আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
আমার স্ত্রীর বিয়ের আগ থেকে বোবা ধরার সমস্যা হত প্রায় প্রতিদিন। বিয়ের পর থেকে তা আর এখন হচ্ছে না। কিন্তু বিয়ের পর থেকে এমন মনে হয় উনার সবসময় যে, কেউ একজন পুরুষ তার আশেপাশে আছেন। সে হাসতেছে উনার দিকে তাকিয়ে। আবার হঠাত মনে হয় ছায়া চলে গেল। কিন্তু স্পষ্টতঃ কিছু দেখেন নি বা শুনেন নি।

এই ভয়ের কারনে, রাতে রান্না ঘরে গেলেও আমাকে সাথে যেতে হয় বা কথা চালিয়ে যেতে হয় রুম থেকেই। (আমাদের ফ্লাট বাসা, আর আমরা দুই জনই থাকি শুধু!!) রাতে ইস্তেঞ্জায় যেতে নিলেও আমাকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা লাগা। এই পর্যন্ত মেনে চলেছি।
কিন্তু এই ভয়ের কারনে, যোহর আর আসর ছাড়া অন্য ওয়াক্ত জামাতে যেতে দিতে চাননা। ঘরেই পড়তে বলেন। আবার বলেন আমার সাথে জামাত করে পড়েন। একা আমার অনেক ভয় লাগবে।
উল্লেখ্য যে প্রায় এক বছর আমাদের সংসার, আর বিয়ের পরবর্তী এখনো চাকরীর সুবাদে বাইরে যাওয়া হয়নি। বাসা থেকেই অনলাইনে অল্প বিস্তর আয় করে, তা দিয়েই সংসার চলছে।

নামাযের ব্যাপারে কি করব? আর উনার এই সমস্যা কি যাদু বা জ্বীনের আসর ঘটিত কোন সমস্যা হতে পারে? কি করব এখন আমরা এই ব্যাপারে?

1 Answer

+1 vote
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামে জামাআতের সহিত নামাজ পড়ার অনেক অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-

لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ، أَوْ مَرِيضٌ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ.

আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, নামায (-এর জামাত) থেকে পিছিয়ে থাকত কেবল এমন মুনাফিক, যার নিফাক স্পষ্ট ছিল অথবা অসুস্থ ব্যক্তি। তবে আমরা অসুস্থদেরকেও দেখতাম, দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে তারা নামাযের জন্য চলে আসত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৫

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.

অর্থাৎ একাকী নামায পড়া অপেক্ষা জামাতে নামায আদায় করা সাতাশ গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৭৫

আরো জানুনঃ
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত অজুহাতে সবসময়ের জন্য মাগরীব,ইশা,ফজর নামাজের জামাত ছাড়া জায়েজ নেই,যদি কখনো বেশি সমস্যা হয়,তখন ছাড়া যেতে পারে,বাসায় একসাথে জামাত করা যেতে পারে।
তবে সবসময় এইভাবে জামাত ছাড়া জায়েজ হবেনা । 
,
উক্ত সময় গুলোতে অন্য কোনো মহিলা,বা মাহরাম কাউকে তার কাছে রেখে যেতে পারেন,তাহলে আর এই সমস্যা হবেনা।
,
★পরামর্শঃ
আপনি তাকে মানসিক ডাক্তার দেখাবেন,নিয়মিত তাকে প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফু/সামান্য থুথু দিতে বলবেন,ফজর নামাজের ,মাগরিব নামাজের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে সুরা ইখলাস,সুরা ফালাক,সুরা নাস তিন তিন বার করে পড়ে হাতে ফু দিয়ে সাড়া শরীরে হাত ফিরাইয়া নিতে বলবেন।
শরয়ী রুকইয়াহ যারা করে,তাদের সহযোগিতা নিতে পারেন,আশা করি সমস্যা কেটে যাবে,ইনশাআল্লাহ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 154 views
...