আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
236 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
১.জান্নাতে নারী বেশি হবে। এটা কি সত্য?

২.স্বামীর আনুগত্য ফরজ। তবে এই ফরজের লিমিটেশন কতটুকু? মানে এটা কি এমন টাইপ যে যদি বলা হয় হাজবেন্ড বললে তার পা ধুয়ে পানি খেতেও স্ত্রী বাধ্য?

৩.স্বামী যদি বলে স্ত্রীর মা বাবা, বোনের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে তার কোনো মতামত নেই, তার মা বাবার মতামত ই ফাইনাল। আর শশুর শাশুড়িও যদি এই সুযোগে জুলুম করে যেমন অসুস্থ মা কে দেখতে যেতে দেয় না গেস্ট আসবে তাই। তাহলে এক্ষেত্রে কি মাসয়ালা হবে? শশুর শাশুড়ির কথা অনুযায়ী ই চলতে হবে?

৪.আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমার একটা বিষয়ে জানার আছে।
আচ্ছা একজন বয়স্ক স্বামী যদি তার প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের সামনে তার স্ত্রীকে গালাগালি ও মারধোর করে।
আর সন্তানরা বারবার বলেও বাবাকে থামাতে না পেরে এক পর্যায়ে বাবার সাথে রাগের মাথায় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি পর্যায়ে চলে যায় তবে এতে কি সন্তানরা গোনাহগার হবে.???
বলে রাখা ভালো ঐ লোক বে-নামাজি, শিরক করে, স্ত্রী ও সন্তানদের বঞ্চিত করে এবং কথা ও কাজের মাধ্যমে কষ্ট দেয়।

তার হাত থেকে নিজের মাকে রক্ষা করার জন্য যদি তার সাথে খারাপ আচরণ করা হয় তাহলেও কি এটার জন্য শাস্তি আছে.???

৫.একজন নারীর বিয়ের পর শরীয়ত থেকে আবশ্যিক করে দেওয়া দায়িত্ব কী কী?
by (20 points)
উত্তরটা দিবেন উস্তাদ প্লিজ 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যেহেতু নারীদের সংখ্যা বেশী তাই যখন সকল মুসলমান জান্নাতে যাবে, তখন নারীদের আধিক্য হওয়া স্বাভাবিক। তবে প্রাথমিক অবস্থায় নারীরা জান্নামেই বেশী থাকবে।

(২)
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
 স্বামী যদি শরীয়তের ভিতরে থেকে এমন কেনো আদেশ করে, যা স্ত্রীর জন্য পালন করা সহজ। এবং যাতে স্ত্রীর কোনো ক্ষতিও নাই, তাহলে এমন আদেশকে মান্য করা স্ত্রীর উপর ওয়াজিব। পা ধৌত করে পানি পানের নির্দেশ স্বামী দিলে, সেই নির্দেশ পালন করা স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়।

(৩)
স্বামী যদি বলে স্ত্রীর মা বাবা, বোনের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে তার কোনো মতামত নেই, তার মা বাবার মতামত ই ফাইনাল। এমনটা কখনো সমুচিত হবে না। বরং এখানে স্বামী বাধ্য যে, সে তার স্ত্রীকে সাপ্তাহে একবার মাতাপিতার সাথে সাক্ষা করতে দিবে। এবং মাতাপিতা ব্যতিত অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের সাথে বৎসরে একবার সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া স্বামীর উপর শরীয়ত কর্তৃক দায়িত্ব।স্বামী এ দায়িত্ব তার মাতাপিতার উপর ঢেলে দিতে পারবেনা।

(৪)
وَإِن جَاهَدَاكَ عَلَىٰ أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ۖ وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।(সূরা লুকমান-১৪/১৫)

وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনি ইসরাঈল-২৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সন্তান তার মাতা বা পিতার সাথে কখনো অসদাচরণ করতে পারবে না। মাতা পিতাই যতকিছুই করুক না কেন, সন্তান মাতাপিতার সাথে সর্বদা নমনীয় আচরণ করবে।

(৫)
স্বামীর বাধ্য থাকা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...