আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)

১. সরকারী চাকুরিজীবীদের জন্য বছরে ৫ দিনের ভিতর ৩ দিন ঐচ্ছিক ছুটি নেয়ার সুযোগ থাকে। এগুলো হলো (মুসলিমদের ক্ষেত্রে), ঈদুল ফিতরের পরের ২য় দিন, ঈদুল আযহার পরের ২য় দিন, শব-ই-মিরাজ, আখেরী চাহার সোম্বা এবং ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। তবে, অনেক ক্ষেত্রে ঈদুল ফিতরের পরের ২য় দিন এবং ঈদুল আযহার পরের ২য় দিন যারা গ্রামে যায় তারা ছুটি নেওয়ায় যারা ঢাকায় থাকে তাদের ছুটি দিতে চায় না। এক্ষেত্রে অন্য দিনগুলোতে (শব-ই-মিরাজ, আখেরী চাহার সোম্বা এবং ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম) ছুটি নেয়া যাবে কি? যেহেতু এই দিবস গুলো নিয়ে মতভেদ আছে, তাই জিজ্ঞেস করলাম।

২. অনেক সময় অসুস্থতা বা অন্য কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে পানি বের হয়। এ ধরনের পানি কি নাপাক হবে?

৩. বাতকর্মের কারণে নামাজে থাকাকালীন সময় অযু ভেঙে গেলে যদি এমন হয় যে আরো বায়ু বের হবে বলে মনে হচ্ছে, এক্ষেত্রে বায়ু বের করার পর পুনরায় অযু করে নামাজের যে স্থানে অযু ভেঙেছে সে স্থান থেকে আদায় করলে কি আদায় হবে নাকি শুরু থেকে আদায় করতে হবে?

৪. অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ট্রেনিং এর ব্যবস্থা থাকে এবং এর জন্য সম্মানী দেয়। যদি এমন হয় যে, যেদিন ট্রেনিং আছে সেদিন অফিসে দাপ্তরিক কাজের চাপ থাকায় ট্রেনিং এ পুরো সময় থাকা সম্ভব নয় (শুধু ১ ঘন্টা থাকা হয়), সেক্ষেত্রে ট্রেনিং এর সম্মানী নেয়া যাবে কি? যদি না নেয়া যায়, তাহলে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করলে কি হবে? আর, নেয়ার পর যদি কোন কারণে প্রয়োজন হয় তাহলে খরচ করে পরবর্তীতে হাতে টাকা আসলে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করলে হবে?  

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

(১)
যেহেতু ঐ দিবস সমূহে সরকারি ছুটি রয়েছে, তাই নিজের কোনো প্রয়োজন থাকলে সেই দিনের ছুটি নেয়া যেতে পারে।তবে ঐ দিন সমূহকে উদযাপন করার নিয়তে ছুটি নেয়া যাবে না।

(২)
و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج)
وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل
ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।

উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে।(শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2142

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীরের যখম থেকে পানি বের হওয়ার পর স্ব-স্থান ত্যাগ করলে সেই পানি নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং অজু চলে যাবে।

(৩)
বায়ূ বের হওয়ার পর কোথাও বসে বা দাড়িয়ে আবার বায়ূ নির্গত করার চেষ্টা করা যাবে না।হ্যা, হাটতে হাটতে বায়ূ বের হয়ে গেলে তাতে সমস্যা নেই। সর্বোপরি শুরু থেকেই আদায় করে নেয়া উত্তম।

(৪)
অফিসের নিয়ম যদি থাকে যে, ট্রেনিংয়ের মুহূর্তে সমস্ত সময় ব্যাপি উপস্থিত থাকতে হবে, তাহলে তখন সামান্য সময় উপস্থিত থাকলে শুধুমাত্র সেই সময়ের হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে। যেমন ট্রেনিং ছিল,৩ ঘন্টার।এখন কেউ যদি ১ ঘন্টা উপস্থিত থাকে, তাহলে সে এক তৃতীয়াংশ সময় উপস্থিত থাকতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 500 views
...