আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (28 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

প্রশ্নটি আবার করলাম।

1. হুজুর ঘুষ দিয়ে টাকা তোলা, ব্যাংকের সেভিংসে টাকা রাখা (সুদ দিয়েছে কিনা জানি না। জনতা এবং সম্ভবত সোনালী ব্যাংকে), জমি বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া এসবের টাকা কিভাবে হালাল হয়? তাই প্রশ্নটি আরেকবার করলাম। (প্রশ্নটির জবাব পেয়েছিলাম। আমার খটকার কারণে আবার প্রশ্নটি করলাম)
প্রশ্নঃ
আমার বড় আব্বা একজন কলেজের প্রভাষক ছিলেন। তিনি বিয়ে করেন নি। তাই রিটায়ার্ডের এবং মৃত্যুর পরে আমার বাবারা কয়েক লাখ করে টাকা ভাগে পায়। তবে তার রিটায়ার্ডের টাকাগুলো ব্যাংক থেকে  তোলার সময় ঘুষ দিয়ে তোলা হয়েছিল। আমার বাবারা ৪ ভাই এবং ১ বোন সে টাকাগুলো পেয়েছিল৷ যাই হোক। ভাইয়েরা ৫-৬ লাখ টাকার মত ভাগে পেয়েছিল।
আমার বাবা আমার বড় আব্বার টাকাগুলো ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্টে রাখে। মানে যখন তখন রাখে আবার তোলে। আমার বাবা ২,৩ এমনকি ৫-৬ মাস পর পরও টাকা রাখে আর তোলে। ব্যাংকটি ইসলামিক নয়। সুদ দিয়েছিল কিনা বলতে পারি না। (আমার বাবার কথা হলো, "আমি ব্যাংক থেকে সুদ নেই না। বরং আমার থেকেই টাকা কেটে নেয়"। তবে আমি তার কথাতে ১০০% বিশ্বাসী না। কারণ আমি মনে করি, আমার বাবা সুদকে অপছন্দ করেন বলেই হয়ত কথাটা বলেছেন। এমনও হতে পারে যে, ব্যাংক থেকে সুদ দেওয়া হচ্ছে আর আমার বাবা জানছেনই না। কেননা উনি কিছু কিছু বিষয়ে একটু কম বোঝেন। তবে আমি ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নেই নি। আমার বাবা সেই টাকাগুলো সর্বোচ্চ ৪-৬ মাস ব্যাংকে রেখেছিল। উনি সুদকে ঘৃণা করেন। তাই আমি মনে করি, শুধু নিরাপত্তার জন্য উনি টাকাগুলো রেখেছিলেন।
আমার বাবা তার এক ভাইয়ের থেকে ১ লাখ টাকা হাওলাত নিয়ে আমাকে খামার করার জন্য দেয়। আমার বাবা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আমার বড় আব্বার রিটায়ার্ডের টাকার থেকে  ৬০ হাজার টাকা আমার মামাকে হাওলাত দেয় (কারণ মামা জমি বন্ধক নিয়েছিল, হাতে টাকা ছিল না) এবং পরে তা ফেরত নেয় এবং জমি বন্ধক রাখে ৬৫ হাজার টাকা এই মোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার ১ লাখ টাকা দিয়ে আমার খামারের জন্য হাওলাত নেওয়া টাকা শোধ করে এবং পরে আমাকে আরও ১০-১৫ হাজার বা এমন টাকা দিয়েছিল। তবে সেটা এই ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিল কিনা বলতে পারি না।
(জমি বন্ধকঃ আমার জমি আপনার কাছে রাখব। বিনিময়ে টাকা নিব। আপনি আমার জমি ভোগ করবেন। আমার টাকা হলে আপনাকে টাকা ফিরিয়ে দিয়ে জমি ফেরত নিব। মূলত যারা জমি বন্ধক রাখে তারা টাকা পাবার জন্য রাখে, আর যারা বন্ধক নেয় তারা আবাদ করার জন্য নেয়)
যাই হোক, আমি সে টাকা খামারের ঘর নির্মাণ, বেড়া দেওয়া এবং কিছু ছাগল কিনতে ব্যয় করি। পরবর্তীতে আমার ছাগলগুলো অসুস্থ হয়। কিছু মারা যায়, কিছু বিক্রি করি, ১ টি জবাই করি। উল্লেখ্য যে, আমি ছাগল কিনেছিলাম প্রায় ৬০ হাজার টাকার এবং পরে বিক্রি করি ২৪-২৬ হাজার টাকার মতো। আর আমার মায়ের কাছে তার প্রাইমারি স্কুলে করা চাকুরির বেতনের থেকে ৪০০০-৬০০০ টাকার মতো নেই। এই মোট ৩০ হাজারের কিছু বেশি টাকা। সেই টাকা দিয়ে গরু কিনি ১ টা ২৪ হাজার দিয়ে।
পরে সেই গরু বিক্রি করি ২৫ হাজার টাকায়। আর আমার কাছে ৩-৫ হাজার টাকার মত ছিল + আমার বাবার সেভিংসে রাখা টাকা থেকে কিছু টাকা নিয়ে ৪১-৪২ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনি। (উল্লেখ্য যে, আমার বাবা তার সেভিংস অ্যাকাউন্টে আমার বড় আব্বার রিটায়ার্ডের টাকা ছাড়াও যখন তখন সবজি বিক্রির টাকা রাখেন এবং তোলেন। তিনি কিছু টাকা এখান থেকে এবং সম্ভবত কিছু টাকা তার ছাগল বেঁচে দিয়েছিলেন গরু কেনার জন্য)

