(1)
১.
আপনি আপনার মায়ের থেকে ২৫ হাজারের বাকি ৯ হাজার নিতে পারবেন।
২. যতটুকু বুঝতে পেরেছি,তাতে উপরের বিবরণ অনুযায়ী আপনার ভুল হয়নি।
৩. জী,ঠিক আছে।
৪. হারাম টাকায় হালাল ব্যবসা করলে এ ব্যবসায় তার সারা জীবনের ইনকামই হারাম হবে।
পরে শুধুমাত্র ইনভেস্টের টাকাটি হালাল টাকা হতে দান করে দিলে সব ইনকাম বৈধ হবে।
তবে এক্ষেত্রে ইনভেস্টের টাকা দান করতে গিয়ে সেই ব্যবসার লাভ বা মূলধন থেকে দান করা যাবেনা।
আলাদা কোনো হালাল সোর্স থেকে টাকা নিয়ে দান করতে হবে।
প্রয়োজনে কাহারো থেকে করজ নিতে পারেন।
৫. হজের নিয়তে রাখা কোনো কিছু ব্যবসা বা অন্য হালাল কাজে ব্যয় করা যায়।
৬. এভাবে ব্যবসা করলে হারাম হবেনা। হালাল হবে। এই জামানতের টাকা কোনো হালাল কাজে লাগানো যাবে।
৭. জামানতের টাকা হারাম হবেনা। সুতরাং উক্ত ব্যবসার ইনকাম হারাম হবেনা।
(2)
ব্যবসা হারাম হবেনা। পাপ হবেনা।
তবে সরকারি আইন মানতে আপনি দেড়ি করায় অপরাধ হবে,এটি সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষমা করে দিলে কোনো সমস্যা নেই।
(3)
তবে নিজ কনফেকশনারি দোকানে খাবার বা পণ্য বানিয়ে বিক্রি করা যাবে.
(4)
এভাবে জমি বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া জায়েজ নেই।
তবে এক্ষেত্রে হারাম কাজে সহায়তার গুনাহ হবে।
উল্লেখ্য যে এক্ষেত্রে যে ব্যাক্তি বন্ধক রেখে টাকা নিয়েছে,তার টাকাকে হারাম বলা হবেনা।
এটি হালাল টাকা।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালাঃ-
শরীয়তের বিধান মতে বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতার কোনো ফায়দা হাসিল করা নাজায়েজ ও হারাম। এমনকি বন্ধকদাতা এর অনুমতি দিলেও পারবে না। কারণ বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতা কোনো ধরনের ফায়দা উপভোগ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত, যা হারাম। (বাদায়েউস সানায়ে : ৬/১৪৬)
ইবনে সিরিন (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক সাহাবি ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, এক ব্যক্তি আমার কাছে একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, তা আমি আরোহণের কাজে ব্যবহার করেছি। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তুমি আরোহণের মাধ্যমে এর থেকে যে উপকার লাভ করেছ তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১)
,
বিখ্যাত তাবেয়ি ইমাম কাজি শুরাইহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সুদ পান করা কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বলেন, বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকি গাভির দুধ পান করা সুদ পানের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৬৯)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি নাজায়েজ।
এটি জায়েজ পদ্ধতি নয়।
,
বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ
এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ
(০৫)
কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা করে,সেক্ষেত্রে সে হালাল টাকা হতে সেই মূলধন পরিমান টাকা সদকাহ না করলে তার উপহার নেওয়া যাবেনা।
(০৬)
ক,ব্যবসার সব টাকাই হারাম হবে।
খ. শুধুমাত্র ইনভেস্টের হারাম টাকাটা পরে কোনো হালাল টাকা হতে দান করলে ব্যবসা হালাল হবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালা জানুনঃ-
(০৭)
কেউ যদি হালাল-হারাম মিক্সড ইনকাম করে,তবে হারাম খাওয়ার কারণে তার ইবাদত দোয়া কবুল হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ان العبد لیقذف اللقمة الحرام فی جوفہ ما یتقبل اللہ منہ عمل اربعین یوماً اھ (المعجم الاوسط، رقم: ۶۴۹۵)
সারমর্মঃ- বান্দা যদি এক লোকমা হারাম খাবার তার পেটে দেয়,আল্লাহ তায়ালা চল্লিশ দিন তার আমল কবুল করেননা।
-
(০৮)
উভয় প্রশ্ন আবারো দেখুন, কোনো বৈপরীত্ব নেই,আলহামদুলিল্লাহ
তার দোয়া ইবাদত কবুল হবেনা।
বিস্তারিত দেখুনঃ-
(০৯)
শশুর বাড়ি থেকে কোনো কিছু চাওয়া এমনিতেই তো উচিত নয়।
হাদীয়া তো চেয়ে হয়না।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও উক্ত ব্যাক্তি শশুর বাড়ি থেকে কোনো কিছুই চাইতে পারেনা।
এভাবে চাওয়া জায়েজ নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে, উপরোক্ত কোনো মাসয়ালা না বুঝলে,বা সংশয় মনে হলে নিকটস্থ কোনো ফতোয়া বিভাগে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বুঝে নিবেন,জাযাকাল্লাহ।