জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জন্ম নিয়ন্ত্রণ এর অনেক পদ্ধতি আছে।
এর মধ্যে একটি হলো স্থায়ী পদ্ধতি, এটি ব্যাক্তি বিশেষ নিয়তের সমস্যার কারনে নাজায়েজ।
আর জন্ম নিয়ন্ত্রণ এর আরেকটি পদ্ধতি আছে,সেটি হলো স্থায়ী পদ্ধতি।
যাহা স্পষ্ট হারাম।
,
যার দ্বারা নারী বা পুরুষ প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ অবৈধ। আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী (র.) বুখারী শরীফের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন: و هو محرم بالاتفاق অথাৎ স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন সর্বসম্মতক্রমে হারাম।(উমদাতুল ক্বারীঃ ১৪/১৪ পৃঃ)
হাদিস শরিফে এসেছে, ইব্নু মাস’ঊদ রাযি. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
كُنَّا نَغْزُوْ مَعَ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم لَيْسَ لَنَا نِسَاءٌ فَقُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلاَ
نَسْتَخْصِي فَنَهَانَا عَنْ ذَلِكَ.
আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সঙ্গে জিহাদে অংশগ্রহণ করতাম।
আমাদের সঙ্গে আমাদের বিবিগণ থাকত না। তাই আমরা বললাম, হে
আল্লাহর রসূল! আমরা কি খাসি হয়ে যাব? তিনি আমাদেরকে তা করতে নিষেধ করলেন।(সহীহ
বুখারী, হাদীস ৫০৭৫)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ, সে সকল ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রদান জায়েয ও বৈধ।আর যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের অনুমোদন শরীয়তে নাই,সেসকল ক্ষেত্রে উনার জন্য চিকিৎসা প্রদান জায়েয হবে না।এমন নাজায়েয কাজে সহযোগিতা করার দরুণ অবশ্যই গোনাহ হবে। যেহেতু এসব প্রতিষ্ঠানে হালাল হারামের কোনো তোয়াক্কা করা হয়না,তাই এধরনের এমন চাকুরী গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে যেহেতু হারাম কাজের সাথে সাথে হালাল কাজও রয়েছে।তাই এ চাকুরী করলে ইনকামকে স্পষ্ট হারাম বলা যাবে না।
তাকওয়ার দাবী হল, এমন চাকুরী পরিহার করা।