পরে সেই গরু ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি এবং ২৫ হাজার টাকার মত আমার মায়ের কাছে জমা রাখি। আর কিছু টাকা একটা হালাল কাজে লাগাই। সে কাজটাতেও ব্যার্থ হই এবং মালপাতি বিক্রি করে কিছু টাকা পাই নি এখনো, তবে পাব। সেই টাকা গ্রহণ করতে পারব?

বর্তমানেঃ

এই ২৫ হাজার টাকার আমি ১৬ হাজার টাকা আমি আমার মায়ের থেকে নিয়ে কনফেকশনারি দোকানের কাজে লাগাইতেছি (কিছু খরচ হয়েছে এবং হচ্ছে)
আমার বাবা তার হজের নিয়তে রাখা গরু বিক্রির ২৮ কি ২৯ হাজার টাকা এবং হজের নিয়ত ছাড়া রাখা ছাগল বিক্রির টাকা থেকে আমাকে দোকানের জন্য দেয় ১১ হাজার এবং জামানত বাবদ দেয় ২১ হাজার টাকা।
তাছাড়াও তার হজের নিয়তে রাখা গাছ বিক্রি করে দোকানের জামানত বাবদ ৯৫০০ টাকা দেয়।

আমার বাবার সেভিংস অ্যাকাউন্টে ফসল বিক্রির ২০ হাজার টাকার মত ছিল। সেটা আমার মামাকে হাওলাত দেয়। পরে মামার থেকে ফেরত নিয়ে আমাকে দোকানের জন্য দেয় ৯ হাজার এবং জামানত বাবদ দেয় ৫ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য যে, যার থেকে দোকানটি নেওয়া হয়েছে সে প্রচলিত পদ্ধতিতে জামানত নিয়েছে। তাকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা জামনাত দেওয়ার পর বলেছিলাম- জামানতের টাকাগুলো যেন ভাড়ার অগ্রিম হিসেবে নেওয়া হয়, সে রাজি হয় নি।
আমি শুনেছিলাম যে,  এভাবে নিলে নাকি বিষয়টি হালাল হয়। তবে প্রথম দিকে তাকে বিষয়টি বলি নি। বলব বলব করতে করতে বলা হয় নি।

আমার প্রশ্ন হলোঃ
১. আমি কি আমার মায়ের থেকে ২৫ হাজারের বাকি ৯ হাজার নিতে পারব?
২. উপরের বিবরণ অনুযায়ী আমার কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে? কি করণীয় এখন?
৩. বিবরণগুলো ১০০% সত্য নয়, তবে ৯৫-৯৯% সত্য ইনশাআল্লাহ। কারণ, সব মনে নেই; অনুমান করেও বলা আছে।
৪. হারাম টাকায় হালাল ব্যবসা করলে সারা জীবনের ইনকামই হারাম হবে নাকি শুধু ইনভেস্টের টাকাটি হারাম? পরে শুধুমাত্র ইনভেস্টের টাকাটি দান করে দিলে বৈধ হবে না?
৫. হজের নিয়তে রাখা কোনো কিছু ব্যবসা বা অন্য হালাল কাজে ব্যয় করা যায়?
৬. আমার জামানতের টাকা দেওয়া ছাড়া উপায় নাই। এভাবে ব্যবসা করলে হারাম হবে? পরে এই জামানতের টাকা কোনো হালাল কাজে লাগানো যাবে?
৭. জামানতের টাকা হারাম হলে ব্যবসা হালাল টাকা দিয়ে করলে ব্যবসার ইনকাম হারাম হবে?

