভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে শরয়ীবিচ্ছেদ করব? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...