জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ يستطع ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও ঘৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা।
নিজ নিকটাত্মীয়কে শরীয়তের বিধান সম্পর্কে অবগত করানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।তাদেরকে গায়রে শরয়ী কাজ থেকে বিরত থাকার যাবতীয় চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালাতে হবে।তারপরও যদি তারা সামাজিকতার অজুহাত দেখিয়ে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে যায়,তাহলে তাদের অনুষ্টান পরাত্যাগ করাই শ্রেয়।এবং এক্ষেত্রে সম্পর্ক নষ্টর দায়ভাড় আপনার উপর বর্তাবে না।
হ্যা তাদেরকে ভবিষ্যতে হেদায়তের দিকে দাওয়াত এবং নিয়ে আসার স্বার্থে তাদের বিয়ের ঐ সমস্ত অনুষ্টানে শরীক হওয়া যাবে,যেখানে আপনাকে শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত হতে না হয়।তথা শরীয়ত বিরোধী অনুষ্টান সমূহ পরিত্যাগ পূর্বক তাদের বিয়েতে উপস্থিত হওয়া যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি সেই বিয়েতে যাবেন,দাওয়াত খাবেন।
আপনার বোন যে শাড়ি পড়ে, হিজাব পটে স্টেজে বসে থাকবে।
সেই সময়ে আপনি তাদেরকে বুঝিয়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা করবেন।
কাজ না হলে আপন স্থান ত্যাগ করে চলে আসবেন।
এর দ্বারা আপনার দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন বলে ধরা হবে।