হুজুর ঘুষ দিয়ে টাকা তোলা, ব্যাংকের সেভিংসে টাকা রাখা (সুদ দিয়েছে কিনা জানি না। জনতা এবং সম্ভবত সোনালী ব্যাংকে), জমি বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া এসবের টাকা কিভাবে হালাল হয়? তাই প্রশ্নটি আরেকবার করলাম।

(হুজুর আমার খটকার কারণে প্রশ্নটি করলাম। তবে জায়েজ হলে থাকলে আরেকবার বলুন দয়া করে। আর প্রশ্ন করব না ইনশাআল্লাহ) 

2. দোকানের ট্রেড লাইসেন্স দেরিতে করে (মানে কিছুদিন দোকান চালিয়ে; তারপর করলাম) কনফেকশনারি দোকান করলে ব্যবসা হারাম বা পাপ হবে?
3. নিজের তৈরি করা কোনো পণ্য বিএসটিআই বা সরকারি কিছু অনুমোদন ছাড়া বাজারজাত করা যায় না। তবে নিজ কনফেকশনারি দোকানে খাবার বা পণ্য বানিয়ে বিক্রি করা যাবে?

৪. (জমি বন্ধকঃ আমার জমি আপনার কাছে রাখব। বিনিময়ে টাকা নিব। সেই টাকা খরচ করব। আপনি আমার জমি ভোগ করবেন। আমার টাকা হলে আপনাকে টাকা ফিরিয়ে দিয়ে জমি ফেরত নিব। মূলত যারা জমি বন্ধক রাখে তারা টাকা পাবার জন্য রাখে, আর যারা বন্ধক নেয় তারা আবাদ করার জন্য নেয়)

 

এভাবে জমি বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া জায়েজ আছে?

 

 ৫.কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা করে তবে তার উপহার নেওয়া যাবে কি?

 

 ৬. হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা যেমন কনফেকশনারি ব্যবসা শুরু করলে -

 

ক. ব্যবসার সব টাকাই হারাম হবে?

 

খ. শুধুমাত্র ইনভেস্টের হারাম টাকাটা পরে দান করলে ব্যবসা হালাল হবে না?

 

৭.কেউ যদি হালাল-হারাম মিক্সড ইনকাম করে তবে হারাম খাওয়ার কারণে তার ইবাদত দোয়া কবুল হবে?

৮. হুজুর আপনি একখানে বললেন হারাম খেলে দোয়া ইবাদত কবুল হয় না আরেকখানে বললেন কবুল হয়। প্লিজ আরেকবার একটু বলেন।

৯. আমার আগের প্রশ্নটি হলোঃ কেউ তালাকের পরেও তার স্ত্রীর সাথে সংসার করলে তার নামাজ দোয়াসহ সব ইবাদত কবুল হবে কি? তার শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছু নেওয়া জায়েজ হবে কি?( কারণ, স্বামীর সাথে সংসার না থাকলে তো তারা কিছু পাঠাতো না। মানে তারা আলাদা হলে তো শ্বশুর বাড়ি থেকে সাহায্য পেত না।)
আপনি বললেন যে, আল্লাহ না করুন যদি কোনো তালাক প্রাপ্ত দম্পতি এক সাথে সংসার করে তবে স্বামী তার শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা বা যেকোনো কিছু নিতে  পারবে; যদি তারা সন্তুষ্ট হয়ে দেয়।
আমার কথা হলোঃ এক্ষেত্রে কি স্বামী শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছু চাইতে পারবে?
মানে যৌতুক হিসেবে নয়, অনেক সময় দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় আর কি। সে-সময় চাওয়ার পর শ্বশুর বাড়ি থেকে সন্তুষ্ট হয়ে কিছু দিলে নেওয়া যাবে? যদিও তারা তালাকের বিষয়টি জানে বা জানে না।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(1)
১.
আপনি আপনার মায়ের থেকে ২৫ হাজারের বাকি ৯ হাজার নিতে পারবেন।

২. যতটুকু বুঝতে পেরেছি,তাতে উপরের বিবরণ অনুযায়ী আপনার ভুল হয়নি।

৩. জী,ঠিক আছে।
৪.  হারাম টাকায় হালাল ব্যবসা করলে এ ব্যবসায় তার সারা জীবনের ইনকামই হারাম হবে। 

