আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in সালাত(Prayer) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

১.নামাজে কোনো সূরা পড়ার সময় বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম না বললে কি সমস্যা?

২. যদি সালাতে কোনো সূরা / অন্যান্য কেরাত (তাশাহুদ /দরুদ/ মাসুরা)পড়ার সময় যদি মনে হয় কোনো লাইন / শব্দ বাদ পড়ে গেছে তাহলে কি আবার প্রথম থেকে পড়া যাবে?

সূরা ফাতিহা পড়ার সময় এমন হলে প্রথম থেকে পড়া যাবে?
৩. নামাজে কোনো সূরা / অন্যান্য কেরাত ( তাশাহুদ/দরুদ/ মাসুরা) পড়ার সময় যেই লাইন তিলাওয়াত করছি তার আগের কোনো লাইনে যদি মাখরাজের কোনো ভুল হয় তাহলে যেই লাইনে ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে সেই লাইন থেকে আবার পড়া যাবে নাকি নামাজ ভাঙে দিতে হবে।

সূরা ফাতিহার জন্য কি তা প্রযোজ্য?

যেমন ঃ আমি হয়তো কোনো সূরা ৩য় লাইনের মাঝামাঝি পড়ছি এমন সময় যদি আমার মনে হয় ১ম লাইনে কোনো শব্দের মাখরাজে ভুল হয়েছে তখন ঐ ৩য় লাইনে আমি ঠিক যেই জায়গায় পড়ছি ( হতে পারে যেই লাইন পড়ছি সেই লাইনের কোনো শব্দ তখনও শেষ হয়নি) ঐ শব্দ / লাইনটা কি শেষ করব নাকি সেই জায়গায়ই থেমে যেয়ে আবার ঐ লাইনের শুরু থেকে (যেইটার মাখরাজ ভুল হয়েছে) সেইখান থেকে শুরু করব নাকি নামাজ ভাঙে দেব??

যদি কোনো কিছু তিলাওয়াত করার শেষে এমন মনে হয় যে ভিতরে কোনো ভুল হয়েছে তাহলে কি রিরিট করব? সূরা ফাতিহার সময়ও তাই করব?? নাকি নামাজ ভাঙে দেবো??

৩. আজকে মাগরিবের নামাজ পড়ার সময় আমার মনে হচ্ছে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করার সময় গইরিল মাগদুবি........ এখানে দু বলার সময় আমি মনে হয় দালের মাখরাজ অনুযায়ী উচ্চারণ করেছি। তবে আমি নিশ্চিত না একবার মনে হচ্ছে ওয়াসওয়াসা একবার মনে হচ্ছে করেছি। কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারছি না? এতে কি অর্থের পরিবর্তন হয়ে যায়? যদি হয় তাহলে নামাজ টা পুনরায় কখন পড়ব?

৪.কয়েকদিন আগের কথা একবার মাগরিবের নামাজ পড়ার সময় আমার মনে হয়চ্ছিল সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করার সময় যখন ( ইহদিনাস.........) বলি তখন নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করার জন্য হা হরফটা আমার কণ্ঠেসবরে আটকে যায় তখন মনে হয় মোটা হা এর উচ্চারণ অনেকটা চিকন হা এর মতো হয়ে যায়। হুবহু চিকন হা এর মতো হয় নি মনে হয় আমি নিশ্চিত না একবার মনে হচ্ছে না হয়নি একবার মনে হচ্ছে হয়েছে। এতে কি আমার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে পুনরায় কখন পড়ব??
৫. সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করার সময় যখন ( রব্বিল আলামিন) বলি তখন যদি লাতে টান দিই তাহলে কি নামাজ বাতিল হয়ে যাবে??

৬.নামাজে কেরাত পড়ার সময় যদি কোনো হরফ উচ্চারণের সময় যদি মাখরাজ উচ্চারণ করতে সমস্যা হয় তাহলে মাখরাজটা ঠিক করার জন্য কি একই হরফ একাধিকবার উচ্চারণ করা যাবে যতক্ষণ না মাখরাজটা ঠিক হয়? সূরা ফাতিহার সময় কি তা প্রযোজ্য হবে?
নাকি নামাজ ভাঙে দেবো??

৭. আমার প্রায় প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সময়ই নামাজে তিলাওয়াত করার সময় মাখরাজ নিয়ে সন্দেহ হয়। মনে হয় সঠিক হতে পারি না? একবার মনে হয় ভুল হয়েছে আবার মনে হয় না হয়নি ওয়াসওয়াসা। আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না??

এমন মনে হয় ভুল করার সম্ভাবনা ৫০% আবার ঠিক হওয়ার সম্ভবনা ৫০%। তখন কি করণীয়?? ঐ নামাজটা কি আবার পড়ব?? প্রায় প্রত্যেক ওয়াক্তেই যে এমন তাহলে কি প্রতিবারই আবার নামাজটা পড়ব??

যেসব হরফের মাখরাজের সাথে অন্য হরফের মাখরাজের মিল নেই সেই হরফগুলো উচ্চারণের সময় একটু মোটা / চিকন হয় তাহলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে???

