আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমার জামাইর বিদেশে থাকতেন। বিয়ে ঠিক হলে উনি উনার দ্বীনী ভাইকে বলেন যে মেয়ে আলেমা কোর্স করে। আমি আইওএমে আলিম কোর্সের ছাত্রী। বিয়ের পর আমিও বিদেশে চলে আসি।কিন্তু বন্ধুর বউদের একজন থেকে আরেকজনের মাঝে ছড়িয়ে গেছে যে আমি আলিম কোর্স করি। আমি অনেক অনেকবার উনারা বলার সময় শুধরে দিছি যে আমি আলেমা না। এটা শুধু বেসিক লেভেলের একটা কোর্স। এখান থেকে পাশ করলে কেউ আলেমা হবে না।তারপরও নতুন কারো সাথে পরিচয় করানোর সময় আমাকে আলেমা বলে পরিচয়। আমি আবারও শুধরে দিই। এখন আমার মনে সর্বদা ভয় লাগে যে এরজন্য আমার গুনাহ হচ্ছে কিনা এতে?
আমি খুব চুপচাপ স্বভাবের মানুষ। নিজেকে জাহির করিনা কখনো আলহামদুলিল্লাহ।  আমি ভয় পাই এসবে। এখন উনারা নিজ থেকেই আমার ব্যাপারে যে ধারণা করছে তার জন্য কি আমি গুনাহগার হব?
আমি ইন শা আল্লাহ সবসময় উনাদেরকে শুধরে দিব যতদিন উনাদের মাথা থেকে এই ধারণা যাবেনা ততদিন।

1 Answer

0 votes
by (679,600 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে আছে

  حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبَانَ بْنِ تَغْلِبَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ وَلاَ يَدْخُلُ النَّارَ يَعْنِي مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ إِيمَانٍ " . قَالَ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ إِنَّهُ يُعْجِبُنِي أَنْ يَكُونَ ثَوْبِي حَسَنًا وَنَعْلِي حَسَنَةً . قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْجَمَالَ وَلَكِنَّ الْكِبْرَ مَنْ بَطَرَ الْحَقَّ وَغَمَصَ النَّاسَ " .

.আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  যে ব্যক্তির অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকারও আছে সে জান্নাতে যেতে পারবে না। আর যে ব্যক্তির অন্তরে অণু পরিমাণ ঈমানও আছে সে জাহান্নামে যাবে না। তখন একজন বলল, আমার নিকট এটা তো খুবই পছন্দনীয় যে, আমার জামা-কাপড় সুন্দর হোক এবং আমার জুতা জোড়াও সুন্দর হোক। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। কোন ব্যক্তির সদৰ্পে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছজান করাই হলো অহংকার।
(সহীহ মুসলিম ১৬২৬, তিরমিজি১৯৯৯)

অহংকার কি? এই প্রশ্নের সরল  উত্তর হচ্ছে কোনো বিষয়ে নিজেকে বড় মনে করে অন্য মানুষকে তুচ্ছ মনে করার নামই অহংকার।    

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
আপনি পেরেশান হবেননা,কোনো সমস্যা নেই,আলহামদুলিল্লাহ। 
,
তবে এক্ষেত্রে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে, অন্তরে যেনো অহংকার এর ভাব না আসে।
আল্লাহ তায়ালা হেফাজত করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...