আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
edited by
১.নবী রাসূলগন তো নিষ্পাপ কখনো গুনাহ করেনি।এখন কেউ যদি এটা ধারনা রাখে বা আকিদা রাখে যে নবীগন ভুল করেছেন তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে??গুনাহ করেছেন বলে ধারণা রাখেনি ভুল করেছেন এটা যদি ধারনা রাখে

২.কোন হিন্দু অভিনেতা অভিনেত্রীকে দেখে যদি কেউ মুসলিম মনে করে ফেলে যদিও সে জানতো তারা হিন্দু।কিন্তু সন্দেহ হচ্ছে যে হঠাৎ ঐ সময়টাতে এটা হয়তো তার মাথায় ছিলো না যে তারাতো বাস্তবে হিন্দু।পরে মনে আসছে তারাতো হিন্দু ।এভাবে মুসলিম মনে করে ফেলার কারনে কি ইমান চলে যাবে??দ্বীন থেকে খারিজ হয়ে যাবে??

৩.নামাজ শেষে উঠার সময় যদি সন্দেহ হয় সালাম কি ফিরালাম সহু সিজদা কয়টা দিলাম?এতে কি পুনরায় নামাজ পড়তে হবে??আমার প্রত্যেক ওয়াক্তেই সেজদা,রুকু,সহু সেজদা সালাম ফিরানো ইত্যাদি নিয়ে কোনো না কোনো সন্দেহ হয়।নামাজই মনে হয় হয়না

৪.আমার প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজেই সন্দেহ হয় সেজদা নিয়ে আর রুকু নিয়ে প্রতিদিন কোনো না কোনো ওয়াক্তে সন্দেহ হয় বিশেষ করে ৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাজে।আর নামাজ শেষে সালাম ফিরানো নিয়েও প্রত্যেক দিন সন্দেহ কোনো না কোনো ওয়াক্তে সন্দেহ লাগে।তাকবিরে তাহরীমা নিয়ে সন্দেহ হয় এজন্য ২/৩ বারও তাকবীর দিতে হয়।এক নামাজ ২/৩ বার পড়লেও সন্দেহ দুর হয়না কোনো না কোনো ওয়াজিব ও রুকন নিয়ে সন্দেহ হয়।এখন আমি দৃ্রতার সাথে সীদ্ধান্তও নিতে পারিনা মনে হয় আমি করিনি হয়তো মাঝে মধ্যে এমনও হয় বার বার একই নামাজ পড়তে পড়তে ওয়াক্ত শেষ হয়ে কাজ হয়ে যায় নামাজ।এখন আমর করনীয় কি আমি যদি সন্দেহ থাকার পর সেটাকে আমলে না নিয়ে পুনরায় আদায় না করি ও সহু সেজদাও না তাহলে কি নামাজ হবে?

৪.নামাজে ২য়,৩য়,শেষ রাকাত আদায়ের সময় যদি সন্দেহ হয় এর আগের রাকাতে রুকু আদায় করিনি বা যদি শেষ রাকাতে সন্দেহ হয় ২য় রাকাতে রুকু করিনি হয়তো তাহলে করনীয় কি??যদি সন্দেহ নিয়ে নামাজ শেষ করি তাহলে নামাজ হবে?

৫.তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো মহিলা যদি বলে তালাকের নিয়তে আমি নেই তাহলে কি তালাক হবে।এটা কি কেনায়া শব্দ

৬.আমি মেসে থেকে পড়াশুনা করি। আমি কুরবানীর ঈদে বাসা থেকে গোশ নিয়ে এসেছিলাম মেসের অন্য মেয়েদের নিয়ে রান্না করে একসাথে খাওয়ার জন্য।সেটা বাড়িওয়ালার ফ্রীজে রাখি কারন ওনাদের ঐখানেই আমরা সর্বদা মাছ গোশ রাখি। কিন্তু ঐ গোশটুকু হারিয়ে যায় খুজে পাইনি।অন্য কেউ হয়তো ভুলে নিয়েছে।৪/৫ মাস পর এখন বাড়িওয়ালা আন্টি সেই গোশ দিতে চেয়েছে দিয়েছেও।কিন্তু আমারতো সন্দেহ হয় শুধু।প্রথমে সন্দেহ হলো আমি কি বাড়ি থেকে গোশ এনেছিলাম আম্মুকে ফোন দিলাম আম্মু বললো হয় এনেছি।আরো সন্দেহ হচ্ছে আমি কি ওনাদের ফ্রীজে রেখেছিলাম?।কেনো যে এমন হচ্ছে জানিনা।আর যদি নাই রাখতাম তাহলে ওনাদের ফ্রীজ তখন কি খুজতাম(খোজেচি কিনা তাও সন্দেহ)ওনাদের কি বলতাম আমার গোশ পাচ্ছি না আর না বললেতো ওনারা আমাকে গোশ দিতে চাইতো না।বাসা থেকে যেহেতু গোশ এনেছি তাহলে কোথাওতো রেখেছি।গোশতো আমার যতদুর মনে পড়ে আমি খাইনি রান্না করে। খেলেতো বাকিরাও খেতো আন্টি নিজে এসে গোশ দিয়েছে আজ আমাদের। বেশি দিয়েছে পরিমানের চেয়ে।আর বাকিরাতো কিছু বললোনা যে গোশ এনেনি আমরা।আর খেলেতো একা খেতাম না সবাই একসাথেই খেতাম।কিছু বলতেও পারছি যে সন্দেহ হচ্ছে আমার বা চাইলেও ফেরত পাঠাতে পারছি কারন ওরা জানে ওদের জন্য আমি গোশ এনেছিলাম আমি কোরবানীয় সময়। গখন আন্টির ফেরত দেয়া গোশ না নিলে মেসের মেয়েরা যদি মনে মনে আমাকে অন্য কিছু ভাবে আর বাড়িওয়ালাও নাছোরবান্দা গোশ দেবেই দেবে তার ফ্রীজ থেকে যেজেতু হারায়ছে। যদি আমার সন্দেহের কথা বলি তাহলে হয়তো আমাকে মিথ্যুক বা অন্য কিছু ভাবতে পারে। এখন যেহেতু আমার সন্দেহ হচ্ছে ওনাদের ফ্রীজে রাখছি কিনা? এখন আমি কি ঐ গোশ নিবো আন্টির কাছ তেকে? আমি কি করবো সন্দেহে সন্দেহে শেষ হয়ে যাচ্ছি।

