আসসালামু আ'লাইকুম হুজুর
স্ত্রী রাগে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে যেটা স্বামীর পছন্দ হয়নি তখন স্বামী অনেক চিল্লাপাল্লা করে কথাগুলো হুবহু মনে নেই
হুবহু বা কাছাকাছি স্বামীত কথাগুলো নিচে লেখা হলো-
"কেন দরজা জোরে বন্ধ করছো?তুমি কি নিয়ে রাগ দেখাচ্ছো সেটা বলো, না বললে কিভাবে বুঝবো? তুমি আমাকে মেন্টালি টর্চার করছো,এগুলো নিতে পারছি না, পাগল হয়ে যাচ্ছি,বলো না কেন জোরে দরজা বন্ধ করছো?
তোমার সমস্যা কি? তুমি চেঞ্জ হও নাহয় আমি কি করি জানিনা,এমন কিছু করব যেটা তোমার পছন্দ না, তুমি নিজেকে বদলাও,তোমার এইসব কোনভাবেই সহ্য হচ্ছে না,আমি বিরক্ত,ক্লান্ত, এইসব আর নিতে পারতেছিনা
স্বামী আরো কিছু কথা বলে তোমাকে কেয়ার করে আমি কি পাচ্ছি?তোমার আর আমার সম্পর্ক তো দান প্রতিদানের হয়ে গেছে ( আরো কিছু কথা যা মনে নেই)
আবার শান্তভাবে পাশে বসে বুঝাচ্ছে আমাদের বাচ্চা হবে কি হবে না সেটা আল্লাহ জানেন আমরা চিকিৎসা এবং চেষ্টা করতে পারব, আল্লাহ বাচ্চা না দিলে কিছু করতে পারবে না।আগে ০ কনফিডেন্স নিয়ে যেকোন কাজ করতাম বিগত ১বছর সেটা করতে পারিনা তোমার এইসবের কারণে। স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছিল(হুবহু কথা মনে নেই)
স্ত্রী অনুরোধ করে স্বামীকে কিছু না বলার জন্য যেহেতু স্ত্রীর ওয়াসওয়াসা রোগ আছে।তাই ভয় পায় স্বামী কিছু বললে কারণ স্ত্রী সেটা নিয়ে সারাদিন ভাবতে থাকবে।
তখন স্বামী বলে তোমার যেই সমস্যা সেটাও আমার মাথায় আছে,আমি কোন কাজে মন বসাতে পারিনা তোমার এগুলো ভাবতে ভাবতে।এগুলো তে জীবনে অসুবিধা হচ্ছে
স্ত্রী বলে সেও চায়না তার জন্য কারো অসুবিধা হোক
তুমি কি মনে করো আমি এগুলোতে এফ্যাক্ট হয়না?
তোমার কারণে আমি পেরেশান আর আমি পেরেশান হলে আমার পরিবারে ব্যঘাত আসতেছে
তুমি কি সংসার করতেছো দেখতেছি, রান্নাবান্না করো এরপরে রুমে এসে শুয়ে মোবাইল টিপো,স্বামী চায় স্ত্রী সবার সাথে মিলেমিশে থাকুক যাতে স্ত্রীর কথা আসলে বাকিদের মুখে হাসি আসুক(এইরকম আরো কিছু কথা সব মনে নেই)
স্ত্রী স্বামীকে বলে তুমি প্লিজ কিছু বলিও না "কি নিয়ে পেরেশান তুমি জানো "
তখন স্বামী বলে ইচ্ছাকৃত বলতেছি,স্ত্রী জিজ্ঞেস করে কি ইচ্ছাকৃত বলতেছো?
স্বামী বলে এই যে তুমি চেঞ্জ না হলে তোমাকে পিটা দিব,হাবিজাবি এইসব( কথা সম্পূর্ণ করেনি যতদূর মনে আছে)
স্ত্রীও মনে প্রাণে বিশ্বাস করে স্বামী এইসব স্ত্রীর রোগ সারানোর জন্য বলছিল
স্বামী বলে তুমি যেটা নিয়ে ভাবো সেটা নিয়ে না ভাবার জন্য তোমাকে অনেক কথায় বলব
স্ত্রী বলে সময় লাগবে তো সুস্থ হতে
স্বামী বলে আর কত সময়?
সবার সাথে হাসিখুশি থাকো
হুজুর যতটুকু মনে আছে লেখা হয়েছে, কিছু আন্দাজে লেখা হয়েছে। পুরো কথোপকথনে স্ত্রী সামান্যই কথা বলেছে
স্বামীই স্ত্রীকে বুঝাচ্ছিল
হুজুর উপরোক্ত কথোপকথনে তাদের বৈবাহিক জীবনে অসুবিধা হবে?
হুজুর দয়া করে পুরো ঘটনা পড়বেন