হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَى إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاة فذلكم الرِّبَاط»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সাহাবীগণের উদ্দেশ করে) বললেনঃ
‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের সংবাদ দেব না! যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তোমাদের গোনাহসমূহ মিটিয়ে দেবেন (তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন) আর (আল্লাহর কাছে) তোমাদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করে দেবেন? সাহাবায়েকেরাম বললেন- অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল! নবিজী সাল্লাল।লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- (শীত,অসুস্থ বা অন্য যে কোনো ঠাণ্ডার) কষ্টকর মুহূর্তে ভালোভাবে অজু করা।’
মসজিদের দিকে অধিক পদক্ষেপ রাখা এবং এক ওয়াক্ত সালাত আদায়ের পর আর এক ওয়াক্ত সালাতের প্রতীক্ষায় থাকা। আর এটাই হলো ‘রিবাত্ব’ (প্রস্তুতি গ্রহণ)।
(মুসলিম ২৫১.মিশকাত ২৮২)
عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «من صَلَّى الْبَرْدَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ»
আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুই ঠাণ্ডা সময়ের সালাত (অর্থাৎ- ফাজর ও ‘আসর) আদায় করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
সহীহ : বুখারী ৫৭৪, মুসলিম ৬৩৫, আহমাদ ১৬৭৩০, দারেমী ১৪৬৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২১৮৫, সহীহ আল জামি‘ ৬৩৩৭।
والأصح أنہ أي الأجر بقدر المشقة (قرة عیون الأخیار تکملة رد المحتار: ج۱۱ ص: ۶۸، کتاب الہبة، مطلب: الأجر مقدّرٌ بقدر المشقة، ط: دار الکتاب دیوبند)
সারমর্মঃ-
সহীহ কথা হলো কষ্টের পরিমান মোতাবেক বান্দাকে ছওয়াব দেয়া হয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেকোনো পাক পানি দিয়েই অযু করা জায়েজ আছে,চাই পানি গরম হোক বা ঠান্ডা।
তবে যার মধ্যে বেশি কষ্ট হবে,তার মধ্যে ছওয়াব বেশি হবে।
আর এটি স্পষ্ট কথা যে শীতের মৌসুমে ঠান্ডা পানি দ্বারা অযু করা বেশি কষ্টকর,তাই তাতে ছওয়াবও বেশি।
তবে এটি খেয়াল রাখতে যে,নিজেকে যেনো ক্ষতি,অসুস্থতার দিকে ফেলা না হয়।
তবে এক্ষেত্রে কাহারো সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সে গরম পানি দিয়েই অযু করবে।
এভাবে গরম পানি করার সুযোগ থাকলে সর্দি কাশিতে কষ্ট পাওয়া সত্ত্বেও ঠান্ডা পানি দিয়ে অযু করাকে শরীয়ত সমর্থন করেনা।