আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম হুজুর

স্ত্রী রাগে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে যেটা স্বামীর পছন্দ হয়নি তখন স্বামী অনেক চিল্লাপাল্লা করে কথাগুলো হুবহু মনে নেই
হুবহু বা কাছাকাছি স্বামীত কথাগুলো নিচে লেখা হলো-

"কেন দরজা জোরে বন্ধ করছো?তুমি কি নিয়ে রাগ দেখাচ্ছো সেটা বলো, না বললে কিভাবে বুঝবো? তুমি আমাকে মেন্টালি টর্চার করছো,এগুলো নিতে পারছি না, পাগল হয়ে যাচ্ছি,বলো না কেন জোরে দরজা বন্ধ করছো?

তোমার সমস্যা কি? তুমি চেঞ্জ হও নাহয় আমি কি করি জানিনা,এমন কিছু করব যেটা তোমার পছন্দ না, তুমি নিজেকে বদলাও,তোমার এইসব কোনভাবেই সহ্য হচ্ছে না,আমি বিরক্ত,ক্লান্ত, এইসব আর নিতে পারতেছিনা

স্বামী আরো কিছু কথা বলে তোমাকে কেয়ার করে আমি কি পাচ্ছি?তোমার আর আমার সম্পর্ক তো দান প্রতিদানের হয়ে গেছে ( আরো কিছু কথা যা মনে নেই)

আবার শান্তভাবে পাশে বসে বুঝাচ্ছে আমাদের বাচ্চা হবে কি হবে না সেটা আল্লাহ জানেন আমরা চিকিৎসা এবং চেষ্টা করতে পারব, আল্লাহ বাচ্চা না দিলে কিছু করতে পারবে না।আগে ০ কনফিডেন্স নিয়ে যেকোন কাজ করতাম বিগত ১বছর সেটা করতে পারিনা তোমার এইসবের কারণে। স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছিল(হুবহু কথা মনে নেই)

স্ত্রী অনুরোধ করে স্বামীকে কিছু না বলার জন্য যেহেতু স্ত্রীর ওয়াসওয়াসা রোগ আছে।তাই ভয় পায় স্বামী কিছু বললে কারণ স্ত্রী সেটা নিয়ে সারাদিন ভাবতে থাকবে।

তখন স্বামী বলে তোমার যেই সমস্যা সেটাও আমার মাথায় আছে,আমি কোন কাজে মন বসাতে পারিনা তোমার এগুলো ভাবতে ভাবতে।এগুলো তে জীবনে অসুবিধা হচ্ছে
স্ত্রী বলে সেও চায়না তার জন্য কারো অসুবিধা হোক

তুমি কি মনে করো আমি এগুলোতে এফ্যাক্ট হয়না?

তোমার কারণে আমি পেরেশান আর আমি পেরেশান হলে আমার পরিবারে ব্যঘাত আসতেছে

তুমি কি সংসার করতেছো দেখতেছি, রান্নাবান্না করো এরপরে রুমে এসে শুয়ে মোবাইল টিপো,স্বামী চায় স্ত্রী সবার সাথে মিলেমিশে থাকুক যাতে স্ত্রীর কথা আসলে বাকিদের মুখে হাসি আসুক(এইরকম আরো কিছু কথা সব মনে নেই)

স্ত্রী স্বামীকে বলে তুমি প্লিজ কিছু বলিও না "কি নিয়ে পেরেশান তুমি জানো "

তখন স্বামী বলে ইচ্ছাকৃত বলতেছি,স্ত্রী জিজ্ঞেস করে কি ইচ্ছাকৃত বলতেছো?

স্বামী বলে এই যে তুমি চেঞ্জ না হলে তোমাকে পিটা দিব,হাবিজাবি এইসব( কথা সম্পূর্ণ করেনি যতদূর মনে আছে)

স্ত্রীও মনে প্রাণে বিশ্বাস করে স্বামী এইসব স্ত্রীর রোগ সারানোর জন্য বলছিল

স্বামী বলে তুমি যেটা নিয়ে ভাবো সেটা নিয়ে না ভাবার জন্য তোমাকে অনেক কথায় বলব

স্ত্রী বলে সময় লাগবে তো সুস্থ হতে

স্বামী বলে আর কত সময়?

সবার সাথে হাসিখুশি থাকো

হুজুর যতটুকু মনে আছে লেখা হয়েছে, কিছু আন্দাজে লেখা হয়েছে। পুরো কথোপকথনে স্ত্রী সামান্যই কথা বলেছে

স্বামীই স্ত্রীকে বুঝাচ্ছিল

হুজুর উপরোক্ত কথোপকথনে তাদের বৈবাহিক জীবনে অসুবিধা হবে?

হুজুর দয়া করে পুরো ঘটনা পড়বেন
by (72 points)
হুজুর পোস্ট এডিট করা হয়েছে 
দয়া করে এডিটেট পোস্ট পড়ে সমাধান দিয়েন
by (588,060 points)
সবকিছু পড়েই সমাধান দিয়েছি।জাযাকুমুল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সম্পূর্ণ লিখা তিনবার পড়েছি। আপনার ঐ লিখা পড়ে যা বুঝেছি, এদ্বারা তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...