ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ غِيَاثٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو نُعَامَةَ الْحَنَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُغَفَّلٍ إِذَا سَمِعَ أَحَدَنَا، يَقْرَأُ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) يَقُولُ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَخَلْفَ أَبِي بَكْرٍ وَخَلْفَ عُمَرَ رضى الله عنهما فَمَا سَمِعْتُ أَحَدًا مِنْهُمْ قَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ .
ইসমাঈল ইবনু মাসউদ (রহঃ) ... ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) আমাদের কাউকে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম- পড়তে শুনলে বলতেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পেছনে সালাত আদায় করেছি এবং আবূ বকর ও উমর (রাঃ)-এর পেছনেও। তাঁদের কাউকেও বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম- পড়তে শুনিনি।
( ইবনু মাজাহ হাঃ ৮১৫.নাসায়ী ৯১১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজে কোনো সূরা পড়ার সময় বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলা সুন্নাত।
এটি ফরজ বা ওয়াজিব নয়।
সুতরাং কেহ এসময়ে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম না বললেও নামাজ হয়ে যাবে।
(০২)
সুরা ফাতেহা ও ১ম বৈঠকের তাশাহুদের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে পড়া যাবেনা।
যেখান থেকে ভুল হয়েছে,সেখান থেকেই পড়তে হবে।
সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে ঐ আয়াতের শুরু থেকে পড়া যাবে।
দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাছুরা, ও শেষ বৈঠকের তাশাহুদের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে পড়া যাবে।
যেখানে ভুল হয়েছে,সেখান থেকেও পড়া যাবে।
(০৩)
উক্ত নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ বাতিল হয়ে যায়নি।
পুনরায় তাহা আদায় করতে হবেনা।
(০৫)
এতে নামাজ বাতিল হয়ে যাবেনা।
(০৬)
মাখরাজ ঠিক করার জন্য একই হরফ একাধিকবার উচ্চারণ করা যাবে যতক্ষণ না মাখরাজটা ঠিক হয়।
সূরা ফাতিহার সময়েও তা প্রযোজ্য হবে।
(০৭)
উক্ত নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
★যেসব হরফের মাখরাজের সাথে অন্য হরফের মাখরাজের মিল নেই সেই হরফগুলো উচ্চারণের সময় একটু মোটা / চিকন হয়, তাহলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবেনা।
(০৮)
আপনি তিলাওয়াত চালিয়ে যাবেন।
আবার প্রথম থেকে তিলাওয়াত করবেননা।
সূরা ফাতিহার জন্যেও এইটা প্রযোজ্য হবে।
(১০)
আপনি হয়তোবা ঠিকই জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করছেন,কিন্তু বহিরাগত কোনো আওয়াজ বা সমস্যাত কারনে কানে আসেনি।
এক্ষেত্রে কোনো সমস্যাই নেই।
আর যদি সামান্য আওয়াজও না হয়,সেক্ষেত্রে কোনো হরফ বা শব্দ হলে সমস্যা নেই।
এক লাইন বা অর্ধেক লাইনের মতো হলে পুনরায় নিজ কানে আসার মতো আওয়াজ করে পড়বেন।
(১১)
তাহলে একটু আগে থেকে তিলাওয়াত করা যাবে।
সূরা ফাতিহার সময় এমন করা যাবে।