আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
443 views
in ওয়াসওয়াসা by (16 points)
edited by
হুজুরের নিকট সর্বশেষ প্রশ্ন,,

https://ifatwa.info/62215/

হুজুর এগুলা আমার পূর্বের প্রশ্ন,,আমি আপনার সাথে ফোনেও কথা বলেছিলাম,,আমার যে কি পরিমান ওয়াসওয়াসা জানিত প্রব্লেম ছিলো তা তো ভালো করেই জানেন।আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেকটা সুস্থ।

হুজুর আমার মাত্র ২ টা প্রশ্ন আছে শুধু,,এগুলার পর আমি আর কখোনোই ভাববোনা ইনশাআল্লাহ।
নাম্বার ১/ হুজুর আমি একবার মনে মনে দোয়া করেছিলাম যে আমি এমন ১/২ মাস কয়েকটি গুনাহ কে নির্দিষ্ট করে বলেছিলাম যে এগুলা আমি করবোনা যদি করি তাহলে আমার বিবি তালাক।

তো বেশকিছুদিন যাওয়ার পর জানতে পারি যে মনে মনে তালাক দিলে বা চিন্তা করলে তালাক পতিত হবেনা,পরে কয়েকজন মুফতি সাহেবের নিকট জানতে চাইলে তারাও একই কথা বলেন,,যে তোমার এভাবে মনে মনে দোয়া করার দ্বারা তালাকের শর্ত হয়নি,,,সুতরাং উক্ত গুনাহ হয়ে গেলে তোমার বিবির উপর তালাক পতিত হবেনা।

পরে আমি নিশ্চিত হইলে শর্ত ভঙ্গ করি অর্থাৎ উক্ত গুনাহ আমার দ্বারা হয়ে যায়।

পরবর্তীতে আমি পুনরায় উচ্চারণ করে আওয়াজ করে শর্ত দেই দোয়ার মধ্যে এবং ৩-৪ টা গুনাহ কে খাছ করি রমজান পর্যন্ত
এবং শর্ত মোতাবেক রমজান পর্যন্ত শর্তযুক্ত গুনাহ থেকে হেফাজত থাকি আলহামদুলিল্লাহ।
এখন ৬-৭ মাস পেরিয়ে যাবার পর আমার মন ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত হয়ে পরে এবং বিভিন্ন বিষয়ে আমাকে ভাবনায় ফেলে দেয়।

যা আমি প্রথমে লিংকে(প্রশ্নে) বিস্তারিত বলেছিলাম এবং আপনাদের নিকট থেকে উত্তর ও পেয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ।
সব ওয়াসওয়াসা দূর হবার পর এখন আমার মনের ভিতর কয়েকটি ওয়াসওয়াসা আসতেছে,সেগুলি হলো...

১/আমি যে প্রথম দিন মনে মনে দোয়া করেছিলাম তার কি গ্যারিন্টি আছে!সেদিন তো মুখে উচ্চারণ ও হতে পারতো!

কিন্তু হুজুর আমি যে সেদিন মুখে উচ্চারণ করে আওয়াজ করে নিজ কান পর্যন্ত শোনা যায় এমন ভাবে দোয়া করিনাই তার যথেষ্ট প্রমাণ বা যুক্তি আমার কাছে আছে,তা আমি বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরতেছি।

★হুজুর আমি মুফতি সাহেব হুজুরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে হুজুর আমি মনে মনে দোয়া করেছি,,,সুতরাং আমি মনে মনে দোয়া করেছিলাম সেজন্যই তো আমি হুজুরকে সেই কথাই বলেছি,যদি উচ্চারণ করে বলতাম তাহলে তো আর আমি মনে মনে দোয়ার কথা প্রশ্ন করতাম না।

★হুজুর আমি জানতাম যে মনে মনে দোয়া করলেও তালাক হবে আবার উচ্চারণ করে করলেও হবে সুতরাং আমি কেনো উচ্চারণ করে দোয়া করতে যাবো!

★হুজুর আমি যখন দোয়ার জন্যে হাত তুলি তখন হুট করে আমার পাশেই এসে একজন ফ্রেন্ড বসে আর আমি ওর উপস্থিতি তে দ্রুত শুরু করে শেষ করি,,,এখানে হুজুর আমার পাশে একজন বসা ছিলো আমি কেনো উচ্চারণ করে আওয়াজ করে দোয়া করতে যাবো যেখানে মনে মনে বললেই হয়ে যাচ্ছে,, এবং এই তালাকের বিষয় তো আমি আমার বন্ধুকে জানাবো না তাইনা,সুতরাং আমি মনে মনেই দোয়া শেষ করেছি।

★এছাড়াও হুজুর এর আগে আমি একবার ওয়াদা করেছিলাম সেটার উপরই আমি এভাবে বলি যে আবার এগুলো করলে তালাক হবে,,অর্থাৎ আগের কথার উপর ইঙ্গিত করেছিলাম আমার মনে হয়,,,সেক্ষেত্রে তো নতুন করে দোয়ার সময় উচ্চারণের তো প্রয়োজনি পরেনা,,

