বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার পূরণ করা ওয়াজিব।
পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে,
يا ايها الذين امنوا اوفوا بالعقود
'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত : ১)
الا الذين عاهدتم من المشركين.....
তবে যেসব মুশরিকের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, পরে তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সেই চুক্তি তোমরা মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবা, আয়াত ৪)
,
ওয়াদা (চুক্তি) পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার জানা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বাসায় ওঠার সময় যেহেতু শর্ত ছিল যে, নেমে যাবার এক মাস আগে চলে যাওয়ার বিষয় বলতে হবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ভাড়াটিয়া যদি মাসের ১ তারিখে ঐ বাসা বাসা ছেড়ে দেবার কথা জানিয়ে দেয় এবং ঐ মাসেই ১০ তারিখ নেমে যায়, সেক্ষেত্রে চুক্তি ভঙ্গ হবে।
যাহা শরীয়তে জায়েজ নেই।
এক্ষেত্রে ভাড়াটিয়া অর্ধেক মাসের ভাড়া দিলেও মালিকের বাকি অর্ধেক মাসের ভাড়া না পাওয়ার লোকসান হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি মালিক সন্তুষ্টি চিত্তে বিষয়টি মেনে নিয়ে অর্ধেক ভাড়া গ্রহনের উপর রাজি হতো,তাহলে কোনো সমস্যা হতোনা।
জায়েজ হতো।
কিন্তু মালিক যেহেতু রাজি হচ্ছেনা,সেক্ষেত্রে উক্ত ভাড়াটিয়ার করণীয় হবে,পুরো মাস থেকে পূর্ণ ভাড়া দিয়ে চলে যাওয়া।
অথবা অন্যত্রে চলে গেলেও চুক্তি পূর্ণ করনের দিক লক্ষ্য করে ও ঝগড়াঝাটি মিটানোর স্বার্থে পূর্ণ মাসের ভাড়া দেয়া।