بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
জামাআতের সাথে
নামাজ আদায় কারীর জন্যে ইকামত দেওয়া সুন্নাত।
একাকী নামাজ আদায় কারীর জন্য ইকামত দেওয়া
মুস্তাহাব। যদি
একাকী নামাজ আদায় কারী ইকামত না দেয়,তাহলে মাকরুহ হবেনা। নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। জামায়াতের সহিত নামাজ যদি
ইকামত ছাড়া হয়,তাহলে
মাকরুহ হবে,সুন্নাতের
খেলাফ হবে।
উকবা ইবনু আমির
রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে,
يَعْجَبُ
رَبُّكَ مِنْ رَاعِي غَنَمٍ فِي رَأْسِ شَظِيَّةِ الْجَبَلِ يُؤَذِّنُ
بِالصَّلاَةِ وَيُصَلِّي فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي
هَذَا يُؤَذِّنُ وَيُقِيمُ الصَّلاَةَ يَخَافُ مِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي
وَأَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ
তোমার রব সে ব্যক্তির
উপর খুশি হন, যে
পাহাড়ের উচ্চশৃঙ্গে বকরী চরায় এবং নামাযের জন্য আযান দেয় ও নামায আদায় করে। আল্লাহ
তাআলা বলেন, আমার
এই বান্দাকে দেখ! নামাযের জন্য সে আযান ও ইকামত দিচ্ছে। সে আমাকে ভয় করছে। আমি আমার
বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম ও জান্নাতে প্রবেশ করালাম। (আবু দাউদ ১২০৩)
“কোন ব্যক্তি যখন কোন বৃক্ষ-পানিহীন প্রান্তরে থাকে,
অতঃপর সেখানে নামাযের সময় উপস্থিত হয়,
তখন সে যেন ওযু করে। পানি না পেলে যেন
তায়াম্মুম করে। অতঃপর সে যদি শুধু ইকামত দিয়ে নামায পড়ে,
তাহলে তার সাথে তার সঙ্গী দুই ফিরিশ্তা
নামায পড়েন। কিন্তু সে যদি আযান দিয়ে ও ইকামত দিয়ে নামায পড়ে,
তাহলে তার পশ্চাতে আল্লাহর এত ফিরিশ্তা
নামায পড়েন, যাদের
দুই প্রান্ত নজরে আসে না!” (আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ, সহিহ তারগিব ২৪১নং)
আর একদা তিনি আব্দুল্লাহ
বিন আব্দুর রহ্মানকে মরুভূমিতে ছাগপালে থাকাকালে নামাযের জন্য উচ্চশব্দে আযান দিতে
আদেশ করেছিলেন। (বুখারী প্রমুখ, মিশকাত ৬৫৬নং)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/12304/
মসজিদ ছাড়া অন্য
কোথাও জামাতে নামাজ আদায় করলে— যদি মসজিদের আজান
সেখানে শোনা যায়, তাহলে
নতুন করে আজান দিতে হবে না। কারণ, মসজিদের আজানই সেখানের জন্য যথেষ্ট। তবে জামাতে নামাজের জন্য
ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব, না
দিলে অসুবিধা নেই।
আতা (রহ.) বলেন,
আমি আলী ইবনে হুসাইন (রা.)-এর সঙ্গে জাবির
ইবনে আবদুল্লাহ (রা.)-এর দরবারে প্রবেশ করলাম। তখন নামাজের সময় হয়ে গেলে,
তিনি আজান ইকামত দিয়ে নামাজ আদায় করলেন।
(মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস : ২২৮৪)
আলী (রা.) বলেন,
যদি কোনো ব্যক্তি নির্জন মরুভূমির দিকে
যাত্রা করে এবং পথিমধ্যে নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তাহলে সে চাইলে আজান-ইকামত দিয়ে নামাজ পড়তে পারবে। আর
চাইলে সে শুধুমাত্র ইকামত দিয়েও নামাজ পড়তে পারবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ,
হাদিস : ২২৮৪)
মুনফারিদের (একাকী
নামাজ আদায়কারী) জন্য আজান-ইকামত দিয়ে নামাজ পড়া উত্তম। যাতে করে তার নামাজটা জামাতের
আদলে আদায় হয়। (হালবি কাবিরি : ৩৭২; বাদায়ে সানায়ে : ১/৩৭৭; মাবসুত : ১/১৩৩)
মুসাফির এবং ঘরে
নামাজ আদায়কারী মুকিমের জন্য আজান ও ইকামত মুস্তাহাব। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/৫৩)
একাকী নামাজ আদায়কারীর
জন্য ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব। (হিদায়া ১/৯২)
উকবা ইবনে আমির
(রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি—
‘তোমার রব সে
ব্যক্তির ওপর খুশি হন, যে
পাহাড়ের উচ্চশৃঙ্গে বকরি চরায় এবং নামাজের জন্য আজান দেয় ও নামাজ আদায় করে। আল্লাহ
তাআলা বলেন, আমার
এই বান্দাকে দেখ! নামাজের জন্য সে আজান ও ইকামত দিচ্ছে। সে আমাকে ভয় করছে। আমি আমার
বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম ও জান্নাতে প্রবেশ করালাম।’ (আবু দাউদ,
হাদিস : ১২০৩)
ঘরে নামাজ আদায়কারী
মুকিমের জন্য আজান-ইকামত ছেড়ে দেওয়া বা না দেওয়া মাকরুহ নয়। (হালবি কাবিরি : ৩৭২)
তবে মুসাফিরের
জন্য আজান-ইকামত উভয়টিকে তরক করা মাকরুহ। তবে ঘরে একাকী নামাজ আদায়কারী মুকিম ব্যক্তির
জন্য মাকরুহ হবে না। অবশ্য মুকিম এবং মুসাফির উভয় প্রকার ব্যক্তিদের জন্য আজান-ইকামত
দেওয়া মুস্তাহাব বা উত্তম। (কানজুদ দাকাইক, খণ্ড : ০১; পৃষ্ঠা : ২৬৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
১. একাকী নামাজ
আদায় কালে ইকামত দেওয়া আবশ্যকীয় নয়।
ইকামত ছাড়া একাকী নামাজ আদায় করলে কোনো
সমস্যা হবেনা। ইকামত শুধু ফরজ নামাজ আর ফরজ নামাজের কাজা আদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
জামায়াতের সহিত নামাজ যদি ইকামত ছাড়া হয়,তাহলে মাকরুহ হবে,সুন্নাতের খেলাফ হবে।
২. তাদের মাঝে যে উত্তম ভাবে
বলতে পারবে সেই ব্যক্তিই ইকামত দিবে। আরো জানুন:
https://ifatwa.info/54755/?show=54755#q54755