আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
5,500 views
in সালাত(Prayer) by (38 points)
আসসালামু আলাইকুম, শায়েখ।
১. কেউ যদি বিতর ও ফযর কাযা করে ফেলে এরপর বিতর এর কাযা আদায়ের সময় দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ার আগেই সালাম ফেরায় তাহলে কি তার বিতরের সালাত আদায় হবে?  ২. এরপর ফযরের সালাত আদায় করলে সেই সালাত কি আদায় হবে?

৩. নাকি পুনরায় বিতর আদায় করে তারপর ফযর আদায় করতে হবে?

জাযাকুমুল্লাহ খাইর।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته    
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান মতে  নামাজের শেষ বৈঠকে দরুদ শরীফ,দোয়ায়ে মাছুরা পড়া সুন্নাত।
আর সুন্নাত ছেড়ে দেওয়ার দ্বারা নামাজ হয়ে যায়,সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব  হয়না।
কিন্তু ছওয়াব কিছুটা কম হয়।
যদি কেহ ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে বুঝে সুন্নাত ছেড়ে দেয় বা সুন্নাত দেওয়াকে নিজের অভ্যাস বানায়,তাহলে সে গুনাহগার হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِمَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَسْتَاكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي تِسْعَ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ فِيهِنَّ إِلاَّ عِنْدَ الثَّامِنَةِ وَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيُصَلِّي عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم وَيَدْعُو بَيْنَهُنَّ وَلاَ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا ثُمَّ يُصَلِّي التَّاسِعَةَ وَيَقْعُدُ وَذَكَرَ كَلِمَةً نَحْوَهَا وَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيُصَلِّي عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم وَيَدْعُو ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ قَاعِدٌ .

হারুন ইবনু ইসহাক (রহঃ) ... সা'দ ইবনু হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, আমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য মিসওয়াক এবং উযুর পানি তৈরী করে রাখতাম। রাত্রের যে অংশে তাকে জাগ্রত করার আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছা তিনি সে অংশে তাকে জাগ্রত করে দিতেন। (জাগ্রত হয়ে) তিনি মিসওয়াক এবং উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন ও নয় রাকআত সালাত আদায় করতেন। শুধুমাত্র অষ্টম রাকআতে বসতেন এবং আল্লাহর প্রশংসা ও নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর দরুদ পাঠ করতেন এবং দোয়া করতেন, সালাম ফিরাতেন। অতঃপর নবম রাকআত আদায় করতেন এবং বসে যেতেন অনুরূপভাবে আল্লাহর যিকর করতেন, তার প্রশংসা করতেন এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করতেন ও দোয়া করতেন। তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমরা শুনতে পেতাম। অতঃপর বসা অবস্থায় দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন।

[ ইবনে মাজাহ ১১৯১, মুসলিম,নাসায়ী ১৭২৩]

وفي الشامية:
( قوله: سنة في الصلوٰة ) أي في قعود أخير مطلقاً، وكذا في قعود أول في النوافل غير الرواتب، تأمل. وفي صلوة الجنازة". ( رد المحتار ، ص 483 ج 1 )
শেষ বৈঠকে দরুদ শরীফ পাঠ করা সুন্নাত।    

وفي سنن الصلوة من الدر: "ترك السنة لايوجب فساداً ولا سهواً بل أساءةً لوعامداً غير مستخف".
وفي الشامية:
"فلوغير عامد فلا أساءة أيضاً، بل تندب إعادة الصلوة كما قد مناه في أول بحث الواجبات"
. ( رد المحتار ، ص 442 ج 1 )
সুন্নাত ছেড়ে দিলে নামাজ ফাসেদ হয়না,,,,

ونصه هناك "أقول: وقد ذكر في الإمداد بحثاً أن كون الأعادة بترك الواجب واجبة لايمنع أن تكون الإعادة مندوبةً بترك السنة ا ه ونحوه في القهستاني بل قال في فتح القدير: والحق التفصيل بين كون تلك الكراهة كراهة تحريم فتجب الأعادة وتنزيه فتستحب ا ه". ( رد المحتار ، ص 425 ج 1 )
,
(০২)
হ্যাঁ এরপর ফজরের নামাজ আদায় করলে সেটি আদায় হবে।
,
(০৩)
তার আগের নামাজই হয়ে গেছে,নতুন করে আর বিতর আদায় করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...