৮. নামাজে মাঝে মাঝে অন্যমনস্ক হওয়ার কারণে মনে হয় যে কিছু আয়াত হয়তো বাদ পড়ে গেল। যেমনঃ দরুদ/ সূরা/ তাশাহুদ পাঠ করছি। তিলাওয়াত শুরু করলাম। কিছুদূর তিলাওয়াত করার পর মনস্ক হয়ে গেলাম। এরপর কিছুক্ষণ পর যখন আবার শেষের দিকে তিলাওয়াত করছি তখন হঠাৎ মনে হলো আগের কিছু লাইন বাদ পড়ল নাকি। তখন কি করণীয়??
তবে আমার তখন মনে হয় যে কিছু লাইন তো বাদ পড়ার কথা নয়। কারণ রোজই তো তিলাওয়াত করছি??

তখন কি আবার প্রথম থেকে তিলাওয়াত করব??

সূরা ফাতিহার জন্য কি এইটা প্রযোজ্য হবে???

১০. সালাতে নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করার জন্য প্রায়ই কিছু হরফ/ শব্দ / লাইনের উচ্চারণ আমার কানে আসে না? এতে কি সমস্যা?? যদি আমার কানে আসার জন্য একটু উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করি তাহলে আবার মাখরাজের ভুল হয়ে যায়?? এক্ষেত্রে যদি কিছু লাইন আমি না শুনি তাহলে কি সমস্যা??
১১. সূরা তিলাওয়াত করার সময় যদি ভুলে যাই তাহলে কি একটু আগে থেকে তিলাওয়াত করা যাবে? সূরা ফাতিহার সময় এমন করা যাবে???

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ غِيَاثٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو نُعَامَةَ الْحَنَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُغَفَّلٍ إِذَا سَمِعَ أَحَدَنَا، يَقْرَأُ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) يَقُولُ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَخَلْفَ أَبِي بَكْرٍ وَخَلْفَ عُمَرَ رضى الله عنهما فَمَا سَمِعْتُ أَحَدًا مِنْهُمْ قَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ .

ইসমাঈল ইবনু মাসউদ (রহঃ) ... ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) আমাদের কাউকে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম- পড়তে শুনলে বলতেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পেছনে সালাত আদায় করেছি এবং আবূ বকর ও উমর (রাঃ)-এর পেছনেও। তাঁদের কাউকেও বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম- পড়তে শুনিনি।
( ইবনু মাজাহ হাঃ ৮১৫.নাসায়ী ৯১১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজে কোনো সূরা পড়ার সময় বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলা সুন্নাত।
এটি ফরজ বা ওয়াজিব নয়।
সুতরাং কেহ এসময়ে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম না বললেও নামাজ হয়ে যাবে।

(০২)
সুরা ফাতেহা ও ১ম বৈঠকের তাশাহুদের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে পড়া যাবেনা।
যেখান থেকে ভুল হয়েছে,সেখান থেকেই পড়তে হবে।
সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে ঐ আয়াতের শুরু থেকে পড়া যাবে।

দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাছুরা, ও শেষ বৈঠকের তাশাহুদের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে পড়া যাবে।
যেখানে ভুল হয়েছে,সেখান থেকেও পড়া যাবে। 

(০৩)
উক্ত নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ বাতিল হয়ে যায়নি।
পুনরায় তাহা আদায় করতে হবেনা।

(০৫)
এতে নামাজ বাতিল হয়ে যাবেনা।

(০৬)
মাখরাজ ঠিক করার জন্য একই হরফ একাধিকবার উচ্চারণ করা যাবে যতক্ষণ না মাখরাজটা ঠিক হয়।
সূরা ফাতিহার সময়েও তা প্রযোজ্য হবে।

(০৭)
উক্ত নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

★যেসব হরফের মাখরাজের সাথে অন্য হরফের মাখরাজের মিল নেই সেই হরফগুলো উচ্চারণের সময় একটু মোটা / চিকন হয়, তাহলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবেনা।

(০৮)
আপনি তিলাওয়াত চালিয়ে যাবেন।
আবার প্রথম থেকে তিলাওয়াত করবেননা।

সূরা ফাতিহার জন্যেও এইটা প্রযোজ্য হবে।

(১০)
আপনি হয়তোবা ঠিকই জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করছেন,কিন্তু বহিরাগত কোনো আওয়াজ বা সমস্যাত কারনে কানে আসেনি।
এক্ষেত্রে কোনো সমস্যাই নেই।

আর যদি সামান্য আওয়াজও না হয়,সেক্ষেত্রে কোনো হরফ বা শব্দ হলে সমস্যা নেই।
এক লাইন বা অর্ধেক লাইনের মতো হলে পুনরায় নিজ কানে আসার মতো আওয়াজ করে পড়বেন।

(১১)
তাহলে একটু আগে থেকে তিলাওয়াত করা যাবে।
সূরা ফাতিহার সময় এমন করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 136 views
...