আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
মালিকের খারাপ ব্যাবহারে অতিষ্ঠ হয়ে যদি ভাড়াটিয়া    মাসের ১ তারিখে  ঐ বাসা বাসা ছেড়ে দেবার কথা জানিয়ে দেয় এবং  ঐ মাসেই ১০ তারিখ নেমে যায়   এবং অর্ধেক ভাড়া দিতে চাই।  বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করে কারণ তাকে অন্য বাসায় শিফট করতে গেলেও সেখানে টাকা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে মালিক যদি ভাড়াটিয়ার নেমে যাবার দিন খারাপ ব্যাবহার করে ও আল্লাহর কাছে বাকি টাকার দাবি রেখে দেবার কথা বলে। সেক্ষেত্রে ভাড়াটিয়ার করণীয় কি হবে? [বি.দ্রঃ বাসায় ওঠার সময় এটা শর্ত ছিল নেমে যাবার এক মাস আগে বলতে হবে]

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


ইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার পূরণ করা ওয়াজিব।

 পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে, 
يا ايها الذين امنوا اوفوا بالعقود
'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত : ১)
الا الذين عاهدتم من المشركين.....

তবে যেসব মুশরিকের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, পরে তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সেই চুক্তি তোমরা মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবা, আয়াত ৪)
,
ওয়াদা (চুক্তি) পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার জানা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)। 

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত বাসায় ওঠার সময় যেহেতু শর্ত ছিল যে, নেমে যাবার এক মাস আগে চলে যাওয়ার বিষয় বলতে হবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ভাড়াটিয়া যদি মাসের ১ তারিখে  ঐ বাসা বাসা ছেড়ে দেবার কথা জানিয়ে দেয় এবং  ঐ মাসেই ১০ তারিখ নেমে যায়, সেক্ষেত্রে চুক্তি ভঙ্গ হবে।
যাহা শরীয়তে জায়েজ নেই।

এক্ষেত্রে ভাড়াটিয়া অর্ধেক মাসের ভাড়া দিলেও মালিকের বাকি অর্ধেক মাসের ভাড়া না পাওয়ার লোকসান হবে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি মালিক সন্তুষ্টি চিত্তে বিষয়টি মেনে নিয়ে অর্ধেক ভাড়া গ্রহনের উপর রাজি হতো,তাহলে কোনো সমস্যা হতোনা।
জায়েজ হতো।
কিন্তু মালিক যেহেতু রাজি হচ্ছেনা,সেক্ষেত্রে উক্ত  ভাড়াটিয়ার করণীয় হবে,পুরো মাস থেকে পূর্ণ ভাড়া দিয়ে চলে যাওয়া।
অথবা অন্যত্রে চলে গেলেও চুক্তি পূর্ণ করনের দিক লক্ষ্য করে ও ঝগড়াঝাটি মিটানোর স্বার্থে পূর্ণ মাসের ভাড়া দেয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...