পরে শুধুমাত্র ইনভেস্টের টাকাটি হালাল টাকা হতে দান করে দিলে সব ইনকাম বৈধ হবে।

তবে এক্ষেত্রে ইনভেস্টের টাকা দান করতে গিয়ে সেই ব্যবসার লাভ বা মূলধন থেকে দান করা যাবেনা।
আলাদা কোনো হালাল সোর্স থেকে টাকা নিয়ে দান করতে হবে।
প্রয়োজনে কাহারো থেকে করজ নিতে পারেন।

৫. হজের নিয়তে রাখা কোনো কিছু ব্যবসা বা অন্য হালাল কাজে ব্যয় করা যায়।
৬.  এভাবে ব্যবসা করলে হারাম হবেনা। হালাল হবে।  এই জামানতের টাকা কোনো হালাল কাজে লাগানো যাবে।

৭. জামানতের টাকা হারাম হবেনা। সুতরাং উক্ত ব্যবসার ইনকাম হারাম হবেনা।

(2) 
ব্যবসা হারাম হবেনা। পাপ হবেনা।
তবে সরকারি আইন মানতে আপনি দেড়ি করায় অপরাধ হবে,এটি সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষমা করে দিলে কোনো সমস্যা নেই।

(3)
তবে নিজ কনফেকশনারি দোকানে খাবার বা পণ্য বানিয়ে বিক্রি করা যাবে.

(4)
এভাবে জমি বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া জায়েজ নেই।
তবে এক্ষেত্রে হারাম কাজে সহায়তার গুনাহ হবে।

উল্লেখ্য যে এক্ষেত্রে যে ব্যাক্তি বন্ধক রেখে টাকা নিয়েছে,তার টাকাকে হারাম বলা হবেনা।
এটি হালাল টাকা।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালাঃ-
শরীয়তের বিধান মতে বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতার কোনো ফায়দা হাসিল করা নাজায়েজ ও হারাম। এমনকি বন্ধকদাতা এর অনুমতি দিলেও পারবে না। কারণ বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতা কোনো ধরনের ফায়দা উপভোগ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত, যা হারাম। (বাদায়েউস সানায়ে : ৬/১৪৬)

ইবনে সিরিন (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক সাহাবি ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, এক ব্যক্তি আমার কাছে একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, তা আমি আরোহণের কাজে ব্যবহার করেছি। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তুমি আরোহণের মাধ্যমে এর থেকে যে উপকার লাভ করেছ তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১)
,
বিখ্যাত তাবেয়ি ইমাম কাজি শুরাইহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সুদ পান করা কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বলেন, বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকি গাভির দুধ পান করা সুদ পানের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৬৯)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি নাজায়েজ। 
এটি জায়েজ পদ্ধতি নয়।
,     
বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ 

এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ 

(০৫)
কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা করে,সেক্ষেত্রে সে হালাল টাকা হতে সেই মূলধন পরিমান টাকা সদকাহ না করলে তার উপহার নেওয়া যাবেনা।

(০৬)
ক,ব্যবসার সব টাকাই হারাম হবে।

খ. শুধুমাত্র ইনভেস্টের হারাম টাকাটা পরে কোনো হালাল টাকা হতে দান করলে ব্যবসা হালাল হবে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালা জানুনঃ- 

(০৭)

কেউ যদি হালাল-হারাম মিক্সড ইনকাম করে,তবে হারাম খাওয়ার কারণে তার ইবাদত দোয়া কবুল হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

ان العبد لیقذف اللقمة الحرام فی جوفہ ما یتقبل اللہ منہ عمل اربعین یوماً اھ (المعجم الاوسط، رقم: ۶۴۹۵)

সারমর্মঃ- বান্দা যদি এক লোকমা হারাম খাবার তার পেটে দেয়,আল্লাহ তায়ালা চল্লিশ দিন তার আমল কবুল করেননা।

-

(০৮)
উভয় প্রশ্ন আবারো দেখুন, কোনো বৈপরীত্ব নেই,আলহামদুলিল্লাহ 
তার দোয়া ইবাদত কবুল হবেনা।

বিস্তারিত দেখুনঃ-

(০৯)
শশুর বাড়ি থেকে কোনো কিছু চাওয়া এমনিতেই তো উচিত নয়।
হাদীয়া তো চেয়ে হয়না।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও উক্ত ব্যাক্তি শশুর বাড়ি থেকে কোনো কিছুই চাইতে পারেনা।
এভাবে চাওয়া জায়েজ নেই।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে, উপরোক্ত কোনো মাসয়ালা না বুঝলে,বা সংশয় মনে হলে নিকটস্থ কোনো ফতোয়া বিভাগে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বুঝে নিবেন,জাযাকাল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...