৭.আপনাদের যখন আমার নামাজের সন্দেহের সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করছিলাম তখন আপনারা অনেকবার উত্তর দিচ্ছিলেন প্রবল ধারনার আমল করতে না করতে পারলে কমটা ধরে আদায় করে শেষে সহু সেজদা আদায় করতে। আপনাদের কাছ থেকে এই ধরনের সব উত্তর পেয়ে আমার আপনাদের প্রতি মনে মনে রাগ হচ্ছিল যে কথা বার বার বলছেন? আমার জন্য কি কোন ছাড় নেই।আমারতো প্রতি ওয়াক্তের নামাজেই সন্দেহ হয় আপনারা আমার সমস্যাটা হয়তো বুঝছেন না।

আমার এই রাগ হওয়াতে কি আল্লাহর ফয়সালার বিরুদ্ধে রাগ হওয়া হবে? আর এজন্য কি ইমান চলে যেতে পারে??

আসলে আমি নামাজ নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকায় এরকম টা হচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
প্রত্যেক নবী ও রাসূলের মাসুমিয়াত বা নিষ্পাপ হওয়ার বিষয়টি মহান আল্লাহপাক সুস্পষ্টভাবে আল কোরআনে বিবৃত করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে : 

তিনি ছিলেন অঙ্গীকারে সত্যাশ্রয়ী, তিনি ছিলেন রাসূল-নবী। (সূরা মারইয়াম : ৫৪)।

আমরা তোমাদের নিকট সত্য নিয়ে এসেছি এবং আমরা অবশ্যই সত্যবাদী। (সূরা আল হিজর : ৬৪)। 

আমি তোমাদের হিতাকাক্সক্ষী, বিশ্বস্ত। (সূরা আল আ’রাফ : ৬৮)

সমস্ত নবী রাসুল নিষ্পাপ। এটি কোরআন, হাদিস, উম্মতের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত ও অকাট্য যুক্তির আলোকে প্রমাণিত। তবে কিছু আয়াতে যে  নবীদের তাওবা, ইস্তেগফার কবুল করা সংক্রান্ত এসেছে,তার মানে হলো বৈধতার সীমায় অবস্থান করে নবীরা যদি নিজস্ব ইজতিহাদ বা চিন্তার ভিত্তিতে কোনো অনুত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, আল্লাহ তাআলা সেটিও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। 

যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। সব নবী ও রাসুল নিষ্পাপ ছিলেন। কোনো নবীকে গুনাহগার বা কোনো কাজে আল্লাহর অবাধ্য মনে করলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে। 

কাজি আয়াজ (রহ.) লিখেছেন : নবীগণ মাসুম তথা নিষ্পাপ হওয়ার বিষয়ে গোটা মুসলিম উম্মাহ ঐকমত্য রয়েছে।
,
নবি রাসুল দের নিষ্পাপ হওয়া সংক্রান্ত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এরকম কেউ আকীদা রাখলে সে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত থাকবেনা।

(০২)
এভাবে মুসলিম মনে করে ফেলার কারনে ঈমান চলে যাবেনা।
দ্বীন থেকে খারিজ হয়ে যাবেনা।

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য পুনরায় নামাজ পড়তে হবেনা।

(০৪)
এক্ষেত্রে প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
প্রবল ধারনা কোনো দিকে না হলে আরো একটি রুকু করে শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন। 

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 
এটি কেনায়া বাক্য নয়।

(০৬)
আপনি ওই আন্টি থেকে গোশত নিবেন।
সন্দেহ পরিহার করে চলার পরামর্শ রইলো, প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে পারেন।

(০৭)
আপনার এই রাগ হওয়াতে আল্লাহর ফয়সালার বিরুদ্ধে রাগ হওয়া হবেনা।
আর এজন্য ইমান চলে যেতে পারেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (55 points)
edited by
১.নবীগন দ্বীন পালনের ব্যাপারে নিষ্পাপ ছিলেন ঐ ব্যক্তি জানে।নবীরাসূলগন গুনাহ করেছেন এটাতো আকিদা রাখেনি তারা ভুল করেছেন এটা মনে ধারনা করেছে।এতেও কি ইমান চলে যাবে?? ভুল আর গুনাহ কি এক জিনিস??
by (573,870 points)
তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে দ্বীনি ব্যপারে বা দাওয়াতের ব্যাপারে কোনো নবি রাসুল ভুল করেছে বললে সে আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত থাকবেনা।
তবে এক্ষেত্রে তার ঈমান চলে যাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 200 views
...