..তো হুজুর এগুলা সবদিকে বিবেচনা করা ছাড়াও আমি পরিপূর্ণ এক্বিন যে আমি মনে মনে দোয়া করেছিলাম কিন্তু আমি উচ্চারণ করে দোয়া করেছি কিনা সেটার ব্যাপারে শুধু আমার ওয়াসওয়াসা বা সন্দেহ জেগেছে এছাড়া আর কিছুই না।

আমি মনে মনে দোয়ার ব্যাপারে সব দিক থেকে বিবেচনা করে ৯০% নিশ্চিত যে আমি মনে মনেইই দোয়া করেছিলাম আর ১০%ওয়াসওয়াসা আসে যে যদি উচ্চারণ করে দোয়া করে থাকি বা আমার মনের অজান্তেই আওয়াজ বেড়িয়ে যায়!

হুজুর আমি বিস্তারিত বললাম,এই হালতে কি কোনো অবস্থায় তালাক পতিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে?

আমি কয়েকজন মুফতি সাহেব কে প্রশ্ন করে ছিলাম উনারা বলেছিলেন যে প্রবল ধারনা না থাকলে কোনো অবস্থাতেই তালাক হবেনা আর তুমি তো ওয়াসওয়াসার রুগি,তোমার হালকা সন্দেহ থাকলেও তালাক হবেনা।

হুজুর একটু জানাবেন প্লিজ

২/পরবর্তীতে আমি রমজান পর্যন্ত গুনাহ করবোনা বলেছিলাম কিন্তু রমজান মাস শেষ হবার পর ইদের রাত্রে আমি গুনাহ করি,,আমি ১০০০% নিশ্চিত ছিলাম যে আমি রমজান মাস পর্যন্ত শর্ত দিয়েছিলাম।

কিন্তু তার কিছুদিন পর হতে মনের ভিতর ওয়াসওয়াসা আসে যে তুমি যদি ইদের রাত্রি পর্যন্ত শর্ত দিয়ে থাকো তখন কি হবে!!

কিন্তু হুজুর যেদিন রাতে গুনাহ করি সেদিনো মনের ভিতর কোনো সংশয় ছিলোনা,তারপরে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত কোনো সংশয় ছিলোনা কিন্তু এরপর থেকে আবার ওয়াসওয়াসা আসে,,,তখন মুফতি সাহেব হুজুর কে বললে হুজুর বলে যে যেদিকে প্রবল ধারনা হবে সেদিকে মাসালা যাবে। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া,সাদকা করি এবং আমি ভালো করে চিন্তা করে দেখি যে আমার কোনো ভাবেই ইদের রাত্রি শর্ত দেবার সম্ভাবনা নেই সুতরাং আমি নিশ্চিত হই যে আমার শর্ত রমজান পর্যন্তই ছিলো এবং আমার ওয়াসওয়াসাও দূর হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু এই ৭-৮ মাস পর এসে অন্যান্য ওয়াসওয়াসার সাথে পুনরায় এই ওয়াসওয়াসা আসা আবার শুরু হয়ে গেছে।আমার একটা বিষয়ে মাসালা হল হয় তখন আরেকটি বিষয়ে ওয়াসওয়াসা শুরু হয়।
এভাবেই চলতেছে আমার দিনকাল।

হুজুর একবার প্রবল ধারনা যেখানে হয়েযায় সেখানে কি সন্দেহের ভিত্তিতে মাসালা পরিবর্তন হবে?আমি নিশ্চিত যে ইদের রাত্রি পর্যন্ত শর্ত দিয়েছিলাম না এবং এই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমান + যুক্তি আমার নিকট আছে কিন্তু অল্প সন্দেহ মনের ভিতর উকি দেয় মাঝে মাঝে, তো এই সন্দেহের ভিত্তিতে কি তালাক পতিত হবে?

৩/হুজুর মনে মনে ওয়াসওয়াসা আসে যে শরিয়ত মানার পরো যদি সন্দেহের ভিত্তিতে তালাক হয়ে গেলো কিন্তু তুমি জানলা না,,,তখন আল্লাহ যদি তোমাকে পাকড়াও করে তখন কি হবে?

তোমার বিবির সাথে মেলামেশা যদি হারাম হয় তখন কি হবে!?

এভাবে বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসে,হুজুর আমি এই ওয়াসওয়াসা থেকে কিভাবে বাচবো,,আমাকে যদি একটু বিস্তারিত দলিল দিয়ে বুঝাইতেন খুবি উপকৃত হইতাম।

৪/হুজুর এখন আমার সামনে যা আসে তার সাথেই আমি তালাক মিলায় ফেলি,,কোনো কিছু সামনে আসলে সেটার সাথে তালাকের উদাহারন চলে আসে মাথায়।সারাদিন এই একটা বাক্য মাথায় ঘুরে,এরদ্বারা কি কোনো সমস্যা হবে?

