আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ


১,কেউ যদি স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অনুমতির দেয়ার নিয়তে বলে, 'আমি যাই করিনা কেন যাই বলিনা কেন তুই পাত্তা দিবিনা' এতে কি তালাকের অনুমতি দেয়া হবে?


২,মনে মনে কেউ যদি ইচ্ছা করে কুফুরি কথা বলে (অথচ তার ঠোট নড়ল না) অথবা হাল্কা ঠোট নড়ল কিন্তু তা নিজ কানে পৌছেনা।অথবা শুধু অন্তরে বলে তাহলে কি ইমান ভেংগে যাবে?


৩ আমি মাঝে মাঝে ভাবি ও বলি যে আমি নামাজ পড়ি মুলত নিজে ঠিক থাকাত জন্য, কারণ নামাজ না পড়লে আমাএ সব উলটপাল্ট হয়,অন্তরে অশান্তি হয়।খারাপ লাগে।


এই কথা কি সমস্যাজনক? যে আল্লাহর জন্য নামাজ পড়ছিনা? আমি অবশত প্রতি নামাজে নিজে নিজে বলি যে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পড়ছি।কিন্তু মুল কারণ মনে হয় ওইটা।

1 Answer

0 votes
by (675,720 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এতে তালাকের অনুমতি দেয়া হবেনা।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
 
অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে ঈমান চলে যাবেনা।
তার ঈমান বহাল থাকবে।

এক্ষেত্রে সে আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাইবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
নামাজ পড়ার সময় যেহেতু আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্য নিয়েই নামাজ পড়েন,সুতরাং এখন উপরোক্ত কথা বলাতে নামাজের সমস্যা হবেনা।
,
তদুপরি এহেন বাক্য না বলাই উচিত। 
ইবাদত একমাত্র,শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যেই হতে হবে।
অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...