জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরি হল, দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব ও কবুল পাওয়া যাওয়া। যদি এর কোনো একটি না পাওয়া যায়, তাহলে বিয়ে শুদ্ধ হবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে,
لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل
‘ওলীর অনুমতি এবং দুইজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিবাহ সংঘটিত হবে না।’ [আল মুজামুল আওসাত, হাদিস: ৯২৯১]
★শরীয়তের বিধান হলো আলহামদুলিল্লাহ বলার দ্বারা বিয়ে হয়ে যাবে। তবে স্পষ্টভাবে কবুল বলাই সমীচিন। [আহসানুল ফাতাওয়া-৫/৩৬-৩৮]
আলহামদুলিল্লাহ দ্বারা যেহেতু কবুলের ভাবার্থ বুঝা যায় তাই আলহামদুলিল্লাহ দ্বারাও বিয়ে হয়ে যাবে।
(খুলাসাতুল ফাতওয়া ২/৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার "আলহামদুলিল্লাহ" বলার দ্বারাই বিবাহ শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
পরে তো কবুল বাক্যটা উচ্চারণ না করলেও বিবাহ শুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
আপনার মামা শিরক করলেও সে তো উক্ত বিবাহে ইজাব বা কবুল কিছু করেনি।
আপনি নিজে পাত্রের প্রস্তাব আলহামদুলিল্লাহ বলার দ্বারা কবুল করেছেন।
তাই বিবাহ হয়ে গিয়েছে।
,
(০২)
আপনার বিবাহ আগেই (২০১১ সালেই) হয়ে গিয়েছিলো।
এই ২য় ছুরতে আপনারা স্বামী স্ত্রী হিসেবেই আছেন।
তালাক না হওয়া পর্যন্ত আপনারা স্বামী স্ত্রী হিসেবেই থাকবেন।
(০৩)
আপনার বিবাহ আগেই (২০১১ সালেই) হয়ে গিয়েছিলো।
এই রেজিষ্ট্রেশন শুধুমাত্র সরকারি আইন মানা মাত্র।
আর কিছু নয়।
(০৪)
"তুই আমাকে কল দিবিনা" এটি বলার দ্বারা তালাক হবেনা।
"তুই যা" এটি তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে এতে তালাক হবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে "তুই বাদ, তোর সাথে সম্পর্ক নাই,তুই বাতিল" বলার দ্বারা নিয়ত ছাড়াই তালাক পতিত হবে।
কেননা এটি মুযাকারায়ে তালাক ছিলো।
বিস্তারিত জানুনঃ-