৫/তালাকের ওয়াসওয়াসা কি মানুষের মধ্যে আসে?এটা কি সত্য?কুরান হাদিস এ ব্যাপারে কি বলে?

একটু জানাইলে খুশি হইতাম

৬/সবশেষে হুজুরের নিকট বিনিত আবেদন যে হুজুর আমাকে দিনের উপরে চলার জন্যে কিছু নসিহা করুন,আমি যাতে কোনো পথভ্রষ্ট না হই।কারন মনের ভিতর বেশি ভাবতে গেলে উলটা পালটা চিন্তা চলে আসে।

৭/ হুজুর বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আসলে বা সন্দেহ আসলো যে তালাক হইছে কি হয়নাই।এমতাবস্থায় কি করনীয়, শরিয়ত কি বলে? ধরুন একটা বিষয়ে তালাক না হবার ব্যাপারে ৬-৭ টা উদাহরণ আছে অপরদিকে হওয়ার ব্যাপারে ১-২ টা আছে।এখন হইতেও পারে আবার নাও হইতে পারে এমতাবস্থায় কি তালাক হয়? নাকি তালাক পতিত হবার জন্যে সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট প্রমান থাকা জরুরি?

৮/একটা বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আসলে সেটা কোনো মুফতি সাহেবকে প্রস্ন করার আগ পর্যন্ত শান্তি পাইনা।অনেক সামান্য সামান্য বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ি বা আমাকে ফেলানো হয়,যে বিষয়ে আমি সুস্পষ্ট ভাবে সন্দেহ ছাড়া ছিলাম সে বিষয়ে আমাকে সন্দেহে ফেলে দেয়।এগুলা কি ওয়াসওয়াসার লক্ষন?

৯/হুজুর মুখ নড়িয়ে জিব্বা নাড়ায়ে যেভাবে বলুক না কেনো নূন্যতম নিজ কান পর্যন্ত শুনা আবশ্যক তালাকের ব্যাপারে তাইনা?? কিন্তু অনেক সময় নিজে মনে মনে কথা বললেও স্বাস প্রসাসে বা নাক বা নিজের দিলের ভিতর বা মাথার ভিতর আওয়াজ হয় বা শুনা যায় এমনটা মনে হয়।সেক্ষেত্রে কি তালাক ধর্তব্য হবে??নাকি একদম সুস্পষ্ট ভাবে নিজ কানে শুনতে হবে?

জাজাকাল্লাহ
by (16 points)
প্রশ্ন বিস্তারিত ভাবে করা হয়েছে

1 Answer

0 votes
by (559,380 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
(০১)
এই হালতে  কোনো অবস্থাতেই তালাক পতিত হবার সম্ভাবনা নেই।
আপনি পূর্ণভাবে নিশ্চিত থাকুন। 

(০২)
একবার প্রবল ধারনা যেখানে হয়ে যায়, সেখানে সন্দেহের ভিত্তিতে মাসয়ালা পরিবর্তন হবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত সন্দেহের ভিত্তিতে তালাক পতিত হবেনা।

(০৩)
আপনি তালাক নিয়ে যতই চিন্তা করুন না কেন, কিংবা মনে মনে কথা বলুন না কেন, কিংবা মনে মনে যতই উল্লেখিত শর্ত আওড়ান না কেন, কিংবা নিয়ত ও সংকল্প করুন না কেন– যতক্ষণ পর্যন্ত মুখে উচ্চারণের বিষয়টি পরিপূর্ণ নিশ্চিত হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তালাক হবে না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আপনার জন্য কিছু পরামর্শঃ-

অহেতুক পেরেশানী করে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। আপনি কিছুদিন বাহিরে থাকুন।
তাবলিগে গিয়ে ৪০ দিন সময় লাগান,চিল্লায় চলে যান, মনের তীব্র কনফিউশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিন। 
,
★আপনি তালাক সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না।
তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করবেননা। 

মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

 (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)

★ফজর ও মাগরিবের পর এবং ঘুমানোর আগে সূরা ফালাক ও নাস পড়ুন। 

(০৪)
এরদ্বারা কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
তালাকের ওয়াসওয়াসা মানুষের মধ্যে আসে।
অনেক সময় মুখে উচ্চারণ না করলেও মনের মধ্যে তালাক দেয়া মূলক কথা আসে,যাহা হাদীস শরীফেও আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

(০৬)
নিম্নোক্ত লিংকে দেয়া নসিহাহ গুলি মেনে চলার চেষ্টা করুনঃ-

(০৭)
এমতাবস্থায় তালাক হয়না।তালাক পতিত হওয়ার জন্য পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া জরুরী। 

(০৮)
হ্যাঁ, এগুলো ওয়াসওয়াসার লক্ষন।

(০৯)
নূন্যতম নিজ কানে আসে, এমন আওয়াজ হওয়া আবশ্যক।
যদি নিজ কানে আসে, এমন আওয়াজ হলো,তবে ফ্যানের বাতাস বা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতার কারনে কান পর্যন্ত পৌছলনা,তাহলে এটি আওয়াজ হয়েছে বলেই ধরা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...