আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
১.আসসালামু আলাইকুম  ঔষধ খাচ্ছিলাম আমার জরায়ুতে একটা সম্যসার জন্য। ঔষধ টা বন্ধ করে দিছি মাঝপথে তারপর পিরিয়ডের মতো রক্ত দেখা দিছে এই মাসে পিরিয়ড হইছে যা আগের মাসের ডেট অনুযায়ী। সেকেন্ড বার রক্ত ২১ তারিখ দুপুর বা বিকেল  থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত মাসিকের মতোই রক্তপাত হয়। আজ ২৫ তারিখ সকালে ময়লা ময়লা বের হচ্ছে যা একবার ব্রাউন আর একবার কালো আবার মনে হচ্ছে সাদা যা হাত দিয়ে দেখতে হচ্ছে।  এটা কি পিরিয়ড ধরা হবে শায়েখ?

(২) আল্লাহ তোমাকে বাদ দিয়ে আরেকটা বৌ দিবে আবার বলছে আল্লাহ তোমাকে পাল্টায়ে আরেকটা বৌ দিবে তারপর আমি বলছি এর মানে কি সে বলছে পাল্টানো মানে বোঝো না?  তারপর বলছে কোন নিয়ত ছিল না পাল্টানো মানে জান্নাতে আরেকটা বৌ দিবে।  এখন প্রশ্ন এমন কথায় কি কোন তালাক হয়?
(৩) পাল্টানো মানে বোঝ না বলছে আমার মনে যদি পাল্টানো মানে তালাক আসতো তাও কি কিছু হতো?  আমি মুখ দিয়ে তালাক উচ্চারণ করিনি আমি বলছি মানে বুঝি নাই।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/10488/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

قال العلامۃعالم بن العلاء الانصاریؒ:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔(الفتاوٰی التاتارخانیۃ: ج؍۱،ص؍۳۲۴،کتاب الحیض)(فتاویٰ حقانیہ :ج؍۲،ص؍۵۶۵)
সারমর্মঃ পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে, "এই মাসে পিরিয়ড হইছে যা আগের মাসের ডেট অনুযায়ী"

এক্ষেত্রে সেই পিরিয়ড কোন দিন বন্ধ হয়েছে?
যেদিন সেই পিরিয়ড বন্ধ হয়েছে,তারপর থেকে হিসেব করলে ২১ তারিখ পর্যন্ত পূর্ণ ১৫ দিন ১৫ রাত হয়েছে?
নাকি এর কম হয়েছে।

যদি পূর্ণ ১৫ দিন ১৫ রাত বা তার চেয়েও বেশি দিন অতিক্রম করার পর ২১ তারিখ হয়ে থাকে,তাহলে এটিও পিরিয়ড। 
২৫ তারিখকেও পিরিয়ড হিসেবে ধরতে হবে।

আর যদি আগের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত ১৫ দিন না হয়,সেক্ষেত্রে এটি ইস্তেহাজা,এসময়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
,
তবে যেদিন ১৫ দিন পূর্ণ হবে,তারপর অর্থাৎ ১৬ দিনের পরেও যদি আবার রক্ত আসে,সেক্ষেত্রে ৩ দিন বা তার চেয়ে বেশি হলে সেটিকে পিরিয়ড ধরতে হবে,৩ দিনের কম হলে সেটিকে ইস্তেহাজা ধরতে হবে। 
 
(০২)
এমন কথায় কোন তালাক হয়না।

(০৩)
এতে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...